কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশ্বাসে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার

বাংলাদেশ পলিটেকনিক ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশ্বাসে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাদের অনির্দিষ্টকালের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।
এর আগে, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে কারুশিল্প প্রশিক্ষকদের বিতর্কিত ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে আজ বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা ও আশ্বাস পাওয়ার পর প্রায় বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
ছাত্রনেতা জুনায়েদ বলেন, 'আমরা গত আট মাস ধরে আন্দোলন করছি। আজ আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করি। তবে কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের জানিয়েছে, প্রশাসন আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আপাতত আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।'
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদটি মূলত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নির্ধারিত। এ পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শিক্ষকতা করেন।
তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি রায়ের মাধ্যমে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি দিয়ে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এতে ৮ম শ্রেণি, এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং এইচএসসি পাস ব্যক্তিরাও এই পদে আসার সুযোগ পাচ্ছেন—যা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে।
এ অসন্তোষের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা।
আজকের অনশন কর্মসূচি স্থগিত করলেও শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী আলোচনায় সন্তোষজনক সমাধান না এলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন শুরু করবেন এবং পুনরায় অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন।