আরএমজি রপ্তানি তো আছেই, আরও খাত খুঁজে বের করতে হবে: হোসেন জিল্লুর রহমান
২০২৫ সালের পরিবর্তনের বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চাকা সচল রাখতে নতুন গ্রোথ ড্রাইভার খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, আরএমজি রপ্তানি করছে, সেটা তো আছেই, নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে। ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ও চামড়ার খাতের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।'
সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত "বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় ও এফবিসিসিআই-এর ভূমিকা" শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া, দুর্নীতি সূচকের মতো হয়রানিকে রাষ্ট্রীয় ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, 'চীন থেকে আমেরিকার আমদানি সরছে, আর আমেরিকান কোম্পানিগুলো বিকল্প বাজার খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে।'
বাণিজ্য যুদ্ধে সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা, বাণিজ্য সুবিধা, পণ্যের বৈচিত্র্য এবং শাসনব্যবস্থা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এফবিসিসিআই কার্যত অকার্যকর ছিল এবং সংগঠনটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানের পর সংগঠনটির নেতৃত্বে একজন সাবেক আমলাকে বসানো হয়েছে, যার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে অভিজ্ঞতা নেই।
তিনি ব্যবসায়ীদের বর্তমান অবস্থা 'এতিমের মতো' আখ্যা দিয়ে বলেন, 'আমরা কার কাছে যাব, কোথায় যাব, কী করব বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে বন্দরের শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।'
সংগঠনের সাবেক নেতা আব্দুল হকও যুদ্ধের প্রভাব ও করণীয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বিগত সময়ে এফবিসিসিআই-এর ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নানান সমস্যায় থাকলেও এফবিসিসিআই কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
এসময় একটা কার্যকর ট্রেড বডির ভূমিকা রাখতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত নির্বাচন দাবি করেন। বিবিএফ-এর পক্ষ থেকে আব্দুল হকের নেতৃত্বে এফবিসিসিআই-এর নির্বাচনে প্যানেলে অংশ নেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
