বকেয়া বেতন-বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ, আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বেলা ১২টার দিকে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে আজ (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে জেলার শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় একটি কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
পরে সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকার এইচডিএফ অ্যাপারেলস্ লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন ও বোনাস বকেয়া রয়েছে।সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। বৃষ্টি উপক্ষো করে বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা।
এদিকে, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, শিল্পপুলিশ এবং সেনা সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, কারখানার গত ফেব্রুয়ার ও মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও ঈদ বোনাস, উৎসব ভাতা সঠিক সময়ে পরিশোধ করা হয় না। বিষয়টি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরও কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই তারা শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
আয়েশা আক্তার নামের কারখানার এক শ্রমিক বলেন, 'আমাদের দুই মাসের বেতন ও বিভিন্ন ভাতা মালিক পরিশোধ করছেন না। আগেও বেতন-ভাতা নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে, কিন্তু আমাদের পাওনা পরিশোধ করেননি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। পেটের দায়ে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে আন্দোলন করছি।'
এইচডিএফ অ্যাপারেলসের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শিপু চৌধুরী বলেন, 'শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই তারা (শ্রমিকেরা) মহাসড়ক অবরোধে নামেন।'
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, মহাসড়ক অবরোধ করা পরপরই শ্রীপুর থানা পুলিশ, র্যাব, শিল্প ও হাইওয়ে পুলিশ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের দাবিতে অনড় থাকায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে। এরপরই শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়। পরে বেলা ১২টার দিকে যান চলাচল শুরু হয়, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'