Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
August 10, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, AUGUST 10, 2025
এবার জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি ব্যবহার না করার অদ্ভুত দাবি!

মতামত

মনোয়ারুল হক
21 June, 2023, 03:45 pm
Last modified: 21 June, 2023, 03:52 pm

Related News

  • ৬ মাসে সংশোধিত ৯ লাখ এনআইডি, ৭৬ হাজারের মতো আবেদন অনিষ্পন্ন: ইসি সচিব
  • সরকারি নিয়োগে এনআইডি বাধ্যতামূলক করতে চায় ইসি
  • সারাদেশে ৫০০-এর বেশি ব্যক্তির একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে: এনআইডি ডিজি
  • হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের এনআইডি ‘লকড’
  • বাতিল হচ্ছে আইন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা: সিইসি

এবার জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি ব্যবহার না করার অদ্ভুত দাবি!

যে নারীরা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে উপস্থিত হয়ে এই দাবি তুললেন, তারা কি তাহলে বিবাহ রেজিস্ট্রেশনেরও বাইরে থাকতে চান? আর তারা যদি হজে যেতে চান, তাহলেও তাদেরকে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হবে এবং সেই পাসপোর্টে তাদের ছবি সংযুক্ত করতে হবে। না হলে সৌদি আরব তাদেরকে সেদেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। তাহলে কি আপনারা হজও বর্জন করবেন?
মনোয়ারুল হক
21 June, 2023, 03:45 pm
Last modified: 21 June, 2023, 03:52 pm
অলংকরণ: টিবিএস

পৃথিবীর সকল সমাজের বিভাজনের বড় সামাজিক কারণ হচ্ছে ধর্ম। ধর্মীয় মতদ্বৈততাই সমাজকে সবচেয়ে বেশি বিভক্ত করে। তার অসংখ্য উদাহরণ পৃথিবীর নানা সমাজে বিদ্যমান। আমাদের দেশও তার থেকে বাইরে নয়। 

অনেক দিন ধরেই মুখ আচ্ছাদিত করে বোরকা পরা নিয়ে নানান আলোচনা চলছিল। দেশের বিভিন্ন অংশে, পরীক্ষার হলে ছাত্রীরা নেকআব (মুখ আচ্ছাদন) অপসারণ করতে রাজি হচ্ছিল না। পরীক্ষার হলে তারা সরাসরি অস্বীকৃতি জানালে বিব্রতকর অবস্থা চলছিল। ক্ষেত্রবিশেষে দেখা যাচ্ছিল, তারা এই বোরকার সহযোগিতায় ব্লুটুথ ব্যবহার করে নকল করছে। পরীক্ষা হলের এসব বিষয় যখন সামনে আসলো, তখন হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা জারি করলেন। হাইকোর্ট সুস্পষ্ট আদেশ প্রদান করলেন, পরীক্ষার হলে তাদের মুখের আইডেন্টিটি প্রকাশ করতে হবে।

এই আদেশ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের কয়েকজন ছাত্রীর করা রিট মামলায়। আদালতে তারা পরীক্ষার হলে মুখ প্রদর্শন করতে চায় না। তাদের আইডেন্টিটি নেওয়ার ব্যবস্থা রদ করার জন্য ছিল এই রিট। সেই আবেদন নিষ্পত্তি করতে গিয়েই শীর্ষ আদালত উপরে উল্লেখিত আদেশ প্রদান করেছিলেন।

এরপরেও ব্যাপারটা থেমে থাকেনি, এই উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী নতুন করে আন্দোলন করার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। কয়েক দিন আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাকক্ষে সমবেত হলেন কিছু নারী। যারা দাবি করলেন, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। নিজেদের কোনো পরিচয়পত্র তারা দেখালেন না। তারা সেখানে দাবি করলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য ছবি বাধ্যতামূলক রাখা যাবে না। তাদের ছবি তারা লাগাবেন না। অথচ এই নারীরা জানেন, পাসপোর্ট নিতে হলে তাদেরকে অবশ্যই ছবি যুক্ত করতে হবে।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে বিবাহ রেজিস্ট্রিও বাধ্যতামূলক। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোপনে অথবা প্রকাশ্যেই বিবাহ কাজ সম্পাদন হচ্ছে, রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই। কাকরাইল মসজিদের অনুসারীরা অধিকাংশই বিবাহ রেজিস্ট্রি মানতে রাজি নন। রাষ্ট্রীয় আইনে অনেক ক্ষেত্রেই এদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা হয় না। আমরা সেই মামুনুল হকের কথা জানি, তিনি যাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে উল্লেখ করেছিলেন, তার পক্ষে তিনি তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

যে নারীরা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে উপস্থিত হয়ে এই দাবি তুললেন, তারা কি তাহলে বিবাহ রেজিস্ট্রেশনেরও বাইরে থাকতে চান? আর তারা যদি হজ যেতে চান, তাহলেও তাদেরকে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হবে এবং সেই পাসপোর্টে তাদের ছবি সংযুক্ত করতে হবে। না হলে সৌদি আরব তাদেরকে সেদেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। রিপোর্টার্স ইউনিটির সেই সভায় কোনো সাংবাদিক এই প্রশ্নটি তাদেরকে করেননি, তাহলে কি আপনারা হজও বর্জন করবেন? আপনারা কি হজ করবেন না জীবনে কখনো?

পৃথিবীতে এমন কোনো দেশের সন্ধান পাওয়া যাবে না যেখানে এ ধরনের ব্যবস্থা আছে যে, পাসপোর্ট কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবির সংযোজন না করলেও চলে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নারী বিরোধী নানা আইন বিদ্যমান থাকলেও বর্তমানে সৌদি আরব সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। দেশটিতে এক সময় নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল, এখন তারা এই আইন তুলে নিয়েছে।

যে নারীরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গিয়ে ছবি ব্যবহার না করার দাবি তুলেছেন, তারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন? ভেবে দেখেছেন? আফগানিস্তানের তালেবানি সমাজের? যে সমাজে নারীশিক্ষা নিষিদ্ধ। নারীরা ঘরের বাইরে চাকরিতে যেতে পারে না। আমাদের এই নারীরা কি সেই পথেই হাঁটছেন?

বর্তমান সরকারের নারীর ক্ষমতায়নের নানান কার্যক্রমের বিপক্ষে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করছে এই নারীরা? বর্তমানে দেশে বহু ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান। তবে এ উপমহাদেশের তিনটি দেশেরই প্রায় একই অবস্থা। মধ্যে কিছুটা পার্থক্য ভারতে আছে। ভারতের প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব সুনির্দিষ্ট পাঠ্য কার্যক্রমে পরিচালিত হয়। ভারতের কয়েকটি রাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার গভীরতা সৃষ্টি হয়েছে; ফলে এই মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের জীবন অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত; তার উদাহরণ- ভারতের পশ্চিমবাংলা। আর আমাদের এখানেও মাদ্রাসা শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে অজস্র মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। আর মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা দুর্বল ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে অর্জিত ডিগ্রির মাধ্যমে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আসনে অংশ নেওয়া যায়। 

ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ফসলই ব্যাপকভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার বিকাশ। এ অবস্থার তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর নানান মতবাদ অবাধে প্রচার করার সুযোগ রাষ্ট্র দীর্ঘকাল বহাল রাখায়। অথচ ছবি সংক্রান্ত এ অদ্ভুত দাবীর সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের প্রায় শতভাগ পরিবারের সাথে এই দাবির কোনো মিল নাই। এই দর্শনকে শক্তভাবে মোকাবেলা করতে হবে। নয়তো ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের।


  • বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফল। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। 

Related Topics

টপ নিউজ

হিজাব / জাতীয় পরিচয়পত্র / নেকাব

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ড্যাপ সংশোধন: ঢাকার কিছু এলাকায় ভবন নির্মাণে ফ্লোর এরিয়া রেশিও দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে
  • প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু, কার্যক্রম শুরু সেপ্টেম্বরে
  • “স্ত্রীকে মেরে ফেলছি, আমাকে নিয়ে যান”: হত্যার পর ৯৯৯-এ স্বামীর ফোন
  • সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে বিপর্যস্ত ব্যাংক খাতের রোগ নিরাময় করছে
  • গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার
  • মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বিরল মৃত্তিকা উত্তোলন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যাচ্ছে চীনে

Related News

  • ৬ মাসে সংশোধিত ৯ লাখ এনআইডি, ৭৬ হাজারের মতো আবেদন অনিষ্পন্ন: ইসি সচিব
  • সরকারি নিয়োগে এনআইডি বাধ্যতামূলক করতে চায় ইসি
  • সারাদেশে ৫০০-এর বেশি ব্যক্তির একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে: এনআইডি ডিজি
  • হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের এনআইডি ‘লকড’
  • বাতিল হচ্ছে আইন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা: সিইসি

Most Read

1
বাংলাদেশ

ড্যাপ সংশোধন: ঢাকার কিছু এলাকায় ভবন নির্মাণে ফ্লোর এরিয়া রেশিও দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে

2
বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু, কার্যক্রম শুরু সেপ্টেম্বরে

3
বাংলাদেশ

“স্ত্রীকে মেরে ফেলছি, আমাকে নিয়ে যান”: হত্যার পর ৯৯৯-এ স্বামীর ফোন

4
অর্থনীতি

সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে বিপর্যস্ত ব্যাংক খাতের রোগ নিরাময় করছে

5
বাংলাদেশ

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

6
আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় বিরল মৃত্তিকা উত্তোলন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যাচ্ছে চীনে

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net