Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

সত্যজিৎ বললেন, ‘ইউরেকা! ইউরেকা! আমি পেয়েছি অনঙ্গ বউকে’

ববিতা মনে করেন, সত্যজিতের ছবিতে অভিনয় করাই তার জীবনের সেরা অর্জন।
সত্যজিৎ বললেন, ‘ইউরেকা! ইউরেকা! আমি পেয়েছি অনঙ্গ বউকে’

বিনোদন

হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক
02 May, 2021, 01:10 pm
Last modified: 02 May, 2021, 01:15 pm

Related News

  • বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত!
  • ‘পথের পাঁচালী’-এর ‘দুর্গা’ পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে
  • ‘পদাতিক’-এ খোদ সত্যজিতের গলার আওয়াজ, এআই দিয়ে বড় চমক সৃজিতের
  • ৭৮ বছর বয়সে মারা গেলেন 'গুপী গাইন' খ্যাত সংগীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল
  • ছোটবেলায় সত্যজিৎকে চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যা; কিন্তু সাহস হয়নি পাঠানোর!

সত্যজিৎ বললেন, ‘ইউরেকা! ইউরেকা! আমি পেয়েছি অনঙ্গ বউকে’

ববিতা মনে করেন, সত্যজিতের ছবিতে অভিনয় করাই তার জীবনের সেরা অর্জন।
হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক
02 May, 2021, 01:10 pm
Last modified: 02 May, 2021, 01:15 pm

আজ কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী। তিনি ছিলেন একধারে চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক ও লেখক। তাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়।

কিংবদন্তি এই ভারতীয় চলচ্চিত্রকারের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন বাংলাদেশের বরেণ্য অভিনেত্রী ববিতা। বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি জাতীয় পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু তার জীবনের অন্যতম অর্জন সত্যজিতের ছবিতে অভিনয় করা, এমনটাই দাবি স্বয়ং ববিতার।

'অশনি সংকেত' নামের ওই ছবি মুক্তি পায় ১৯৭৩ সালে। ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন কলকাতার আরেক বরেণ্য অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

সত্যজিতের জন্মদিন উপলক্ষে ববিতার সঙ্গে কথা হয় গত ১ মে। তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের কাছে বলেছেন সত্যজিতের সঙ্গে পরিচয় ও 'অশনি সংকেত' সিনেমায় যুক্ত হওয়ার গল্প।

ববিতা বলেন, 'তখন সদ্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমি মাত্র কয়েকটা সিনেমা করেছি। ঘটনাটা ১৯৭২ সালের শেষ দিকে বা ১৯৭৩ সালের শুরুতে হবে। এফডিসিতে শুটিং করছিলাম। খেয়াল করলাম কেউ একজন আমার ছবি তুলছেন। একজন বলল, ইন্ডিয়া থেকে এসেছে। সবকিছু দেখে ছবি তুলছে। খুব বেশি গুরুত্ব দিলাম না।'

'অশনি সংকেত'-এ ববিতা

'তখন আমরা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়াতে থাকি। ওই ছবি তোলার ঘটনার কয়েকদিন পর আমাদের বাসার ঠিকানায় আমার নামে একটি চিঠি এলো। চিঠি পড়ে আমরা অবাক। সত্যজিৎ রায়ের মতো বিখ্যাত পরিচালকের সঙ্গে ছবির ব্যাপারে দেখা করতে যেতে হবে ভারতে। শুরুতে অবাক হলেও পরে ব্যপারটা নিয়ে হাসাহাসি করি আমার বোনেরা মিলে। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, এটা কেউ মজা করে লিখেছে। আমাদের কোনো বন্ধু বা ভক্ত। তাই পরের দিনই চিঠির কথা ভুলে গেলাম,' বলেন তিনি।

"কিন্তু কয়েকদিন পর ঘটল আরেক ঘটনা। বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাস থেকে বাসায় ফোন করা হলো বাসার টিঅ্যান্ডটি ফোনে। আমাকে আবারও বলা হলো, সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে। ওপাশ থেকে বলল, 'কয়েকদিন আগে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, আপনারা বোধহয় গুরুত্ব দেননি।' এসব শুনে একটু বোকা বনে গেলাম। ওই চিঠি কি সত্যি ছিল?"

ববিতা বলেন, 'তখন আমার বয়স ১৫ বা ১৬ বছর। পরে কয়েকদিনের মধ্যে সুচন্দা আপাকে নিয়ে কলকাতায় যাই সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করতে।'

স্মৃতিচারণায় তিনি আরও বলেন, "তখন ওই ছবির প্রডিউসার নন্দা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা হলো। তিনি আমাদের কলকাতা যাওয়ার ব্যাপার সহযোগিতা করলেন। ওটাই আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ। আমাদের দেখা হওয়ার ঘটনা খুব অদ্ভুত। আমরা গিয়ে গ্রান্ড ওয়েরর হোটেলে উঠলাম। পরদিন তার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি সকালে উঠে ভাবলাম, এত বড় মাপের একজন পরিচালক আমাকে দেখবেন, একটা প্রস্তুতি তো আছে। আমি খুব কড়া মেকআপ করলাম। সেজেগুজে হাজির হলাম তার বাড়িতে। দরজা খুললেন স্বয়ং সত্যজিত। আমি তো অবাক। এত লম্বা মানুষ! আমি ঘাড় উঁচু করে তাকালাম। আমাকে দেখেই তিনি বললেন, 'তুমি এত মেকআপ করে এসেছ কেন? আমি তো তোমাকে মেকআপ অবস্থায় দেখতে চাইনি।' এটা ‍শুনে আমার খুব মন খারাপ হলো। ভয়ও পেয়ে গেলাম। তার ছবিতে অভিনয়ের আশা ছেড়ে দিতে হবে। পুরোটা সময় মাথা নিচু করে থাকলাম।"

"এরমধ্যে বিজয়া বৌদি (সত্যজিতের স্ত্রী) চা নাস্তা দিয়ে গেলেন। কিন্তু আমি কোনোভাবেই সত্যজিৎ বাবুর দিকে তাকাতে পারছিলাম না। কথাও বলতে পারলাম না আর। তখন সুচন্দা আপাকে তিনি বললেন, 'তোমার বোন কি অনেক লাজুক? ও কি অভিনয় করতে পারবে?'"

"তখন আপা বললেন, 'দাদা, বাংলাদেশে ওর দু-তিনটা ছবি রিলিজ হয়েছে। ওকে বাংলাদেশের দর্শক খুব পছন্দ করেছে।' উনি 'তাই নাকি' বলে আমাকে তিনটা ছোট চিত্রনাট্য দিলেন। তারপর বললেন, 'তুমি কাল এগুলো মুখস্ত করে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে আসবে। সেখানে তোমার অডিশন, স্ক্রিন টেস্ট আর ভয়েসটা চেক করব।"

"আমি পরদিন কোনো মেকআপ না করেই হাজির হলাম ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে। তিনি খুব খুশি হলেন। বললেন, 'আজ তোমাকে তো বেশ সুন্দর লাগছে।' আর মেকআপম্যানকে বলে দিলেন, 'ওকে কোনো মেকআপ দিবে না। সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দাও, আর কপালে টিপ থাকবে আর আটপৌরে শাড়ি পরবে।'"

'অশনি সংকেত'-এর সেটে সত্যজিৎ রায়। ছবি: সংগৃহীত

ববিতা আরও বলেন, "তারপর সবকিছু করে মেকআপ রুম থেকে স্টুডিওতে ঢুকলাম। দেখলাম, সত্যজিৎ বাবু ক্যামেরাতে লুক থ্রু করছেন। আমাকে ক্যামেরায় দেখলেন কয়েকবার। তারপর আমাকে বললেন, 'তোমাকে যে স্ক্রিপ্ট দিয়েছিলাম, সেগুলো তোমার মতো করে অভিনয় করে যাও।' এগুলো কোনোটা রোমান্টিক, কোনোটা সিরিয়াস, কোনোটা একুট আলাদা। আমি আমার মতো করে বললাম। উনি কী বুঝলেন, আমি জানি না। সম্ভবত আমার মধ্যে যে চেষ্টা বা অভিনয় করার ধরন, সেটা ওনার চোখে পড়েছে।  ভালো লেগেছে বোধহয়। শেষ হওয়ার পরপরই ক্যামেরার আসন থেকে নেমে এসে বললেন, 'ইউরেকা! ইউরেকা! আমি পেয়ে গেছি আমার অনঙ্গ বউকে।'"

এসব ঘটনার পর ববিতাকে পুরো সিনেমার স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়। কিছুদিন পর থেকে শুরু করেন 'অশনি সংকেত' সিনেমায় অভিনয়। শুটিং করেছেন শান্তি নিকেতনে। তার বিপরীতে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

সৌমিত্র প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, "ওনাকে দেখলাম গঙ্গাচরণ চরিত্রের পোশাক পরা, ধুতি পরা। গোল গোল চশমা। আমি দাঁড়িয়ে আছি। ওনার সঙ্গে আমি শট দিলাম। তার পর উনি বললেন, 'বাহ তুমি তো খুব সুন্দর শট দিয়েছ! খুব সুন্দর!'"

সৌমিত্রের সেই প্রশংসা তাকে তখন সাহস জুগিয়েছিল বলে অকপট স্বীকারোক্তি ববিতার।

'অশনি সংকেত'-এ ববিতা ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

'অশনি সংকেত' ছবিটি মুক্তির আগেই জার্মানির বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পৌঁছে যায়। সেখানে সিনেমাটিকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার 'গোল্ডেন বিয়ার' দেওয়া হয়। 'অশনি সংকেত'-এর নায়িকা হিসেবে ববিতা ভারতে বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিজম অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ নায়িকার পুরস্কার পান।

তবে এসবের চেয়ে বড় পাওয়া, সত্যজিতের সঙ্গে পরিচয় এবং তার পরিচালিত সিনেমায় অভিনয় করাটা- এমনটাই মনে করেন ববিতা।

Related Topics

টপ নিউজ

ববিতা / সত্যজিৎ রায় / অশনি সংকেত / জন্মশতবর্ষ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সুপ্রিম কোর্টে আপিল খারিজ: মহাখালীর প্রধান কার্যালয় ও কারখানা ছাড়তে হবে বিএটি বাংলাদেশকে
  • ‘আনু ভাইকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়ায় আমি বিস্মিত’: আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ
  • ৫ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ব্যাহত নেটওয়ার্ক সেবা
  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল ও তুলা কিনতে পারে বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
  • চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই ৩৫০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ বাংলাদেশের
  • বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব থেকে ‘সরিয়ে দেওয়া হলো’ ফারুক আহমেদকে

Related News

  • বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত!
  • ‘পথের পাঁচালী’-এর ‘দুর্গা’ পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে
  • ‘পদাতিক’-এ খোদ সত্যজিতের গলার আওয়াজ, এআই দিয়ে বড় চমক সৃজিতের
  • ৭৮ বছর বয়সে মারা গেলেন 'গুপী গাইন' খ্যাত সংগীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল
  • ছোটবেলায় সত্যজিৎকে চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যা; কিন্তু সাহস হয়নি পাঠানোর!

Most Read

1
বাংলাদেশ

সুপ্রিম কোর্টে আপিল খারিজ: মহাখালীর প্রধান কার্যালয় ও কারখানা ছাড়তে হবে বিএটি বাংলাদেশকে

2
বাংলাদেশ

‘আনু ভাইকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়ায় আমি বিস্মিত’: আনু মুহাম্মদের স্ট্যাটাসে আসিফ নজরুলের বিস্ময় প্রকাশ

3
বাংলাদেশ

৫ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ব্যাহত নেটওয়ার্ক সেবা

4
বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল ও তুলা কিনতে পারে বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

5
অর্থনীতি

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই ৩৫০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ বাংলাদেশের

6
খেলা

বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব থেকে ‘সরিয়ে দেওয়া হলো’ ফারুক আহমেদকে

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab