প্রবাসীদের ভোট নিয়ে ওআইসির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে: ইসি সানাউল্লাহ

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে আমরা যদি বড় পরিসরে আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাই, তাহলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না।
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) ১০টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, তিন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিবসহ আলজেরিয়া, ব্রুনেই, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক ও মতবিনিময় হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওআইসিভুক্ত দেশের মিশনপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তিনি বলেন, '[ওআইসি দেশগুলোর] বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের জন্য পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমরা তাদের এ আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছি। বৈঠকে ইসির বিভিন্ন প্রস্তুতি, পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে সবাই আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।'
প্রক্সি ভোটিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, তিন ধরনের মেথডে আমরা কোনোটাকেই প্রায়োরিটিতে আনিনি। তিনটি মেথডকে (অনলাইন, পোস্টাল ব্যালট ও প্রক্সি ভোটিং) শর্ট লিস্ট করেছি।
'যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই, তাহলে কোনো না কোনো একটা অপশন বা সব অপশনের কম্বিনেশন আমাদের নিতে হবে। আর বড় পরিসরে যদি আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাই, তাহলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাকি যে দুটো বিকল্প রয়েছে এগুলো পাইলটিং পর্যায়ে যাওয়া যাবে, লার্জ স্কেলে ডেপ্লয় হয়ত করা যাবে না', বলেন তিনি।
পোস্টাল ও অনলাইন বিষয়ে তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটটা বর্তমানে অকার্যকরী। অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে আজও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রদূত জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই তারা।
প্রক্সি ভোটিংয়ের বিষয়ে কয়েকটি দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে আরেকজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। জমিজমাও পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আমাদের এখন মন্দের ভালো খুঁজে বের করতে হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার পর চূড়ান্ত পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।
বৈঠক শেষে ওআইসি প্রতিনিধিদের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওথমান কথা বলেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের একটি বড় সংখ্যক প্রবাসী বসবাস করছেন। এ সরকারের অধীনে সরকারের নির্বাচনী সংস্কার সব সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করছে মালয়েশিয়া। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ারে আগ্রহী, বিশেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এবং বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে।