অপারেশন ডেভিল হান্ট: সারাদেশে গ্রেপ্তার ১,৩০৮

গতকাল শনিবার থেকে শুরু হওয়া 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' এর আওতায়, আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল রাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 'অপারেশন ডেভিল হান্ট'সহ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২৭৪ জনকে। অন্যদিকে সারাদেশের রেঞ্জ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১ হাজার ৩৪ জনকে।
গাজীপুরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে। অভিযোগ রয়েছে, তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
ডেভিল হান্টের আওতায়, কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়া, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে— গতকাল রাতে একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
রাজশাহীতেও শুরু হয়েছে ডেভিল হান্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শহরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশী চৌকি স্থাপন করেছে।
তবে চট্টগ্রাম-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, এখনও তাঁদের এলাকায় এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়নি।
ইংরেজি শব্দ ডেভিল অর্থ- শয়তান আর হান্ট অর্থ- শিকার। ফলে ডেভিল হান্ট-এর অর্থ দাঁড়ায় শয়তান শিকার করা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ডেভিল বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের বোঝানো হয়েছে।