ব্রি’র বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ছয় দিনব্যাপী "বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০২৩-২৪" শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে। গাজীপুরে ব্রি সদরদপ্তরের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রি'র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএডিসি'র চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন খান, বিএআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম। এ সময় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াও কুনশি উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ব্রি, বারি, বিএআরসি, ডিএই, ইরিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। ব্রি'র গবেষণা অগ্রগতি ও অর্জন ২০২৩-২৪ উপস্থাপন করেন পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আনোয়ারুল হক।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, "ব্রি'র কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।" তিনি কৃষিবান্ধব শিল্প ও অর্থনীতি গড়ে তুলতে এবং কৃষির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
ব্রি'র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, "১৮ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্রি নিরলসভাবে কাজ করছে। ব্রি'র গবেষণা কার্যক্রম বিশ্বে উদাহরণ স্থাপন করেছে।"
তিনি জানান, ভাতের মাধ্যমে পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্রি গবেষণা জোরদার করেছে। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ জমিতে ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাতের চাষাবাদ হয় এবং এটি দেশের মোট ধান উৎপাদনের ৯০ শতাংশ নিশ্চিত করে। ব্রি এ পর্যন্ত আটটি হাইব্রিডসহ ১১৫টি উফশী [উচ্চ ফলনশীল] ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি প্রতিকূল পরিবেশ সহনশীল এবং উন্নত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।