সিলেট থেকে ৬০ টন পণ্য নিয়ে স্পেনের উদ্দেশে ছেড়ে গেল প্রথম কার্গো ফ্লাইট

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো কার্গো ফ্লাইট চালু হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় ৬০ টন পণ্য নিয়ে ফ্লাইটটি ইউরোপের দেশ স্পেনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর আগে কার্গো ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমাদের সর্বক্ষেত্রে সক্ষমতা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর আজই প্রথম ঢাকার বাইরে থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হলো। এটি সিলেটবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হওয়া নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

সভাপতির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, আজ দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো। এর মাধ্যমে দেশের রাপ্তানি খাতে যুগান্তকারী উন্নতি হবে। আপাতত সিলেট থেকে সপ্তাহে দুটি কার্গো ফ্লাইট যাবে। আমরা ধীরে ধীরে এটি আরও বাড়াব ইনশা আল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরিন জাহান। স্বাগত বক্তব্য দেন এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য প্রথম উদ্যোগ হিসেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো সেবা চালু করছে সরকার। খুব শিগগিরই কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকেও একই সুবিধা চালু করা হবে।
সিলেট অঞ্চলের শাক-সবজি, আনারস, লেবুজাতীয় ফল, সাতকড়া, পান, হিমায়িত মাছ, সুগন্ধি চাল, বেতের আসবাবপত্র, নকশিকাঁথা এবং কুটির শিল্পের বিশাল বাজার রয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। গত ৬ বছর ধরে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেসব পণ্য পাঠাতেন রপ্তানিকারকেরা।