রোজায় রাজধানীর ২৫ পয়েন্টে সুলভমূল্যে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি করবে সরকার

আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষ্যে ঢাকার ২৫টি পয়েন্টে সুলভমূল্যে ডিম, দুধ ও মাংস বিক্রি করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রথম রোজা থেকে ২৮ রোজা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে তহবিল চেয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, খামারিদের কাছ থেকে পণ্য কিনে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে। এ লক্ষ্যে ২৫টি কুল ভ্যান ভাড়া নেওয়া হবে।
প্রথম সাত দিনের জন্য সাড়ে তিন লাখ পিস ডিম, ৩৫ হাজার লিটার দুধ, আট হাজার কেজি ড্রেসড ব্রয়লার, ৩০ হাজার কেজি গরুর মাংস ও এক হাজার কেজি খাসির মাংস সরবরাহ করতে চায় সরকার।
এসব পণ্য ক্রয়ের খরচসহ কুল ভ্যান ভাড়া ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এসব পণ্য বিক্রির অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হবে এবং তা দিয়ে পুনরায় পরবর্তী সাত দিনের জন্য পণ্য কেনা হবে।
এভাবে ২৮ রোজা পর্যন্ত বিক্রির পর চূড়ান্তভাবে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার হিজরি ১৪৪৬ (২০২৫) সনের রমজান মাসে সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ ও মাংস বিক্রির ঘোষণা দেন।
এ ঘোষণার কথা উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পাঠানো চিঠিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছে, 'এখন কোনো কারণে কর্মসূচিটি বন্ধ হয়ে গেলে জনগণ অসন্তুষ্ট হবেন এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।'
১৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে আসন্ন রমজান মাসে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং বিগত ছয় মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সেখানে তিনি বলেন, ড্রেসড ব্রয়লার মাংস (প্রতি কেজি) ২৫০ টাকা, দুধ পাস্তুরিত (প্রতি লিটার) ৮০ টাকা, ডিম (প্রতি ডজন) ১১৪ টাকা, গরুর মাংস (প্রতি কেজি) ৬৫০ টাকা করে বিক্রি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিপ্লবের সময় যে সকল স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সে সকল স্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং বস্তি এলাকায় বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে আগামী ২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হতে পারে।