মাগুরার সেই শিশু অবশেষে চোখ খুলেছে: প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আট বছর বয়সী এই মেয়েটি সোমবার সকালে প্রথমবারের মতো কিছুক্ষণের জন্য চোখ খুলেছে। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার আরও উন্নতি হবে বলে চিকিৎসকরা আশা করছেন।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আবুল কালাম আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিয়মিত মাগুরা থেকে মেয়েটির স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে।
উপ-প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ সিএমএইচে চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
হাফিজ চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং তারা তাকে জানিয়েছেন যে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তার মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মেয়েটির মস্তিষ্কে পানি জমেছিল, এবং তা এখনও পুরোপুরি অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।
আজাদ বলেন, তবে তার বুকের মধ্যে আটকে থাকা বাতাস অপসারণ করা হয়েছে এবং চিকিৎসকরা আশাবাদী যে, এক বা দুই দিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্য আরও কিছুটা উন্নতি করবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার শিশুটির স্বাস্থ্যের অগ্রগতি দেখতে সোমবার সিএমএইচে যান। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান আজাদ।
প্রাথমিকভাবে মেয়েটিকে মাগুরা সাধারণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, এবং পরে তার অবস্থার অবনতির ফলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামিকে সাত দিন এবং তিনজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মাগুরা সদর উপজেলার নিজানদুয়ালি গ্রামের নিহতের বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০), তার স্ত্রী জায়েদা খাতুন, তাদের দুই ছেলে সজিব শেখ ও রাতুল শেখ।