পৌনে ১ ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রাবি শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ধর্ষণের বিচারকার্য ৩০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করাসহ বিভাগীয় শহরে ডিএনএ স্যাম্পলিং কালেকশন মেশিন স্থাপনের দাবি জানান।
এর আগে, ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ (১০ মার্চ) বেলা সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে রাবি সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবোরধ করেন। বেলা ১টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যান।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, "আগামীকাল ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সবাই চোখে ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া, ৩০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা, বিভাগীয় শহরে ডিএনএ স্যাম্পলিং কালেকশন মেশিন স্থাপন ও এলিট শ্রেণির যারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।"
সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা 'তুমি কে আমি কে—আছিয়া, আছিয়া', 'আপস না সংগ্রাম—সংগ্রাম, সংগ্রাম', 'আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই', সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, "সারাদেশে নারীর প্রতি যে সহিংসতা ও নিপীড়ন চলছে, তাতে আমরা শঙ্কিত। এভাবে চলতে পারে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে এর দায় নিতে হবে। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড অতি দ্রুত কার্যকর করতে।"
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, "শুধু আছিয়া না, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তনু, খাদিজাসহ সব ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।"
এর আগে, বেলা সোয়া ১১টা থেকে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা মহানগরীর তালাইমারী এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কের দুপাশে যানজট তৈরি হয়।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেন।