রাজধানীতে শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ৪২৬ 'সহায়ক' পুলিশ নিয়োগ

রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৪২৬ জনকে 'সহায়ক' ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চি করে বলেন, ''অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তা করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে ৪২৬ জনকে 'সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা' হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তারা 'পুলিশের চোখ' হিসেবে কাজ করছেন।''
তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে সহায়ক পুলিশ বাহিনীকে পুলিশকে সাহায্য করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল, বিশেষ করে ঈদ উৎসবের আগে শপিং মল এবং বাজারে ভিড়ের কারণে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। তবে শিগগিরই তাদের শহরের বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় মোতায়েন করা হবে।'
সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তাদের গোলাপি রঙের আর্মব্যান্ড সরবরাহ করা হয়েছে, যার উপরে ডিএমপির লোগো এবং 'সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা' লেখা।
ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাত আলী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর ১০ ধারা অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, নিরাপত্তা গার্ডের মতো নিরাপত্তা সম্পর্কিত দায়িত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রধানত অস্থায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এই অধ্যাদেশের ধারায় পুলিশ কমিশনারকে অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করার জন্য সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি প্রধান স্বাক্ষরিত ইংরেজিতে প্রদত্ত সনদ বা নিয়োগপত্রে বলা হয়, 'মিস্টার -----, যার ছবি এখানে টাঙানো হয়েছে, তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতা, দায়িত্ব ও সুযোগ-সুবিধার ওপর ন্যস্ত।
১০ ধারার (২) (খ) উপধারায় আরও বলা হয়েছে, সহায়ক কর্মকর্তাদের নিয়োগের পর 'নিয়মিত পুলিশ অফিসারদের মতো একই ক্ষমতা, দায়মুক্তি, কর্তব্য ও কর্তৃত্ব থাকবে এবং তারা নিয়মিত পুলিশ অফিসারদের মতোই আইনত সুরক্ষিত থাকবেন।
ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, 'সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তারা' সন্দেহভাজন অপরাধীদের আটক করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য নিয়মিত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।
তাদের নিয়োগের মেয়াদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ডিএমপি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার বলেছিলেন, রমজান ও ঈদের কেনাকাটায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।