Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
June 21, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, JUNE 21, 2025
'ইউক্রেন হারতে চলেছে'

মতামত

ব্রান্ডন জে ওয়াইকার্ট; এশিয়া টাইমস 
06 March, 2023, 09:10 pm
Last modified: 07 March, 2023, 05:22 am

Related News

  • কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি ইসরায়েল 'স্পষ্ট অবজ্ঞা' দেখিয়েছে: রাশিয়ার জাতিসংঘের দূত
  • ইসরায়েল-ইরান সংকট মোকাবেলায় শি ও পুতিনের ঐকমত্য, ট্রাম্পকে গোপন বার্তা!
  • রুশ বিশেষজ্ঞরা এখনো ইরানের বুশেহর পারমাণবিক কেন্দ্রে কাজ করছেন: রাশিয়া
  • ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা 'চেরনোবিল বিপর্যয়' ডেকে আনবে সতর্ক করল রাশিয়া
  • স্টারলিংকের প্রতিদ্বন্দ্বী স্যাটেলাইট চালু করতে যাচ্ছে রাশিয়া

'ইউক্রেন হারতে চলেছে'

শান্তি আলোচনার সুযোগও আর নেই...
ব্রান্ডন জে ওয়াইকার্ট; এশিয়া টাইমস 
06 March, 2023, 09:10 pm
Last modified: 07 March, 2023, 05:22 am

বাখমুতের নিকটবর্তী এলাকায় এক ইউক্রেনীয় সেনা। ছবি: উইকিপিডিয়া/ ভায়া এশিয়া টাইমস

ইন্টারনেটে নজর রাখলেই পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের এমন ধারণার কথা জানবেন, যেখানে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ এক দীর্ঘস্থায়ী শক্তিক্ষয়ের লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। বিপুল এই রক্তপাতে বলহীন ও পরাজিত হবে রাশিয়ান সেনাবাহিনী। কিন্তু, শক্তিক্ষয়ের এ প্রতিযোগিতায় যদি ইউক্রেনের সমাজই ভেঙে পড়ে, যদি নিশ্চিহ্ন হয় জনসংখ্যার অধিকাংশ? তাদের ভাষ্যমতে, তবুও অন্তত রাশিয়ার ভয়াল যুদ্ধযন্ত্রকে ইউক্রেনের বধ্যভূমিতে ঠেকানো যাবে।

উপরোক্ত ধারাবর্ণনায় যারা বিশ্বাস করছেন, তারা আছেন কল্পনার জগতে। 

ভাবনার আকাশ ছেড়ে, মাটিতে পা রাখুন; বাস্তবতা এটাই যে, আসলে রিক্ত হয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। পশ্চিমা সমরাস্ত্র সরবরাহেও টান পড়েছে, ন্যাটো জোটের দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও গোলাবারুদের ভাণ্ডার যেন গড়ের মাঠ। যুদ্ধের গতি আবার নতুন মোড় নিচ্ছে এমন দিকে- যেখানে রুশ প্রতিপক্ষই বেশকিছু অতি-আবশ্যক সুবিধা পাবে। 

শক্তিক্ষয়ের লড়াই শেষমেষ আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের নিষ্পত্তি করবে এই ধারণা নিয়ে যারা বসে আছেন, তাদের বলি, এর সম্ভাবনা ন্যূনতম। 

এই সংঘাতে সবকিছু বাজি ধরেছে মস্কো। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত অবসানের সম্ভাবনার দুয়ারও তাই বন্ধ। রাশিয়া যদি অচিরেই বড় পরাজয়ের মুখ দেখে তাহলে হয়তো এ সম্ভাবনার দ্বার আবার খুলবে। (কিন্তু, তেমন কোনো বিপদের মুখে তারা যে নেই – অন্তত বাখমুতের লড়াই তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে)। মোদ্দা কথা, ইউক্রেনীয় বাহিনীর চেয়ে রাশিয়ানদের সংখ্যাধিক্যই তাদের সে বিজয় নিশ্চিত করবে, যার অপেক্ষায় তারা আছে। 

অথচ এ যুদ্ধের পরিণতি – ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা সমর্থকদের লজ্জাজনক পরাজয় – এড়ানোর প্রচুর সুযোগ ছিল। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে তাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণহীন হয়েছে, এই দুর্বলতার ঘ্রাণও পেয়েছে রুশ ভাল্লুক – ফলে তারা যেকোনো উপায়ে ইউক্রেন রাষ্ট্রকে ভাঙ্গবে এবং পদাবনত করবে। এই শেষের শুরুটা হয়তো এরমধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে ঘটছে।

গত কয়েক মাস রাশিয়ানরা ব্যয় করেছে শহরটি ঘিরে ফেলার কাজে। ফলে প্রচণ্ড চাপের মুখেই পড়ে কিয়েভের বাহিনী। এই অবস্থায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, তার সেনারা বাখমুতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়বে। 

কিন্তু, কিয়েভের এসব বীরোচিত ঘোষণা মাঠপর্যায়ে যোদ্ধাদের কানে ফাঁকাবুলির মতোই হয়তো বেজেছে; কারণ এরমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে যে, বাখমুতে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছে, যা প্রতিনিয়ত আরো বাড়ছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বলছেন যে, বাখমুতে পরিস্থিতি আরো অসহনীয় হয়ে উঠছে এমনটা মনে হলেই তারা সেনা প্রত্যাহার শুরু করবেন।  

বাখমুতের ধবংসযজ্ঞ। ছবি: সিএনবিসি/ স্ক্রিনগ্র্যাব

ফলে মার্চের শুরুতেই বাখমুতে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে শক্তিহীন করে ফেলার রুশ পরিকল্পনা সফল হচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে। ইউক্রেনও অবরুদ্ধ শহরটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে, কয়েক মাসের যুদ্ধে বাখমুত সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত এক জনপদে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভের কর্মকর্তারা।

শুধুমাত্র বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ উভয় পক্ষের কাছেই গুরুত্বহীন। কিন্তু, পূর্ব ইউক্রেনীয় এ ছোট শহরের আবেদন এখানেই যে এটি নিপার নদীতে যাওয়ার পথের ধারে অবস্থিত। বাণিজ্য ও পরিবহনের গতিশীল কেন্দ্র নিপার- ইউক্রেনের জন্য এক প্রাণদায়ী ধমনীর কাজ করে। 

ইউক্রেনের ভেতরে এ নদী ভূকৌশলগত এক চেকপয়েন্টও বটে। গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনারা নিপার নদীর বিভিন্ন দ্বীপের দখল নিয়ে লড়াই করছে।    

এখন পর্যন্ত এই অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে হটাতে পারেনি ইউক্রেনীয়রা। আর বাখমুতের পতন হলে, (যা অত্যাসন্ন) পূর্ব দিক থেকে আরো পিছু হটতে হবে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের। তাই পশ্চিমাদের আসল উদ্বেগটা থাকা উচিত নিপার নদীর ভাগ্য নিয়ে। 

ইউক্রেনের শক্তিক্ষয়ের রুশ কৌশল কাজে দিচ্ছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যের মধ্যে ন্যূনতমটা হলো- ইউক্রেনের রুশভাষী অধ্যুষিত এলাকাসহ দক্ষিণে ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা।  

বাখমুত থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হটানোর পর নিপার নদীর দিকে ধাবিত হবে রুশ সেনারা। আর একবার তারা এ নদীপথের দখল নিলে- বাদবাকি ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হবে পূর্বাঞ্চল। নিপারের ওপর রুশ নিয়ন্ত্রণ থাকলে দক্ষিণে ক্রিমিয়ায় আক্রমণ অভিযান চালাতে পারবে না কিয়েভ।  

এভাবে ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রের ধীর ও যন্ত্রণাদায়ক এক মৃত্যু ধেয়ে আসছে। এটা আগামী কয়েক মাসে হোক বা এক বছর লাগুক, রাশিয়ানরা অপেক্ষা করবে। নিজ ইতিহাসের সকল যুদ্ধ রুশরা যেভাবে লড়েছে – বিপুল জনবল, চরম নিষ্ঠুরতা ও সময় নিয়ে – এই যুদ্ধও তারা একই কৌশলে লড়বে। 

বাখমুতে ইউক্রেনের পিছু হটা সম্পূর্ণ পরাজয়ে রূপ নিয়েছে      

সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, বাখমুত কৌশলগতভাবে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কিন্তু, তাদের এ দাবি সামান্য এক পরীক্ষাতেই টেকে না। কেননা বাখমুত যদি এত গুরুত্বহীনই হয়, তাহলে এতদিন ধরে নিজেদের সীমিত সম্পদ ও জনবল সেখানে কেন ব্যয় করেছে ইউক্রেন? কেনইবা এত দীর্ঘদিন সেখানে প্রতিরোধের লড়াই করেছে তাদের যোদ্ধারা?  

অনেকে বলছেন, ইউক্রেনীয়দের লক্ষ্য ছিল রুশ প্রতিপক্ষের রক্তক্ষয় করা। এতদিন তারা সেটাই করেছে। কিন্তু, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তারা সেখান থেকে সরে শহরের বাইরে নতুন প্রতিরোধ লাইনে জড়ো হচ্ছে। নতুন এই রণাঙ্গনে তারা আবার রাশিয়ানদের কচুকাটা করতে চায়।  

এমন কাল্পনিক ধারণা যেন নাৎসি জার্মানির শেষদিনগুলোয় হিটলারের বাঙ্কারে ঘটা ঘটনাবলীর সাথেই তুলনীয়। মিত্র বাহিনী যখন বার্লিনের দিকে এগিয়ে আসছে, তখন বাঙ্কারে অবস্থান করা হিটলার বিশাল বিশাল আর্মি গ্রুপগুলিকে প্রতিরোধ অবস্থান নেওয়ার আদেশ জারি করছিলেন। এসব সেনাদলের বাস্তব অস্তিত্ব ততোদিনে বিলীন, সামরিক মানচিত্রে আঁকিবুঁকি ছাড়া আর কিছু নয় তাদের অবস্থান। 

ফুয়েরার তখন বদ্ধ উন্মাদ প্রায়, ফলে জার্মান জেনারেলদের অনেকেই তাকে আসল সত্যিটা বলার সাহস পাননি। বলতে পারেননি, এসব ইউনিট নির্মূল হয়েছে অনেক আগেই, পরাজয় অবধারিত, আরো কোনো আশা নেই।     

যারা আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন, তাদের দাবি ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীর রক্তপাত ঘটিয়ে তাকে দুর্বল করছে। গত চারদিনেই বাখমুতের লড়াইয়ে তিন হাজার সেনা হারিয়েছে রাশিয়া। অথচ তারপরও শহরের দখল নিল তারা। এমনকী এখন মধ্য ইউক্রেনের দিকেও অগ্রসর হচ্ছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন অগণিত সেনা হারিয়েছে, যাদের শূন্যস্থান পূরণ করা তাদের জন্য দিনকে দিন আরো কঠিন হয়ে উঠছে।    

সে তুলনায়, বাখমুতের লড়াইয়ে যেসব রুশ সেনা মারা গেছে, তাদের বেশিরভাগই হয় জেলমুক্ত কয়েদি নাহয় নতুন করে ভর্তি করা সেনা। সহজেই তাদের শূন্যস্থান পূরণ করবে মস্কো। 

তাই ইউক্রেনীয়রা যদি তাদের চেয়ে কম প্রশিক্ষিত রুশ সেনাদের বেশি সংখ্যায় হত্যাও করে, তবুও এটা সংখ্যারই খেলা। রাশিয়ার সেনা সংখ্যা যেমন উচ্চ, তেমনি ইউক্রেনকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকারেও অটল পুতিন, এই দুইয়ের সামনে ইউক্রেন টিকতে পারবে না। এক বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর ন্যাটো জোটের বর্তমান কার্যকালাপের চেয়ে পুতিনকেই বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে।   

শুধু হত্যার মাধ্যমে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারবে না ইউক্রেন

বাখমুতের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার সহকর্মী ড্যানিয়েল ডেভিস সম্প্রতি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত প্রকাশনা '1945' এ লিখেছেন, 'ইউক্রেনের সেনাবাহিনী অনেক আগেই, অন্তত ২০২২ এর মে মাসেই জানতো বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব। এজন্য তারা স্লোভিয়ানস্ক-ক্রামাতোরস্ক এলাকায় নতুন প্রতিরক্ষা লাইন তৈরির কাজ শুরু করে। 

'এরপর জানুয়ারিতে সোলেদারের পতন হলো, ফেব্রুয়ারিতে বাখমুতের যুদ্ধে সেনাসংখ্যাও বাড়াল রাশিয়া। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়েই স্লোভিয়ানস্ক-ক্রামাতোরস্ক প্রতিরক্ষা সারিতে সুসংগঠিতভাবে সেনা প্রত্যাহার করে আনতে পারতেন ইউক্রেনীয় নেতারা'। 

অর্থাৎ, তিনি বলছেন নতুন লাইনে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ হেলায় হারিয়েছে ইউক্রেন। 

অন্যদিকে, ইউক্রেনকে পশ্চিমা ট্যাংক দেওয়া নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমে যতই মাতামাতি করা হোক না কেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী যে পরিমাণ সাঁজোয়া শক্তি চেয়েছিল, প্রতিশ্রুত ট্যাংকের সংখ্যা কিন্তু তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। প্রতিশ্রুত এসব সাঁজোয়া যানের মধ্যে বলতে গেলে এখনও কিছুই পায়নি কিয়েভ। আর মার্কিনীদের প্রতিশ্রুত মেইন ব্যাটল ট্যাংক- আব্রামস আসতে অন্তত এক বছর লাগবে। 

সেপ্টেম্বর ২০২২; আমেরিকার তৃতীয় প্রজন্মের মেইন ব্যাটেল ট্যাংক আব্রামস পোল্যান্ডের এক যুদ্ধ মহড়ায়। ছবি: আর্তুর উইদাক/ আনাদলু এজেন্সি ভায়া গেটি ইমেজেস

পূর্বে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর, এবং লড়াই যত স্থায়ী হবে ক্ষয়ক্ষতিও পাল্লা দিয়ে বাড়বে। ফলে শেষপর্যন্ত যখন পশ্চিমা ট্যাংক পৌঁছাবে, তখন যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণে তারা কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। 

নিজেই নিজের সেনাবাহিনীকে ধবংস করছে ইউক্রেন

ড্যানিয়েল ডেভিসের বিশ্লেষণ অনুসারে, বাখমুতের প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টায় ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে, তাতে তাদের আক্রমণ অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। খুব শিগগিরই যা পূরণ হবারও নয়।

এশিয়া টাইমসের কলাম লেখক স্টিফেন ব্রিয়েন সঠিক আন্দাজই করেছিলেন যে, রাশিয়ার আক্রমণের মুখে বাখমুতে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে যাবে এবং তাই কিয়েভ রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়ায় পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। অথচ যখন ইউক্রেনীয় বাহিনীর পূর্ণশক্তিও ছিল, তখনও দক্ষিণে তারা শক্ত প্রতিরোধের মুখেই পড়েছে। অনুধাবন করে, রাশিয়ার গড়া প্রতিরোধ লাইন ভেঙে ক্রিমিয়াকে মুক্ত করা হবে খুবই কঠিন। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এখন যে অবস্থা, তাতে তারা ক্রিমিয়ামুখী অভিযান চালালে তা পশ্চিমা দুনিয়ার জন্য সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের কারণ হবে। 

সময়ও এখন রাশিয়ানদের পক্ষে। মস্কোকে কোনো আলোচনায় অংশ নিতে হবে না। ইউক্রেনের সেনারা পিছু হটছে, এবং অচিরেই তারা পাল্টা-আক্রমণে যাবে এমন সম্ভাবনাও কম। এরমধ্যে তারা যদি ক্রিমিয়ায় হামলা চালায়, (যে চেষ্টা তারা করছে বলেই দেখা যাচ্ছে) তাহলে এই আক্রমণ ব্যর্থই হবে। 

ক্রিমিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধে কোনো দৈব ঘটনাও যদি ঘটে এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনী অনেক দূর অগ্রসরও হয়– তাহলে রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি অনেক বেড়ে যাবে।

এক কথায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী ক্রান্তিকালে প্রবেশ করছে। এই পর্যায়ে পশ্চিমা দুনিয়ার প্রয়োজন ইউক্রেনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে আরেকবার বাস্তবতার আতসকাঁচের তলে দেখা। কারণ, রাশিয়ানরা আত্মসমর্পণ করবে না, এবং তাদের একমাত্র মিশন ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রকে গুঁড়িয়ে দেওয়া। এক বছর আগেই স্বদেশকে বাঁচাতে পারতো জেলেনস্কির সরকার, কিন্তু পশ্চিমা নেতাদের গোয়ার্তুমির ফলে রাশিয়ার সাথে কোনো শান্তিচুক্তি করা যায়নি।

আমার আক্ষেপ এটাই পশ্চিমারা ইউক্রেনে হারবে। কতোটা বাজেভাবে আমরা হারতে চাই, সেটাই এখন নির্ণয় করতে হবে। আশা করি, এনিয়ে বাস্তবিক পর্যালোচনা চলছে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসে।

নাহলে, আমরা সবাই তাকিয়ে আছি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকির দিকে, যে যুদ্ধ হবে পারমাণবিক অস্ত্রের। আর এই যুদ্ধে প্রথমে নিজে ধবংস না হয়ে জয়লাভ করতেও পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। যেমন পরিণতি প্রথম মহাযুদ্ধে জড়িয়ে ইউরোপের বৃহৎ শক্তিগুলোরও হয়েছিল।  


  • লেখক: ব্রান্ডন জে উইকার্ট আমেরিকান ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক

Related Topics

টপ নিউজ

ইউক্রেন যুদ্ধ / রাশিয়া / পশ্চিমা বিশ্ব

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি সেবায় ঘুষবাণিজ্য: শীর্ষে বিআরটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বিতীয়—বিবিএসের জরিপ
  • মেড ইন হাজারীবাগ: চামড়ার তৈরি পণ্যের হাব হয়ে ওঠার গল্প
  • খোদ দুদকের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত, ঘুষ দিতে হয়েছে ১.৯৯ শতাংশ নাগরিককে: বিবিএস জরিপ
  • ইরানে ‘বাংকার-বাস্টার’ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল, কতটা ভয়ানক এই বোমা?
  • ইসরায়েলিদের ‘সামরিক ও গোয়েন্দা এলাকা’ এড়িয়ে চলার আহ্বান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

Related News

  • কূটনৈতিক সমাধানের প্রতি ইসরায়েল 'স্পষ্ট অবজ্ঞা' দেখিয়েছে: রাশিয়ার জাতিসংঘের দূত
  • ইসরায়েল-ইরান সংকট মোকাবেলায় শি ও পুতিনের ঐকমত্য, ট্রাম্পকে গোপন বার্তা!
  • রুশ বিশেষজ্ঞরা এখনো ইরানের বুশেহর পারমাণবিক কেন্দ্রে কাজ করছেন: রাশিয়া
  • ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা 'চেরনোবিল বিপর্যয়' ডেকে আনবে সতর্ক করল রাশিয়া
  • স্টারলিংকের প্রতিদ্বন্দ্বী স্যাটেলাইট চালু করতে যাচ্ছে রাশিয়া

Most Read

1
বাংলাদেশ

সরকারি সেবায় ঘুষবাণিজ্য: শীর্ষে বিআরটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বিতীয়—বিবিএসের জরিপ

2
ফিচার

মেড ইন হাজারীবাগ: চামড়ার তৈরি পণ্যের হাব হয়ে ওঠার গল্প

3
বাংলাদেশ

খোদ দুদকের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত, ঘুষ দিতে হয়েছে ১.৯৯ শতাংশ নাগরিককে: বিবিএস জরিপ

4
আন্তর্জাতিক

ইরানে ‘বাংকার-বাস্টার’ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল, কতটা ভয়ানক এই বোমা?

5
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলিদের ‘সামরিক ও গোয়েন্দা এলাকা’ এড়িয়ে চলার আহ্বান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

6
বাংলাদেশ

ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net