কবি দাউদ হায়দার আর নেই

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার আর নেই। শনিবার (২৬ এপ্রিল) জার্মানির স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে বার্লিনের একটি রিহ্যাবিলিটেশন হোমে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন চিরকুমার দাউদ হায়দার। গত বছর ডিসেম্বরে বার্লিনের বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লেও পুরোপুরি সুস্থ জীবনে ফিরতে পারেননি তিনি।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন দাউদ হায়দার। তিনি ছিলেন কবি, লেখক ও সাংবাদিক।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তার কবিতা 'কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়' প্রকাশিত হলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১১ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়ে তৎকালীন সরকার তাকে নির্বাসনে পাঠায়।
১৯৭৪ সালের ২০ মে সন্ধ্যায় তাকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ২১ মে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে করে কলকাতায় পাঠানো হয়। ১৯৮৭ সালে তিনি কলকাতা থেকে জার্মানিতে পাড়ি জমান এবং এরপর থেকে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
দাউদ হায়দারের প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে—জন্মই আমার আজন্ম পাপ, সংস অব ডেস্পেয়ার, এই শাওনে এই পরবাসে, আমি পুড়েছি জ্বালা ও আগুনে, এলোন ইন ডার্কনেস অ্যান্ড আদার পোয়েমস ইত্যাদি।