নোয়াখালীতে হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ এনসিপি’র আব্দুল হান্নান মাসুদের

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের পথসভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার জাহাজমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
হান্নান মাসউদের দাবি, স্থানীয় 'বিএনপি-নামধারী কয়েকজনের' নেতৃত্বে ওই হামলা হয়। এতে এনসিপির পাঁচ-ছয়জন কর্মী আহত হন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এমন সময় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন মিছিল নিয়ে এসে আমাদের মিটিংয়ে ঢুকে পড়ে এবং হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।'
হান্নান মাসউদ আরও বলেন, 'হামলার সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা সড়কে অবস্থান নিয়েছি।'
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এক পোস্টে দাবি করা হয়, 'নোয়াখালীর হাতিয়ার জাহাজমারাতে বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক আব্দুল হান্নান মাসউদ ভাইকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য অতর্কিত হামলা।'
পোস্টটিতে আরও বলা হয়, 'এতে হান্নান মাসউদ ভাইসহ ৫০+ নেতাকর্মী গুরুতর আহত'
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত সাড়ে আটটা থেকে জাহাজমারা বাজারে সড়ক অবরোধ করেন এনসিপির কর্মী-সমর্থকেরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা হান্নান মাসউদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইউছুফ সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ এলাকার দুস্থ মানুষের খোঁজখবর নিতে হাতিয়ায় আসেন। সোমবার বিকেলে তিনি জাহাজমারা বাজারে যান এবং ইফতারের পর সন্ধ্যায় পথসভায় বক্তব্য দেন।
মোহাম্মদ ইউছুফের অভিযোগ, 'পশ্চিম দিক থেকে আসা বিএনপি-নামধারী একদল লোক মিছিল নিয়ে অতর্কিতে পথসভায় বাধা দেয় এবং হামলা চালায়। এতে মো. তুহিনসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।'
তিনি আরও বলেন, 'হামলাকারীরা হান্নান মাসউদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। তবে উপস্থিত জনতা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।'
এরপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এনসিপির নেতা–কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
নোয়াখালীর হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, 'হান্নান মাসউদের পথসভায় হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'