দেশে এবার মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ: নির্বাচন কমিশন

এ বছর ভোটার তালিকায় গত বছরের তুলনায় ভোটার সংখ্যা ১.৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ রোববার (২ মার্চ) ভোটার দিবস উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ভোটার বেড়েছে মোট ১৮ লাখ ৮২ হাজার ১১৪ জন।
২০২৪ সালে ২ মার্চ তারিখ পর্যন্ত দেশে ভোটার ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে ভোটার তালিকা উন্মোচনকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, "ইসি জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।"
তিনি বলেন, "বাঙালি এখন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। যদি কোনো কারণে এটা বাস্তবায়ন না হয় বা কোনোক্রমে আমরা যদি পিছিয়ে যাই, তাহলে কিন্তু যারা আহত বা নিহত হলেন তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। আমরা সেটা হতে দিতে পারি না।"
"মানুষ এতদিন যে ভোট দিতে পারেনি, এখন সে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ এসে গেছে। যেদিন আমরা ভোটটা দিতে পারব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। ভোটটা শুধু এখন অধিকার হিসেবে দেখলে হবে না, এটা এখন নাগরিকের দায়িত্ব।"
তিনি আরও বলেন, "আমি এখন যেখানে যাই সবাই আমাকে বলে যে, সমস্ত মানুষ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের কাছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এখন অনেক।"
"আগে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের এত প্রত্যাশা ছিল না, কিন্তু এখন মানুষের প্রত্যাশা এখন অনেক বেড়ে গেছে। এটা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে যে, কীভাবে আমরা এই প্রত্যাশা পূরণ করব। আর এটা নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব না, এতে সবার সহযোগিতা লাগবে," যোগ করেন তিনি।
সিইসি আরও বলেন, "অনেকে বলেন যে, বিভিন্ন দল ও তাদের বিপরীতমুখী অবস্থান রয়েছে। কিন্তু আমি এটা ভিন্ন চোখে দেখি। এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য। আমরা যদি ৩০টা দল থাকি, সবাই একরকম চিন্তা করব না। প্রত্যেক দলের আলাদা আলাদা চিন্তা আছে। যার যার দলের একটা স্বার্থ আছে। তো তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে তারা বক্তব্য দেবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।"
"যখনই বিভিন্ন দল বিপরীতমুখী বক্তব্য দেয়, এতে আমি আশাহত হই না। দিন শেষে যায় আমাদের রাজনীতিবিদদেরও ভুল আছে। একটা পর্যায়ে তারা ঘুরেফিরে আবার আসবেন। এক সময় তারা একমত হবেন; সেই বিশ্বাস আমার আছে," যোগ করেন সিইসি।