ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯.৩২ শতাংশ, খাদ্যে ৯.২৪ শতাংশ

বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে, গেল ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯.৩২ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ৯.৯৪ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে তা জানানো হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৬৭ শতাংশ।
এবছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.২৪ শতাংশ হারে, আগের মাসে যা ছিল ১০.৭২ শতাংশ। অর্থাৎ, এখানেও কমেছে শতাংশীয় পয়েন্টে।
খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমার ফলে তা সার্বিক মূল্যস্ফীতি হ্রাসেও ভূমিকা রেখেছে।
ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য-বহির্ভুত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৩৮ শতাংশ হারে, যা জানুয়ারির ৩.৩২ শতাংশের চেয়ে সামান্য বাড়ে।
এর আগে ডিসেম্বরে ১২.৯২ এবং নভেম্বরে ১৩.৮ শতাংশ হারে হয়েছিল সার্বিক মূল্যস্ফীতি। এনিয়ে গত চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার এক অংকের ঘরে ফিরল সার্বিক মূল্যস্ফীতি।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কম বা ৯.৯২ শতাংশ হয়েছিল, এরপর থেকে তা বাড়তে থাকে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও কতদিন লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আপাতত আমাদের মূল্যস্ফীতির দিকে মূল মনোযোগ আছে। এজন্য আরও দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।
মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে একথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এটি সমাধানের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
রমহানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও এসময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন।
আগামী জুন নাগাদ মূল্যস্ফীতির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার।
বিবিএসের তথ্যমতে, গত আড়াই বছর ধরেই সার্বিক মূল্যস্ফীতির মাসিক হার ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে।