মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেলেন জামায়াত নেতা আজহার, শুনানি ২২ এপ্রিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন শুনানির অনুমোদন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আপিলের ওপর আগামী ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
রিভিউ আবেদনের শুনানিতে আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ সংক্রান্ত বিষয়ে আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আবেদন শুনানির দিন দার্য করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
শুনানিতে এটিএম আজহারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, তারা সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিভিউ করেননি এবং তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ মামলার পুরো প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, কাদের মোল্লাকে (জামায়াতের আরেক নেতা) সাজা দেওয়ার রায় ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আদালত যদি তাদের যুক্তি গ্রহণ করেন, তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লা থেকে শুরু করে অন্যদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনাগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
আপিল বিভাগ চারটি কারণে এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলা পর্যালোচনা করার অনুমতি দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। পরে আজহারুল ইসলাম রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির রায় দেন। পরের বছরের ২৮ জানুয়ারি তার আইনজীবীরা অপরাধে জড়িত না থাকার তথ্য উপস্থাপন করে আদালতের কাছে তাকে খালাস চেয়ে আপিল করেন।
আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুরে গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ছয়টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। জামায়াত ধারাবাহিকভাবে এ রায়কে প্রহসন বলে অভিহিত করে আসছে।