২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ

২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯ শতাংশ।
সোমবার (২ জুন) টেলিভিশনে বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি নতুন রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার কথাও জানান।
সালেহউদ্দিন বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআর তাদের উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে। কর অব্যাহতি যুক্তিসঙ্গত করা এবং মধ্যমেয়াদী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, এসব প্রচেষ্টা সফল করতে জনবল বাড়িয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর অব্যাহতির সুবিধা ধীরে ধীরে কমানো, করজাল বাড়ানো এবং যেখানে সম্ভব সেখানে একক ভ্যাট হার চালুর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রাজস্ব আয়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ হবে এনবিআরের মাধ্যমে। বাকি ৬৫ হাজার কোটি টাকা আসবে অন্যান্য উৎস থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রায় দেড় দশক পর এটি সালেহউদ্দিন আহমেদের প্রথম বাজেট উপস্থাপনা।
তিনি বলেন, ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের বাজেট তুলনামূলকভাবে ছোট রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই বাজেটের লক্ষ্য নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুটা 'পরিত্রাণ' দেওয়া।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ও অর্থ বিল অনুমোদন দেওয়া হয়।