এখনও পদত্যাগ করিনি: উপদেষ্টা নাহিদ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি।
আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোকে নাহিদ বলেন, 'আমি এখনও পদত্যাগ করিনি। এটা গুজব।'
নাহিদ বর্তমানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন যে রাজনৈতিক দল গঠন করছে এই দলের আহবায়ক হতে যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে নতুন দলের ছাত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করবে।
কয়েকজন ছাত্রনেতা বলেছেন, নাহিদ নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দিচ্ছেন।
নাহিদ নিজেও উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নতুন দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেছিলেন, 'নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। কেউ যদি যোগ দিতে চায়, তাহলে তাদের পক্ষে সরকারি পদ ধরে রাখা সম্ভব নয়।'
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
নাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমন করতে হাসিনা সরকার কারফিউর সময় আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে নাহিদকেও তুলে নিয়ে যায়।
পরে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও কয়েকজন সমন্বয়কসহ তাকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
পরে ডিবির হেফাজতে থাকা অবস্থায় নাহিদসহ আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারী ভিডিও বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন।কিন্তু সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তারা আবার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং একপর্যায়ে হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবি জানায়।
আন্দোলন তখন সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয় এবং হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে।
নাহিদ ইসলাম 'গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি' নামে একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা ছিলেন। নাহিদ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন।