Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 04, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 04, 2025
টেলিকম ব্যবসার বিটিসিএল এখন টিকে আছে স্থায়ী আমানতের আয়ের ওপর

বাংলাদেশ

রফিকুল ইসলাম
04 January, 2025, 10:15 am
Last modified: 05 January, 2025, 03:41 pm

Related News

  • তিন মাসে ১৩২ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বিকাশ
  • জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা ৪৬% বেড়ে ৪০০ কোটি টাকা
  • জুলাই-মার্চে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের আয় বেড়েছে ১০ শতাংশ
  • বিকাশের রাজস্ব ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল, মুনাফা রেকর্ড ৩১৫ কোটি টাকার
  • প্রথম প্রান্তিকে লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে মুনাফায় ফিরল রানার অটোমোবাইলস

টেলিকম ব্যবসার বিটিসিএল এখন টিকে আছে স্থায়ী আমানতের আয়ের ওপর

বিটিসিএল মুনাফা করতে পেরেছে মূলত অ-পরিচালন আয়ের মাধ্যমে। এটির এ ধরনের আয় দাঁড়িয়েছে ২০৬ কোটি টাকায়, যা মূলত দুই হাজার ২০০ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) সুদ থেকে এসেছে।
রফিকুল ইসলাম
04 January, 2025, 10:15 am
Last modified: 05 January, 2025, 03:41 pm

ইনফোগ্রাফিক: টিবিএস

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিটিসিএল ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৬৭ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ এবং ২০২১–২২ অর্থবছরের থেকে ১১ গুণ বেশি। তবে এ ব্যতিক্রমী প্রবৃদ্ধি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন দক্ষতা বা সার্ভিস রেভিনিউের কারণে নয়; মূলত এটি ব্যাংকের স্থায়ী আমানত থেকে অর্জিত আয়ের ফল।

বিশেষজ্ঞরা এমনও বলছেন যে, বিটিসিএল (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড) কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিলেও প্রতিষ্ঠানটি ২০০ কোটিরও বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারত।

কিন্তু এমন বৈপরীত্যের নেপথ্যে কী? প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বিটিসিএল-এর মোট রেভিনিউ ছিল ৭৭৪.৬৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় কেবল ৪ শতাংশ বেশি। তবে ৯০৭ কোটি টাকার বিশাল পরিচালন ব্যয়ের বিপরীতে ১৩২ কোটি টাকার লোকসান গুণতে হয়েছে এটিকে।

প্রায় ৪০০ কোটি টাকা প্রশাসনিক খরচের মধ্যে কর্মীদের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধার জন্য বরাদ্দ ছিল ২৯৯ কোটি টাকা। আর সাধারণ প্রশাসনিক ব্যয়ের জন্য ছিল ১০৫ কোটি টাকা। পরিষেবা ব্যবস্থাপনায় আরও ২৮০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিটিসিএল, যা প্রতিষ্ঠানটির অদক্ষতাকে স্পষ্ট করে।

তারপরও বিটিসিএল মুনাফা করতে পেরেছে মূলত অ-পরিচালন আয়ের মাধ্যমে। এটির এ ধরনের আয় দাঁড়িয়েছে ২০৬ কোটি টাকায়, যা মূলত দুই হাজার ২০০ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) সুদ থেকে এসেছে। এ হার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৩৬২ শতাংশ বেশি নিট মুনাফা, যা ব্যাংকগুলোর উচ্চ সুদহারের কারণে সম্ভব হয়েছে।

অন্যদিকে, বিটিসিএলের মূল ব্যবসায়িক কার্যক্রম এখনও সংকটে রয়েছে। আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ), টেলিফোন পরিষেবা এবং মূল্য সংযোজন পরিষেবার মতো বিভাগগুলোর রেভিনিউ ক্রমাগত কমছে। আইজিডব্লিউ রেভিনিউ ১২ শতাংশ কমে ২১৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, এবং টেলিফোন পরিষেবা থেকে রেভিনিউ ১৩ শতাংশ কমে ৯৪ কোটি টাকায় নেমেছে।

তবে কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে—ক্যাপাসিটি লিজিং থেকে রেভিনিউ ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে এবং ইন্টারনেট ও ডেটা পরিষেবার আয় ৮ শতাংশ বেড়ে ২৪৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

যদিও ২০২২–২৩ অর্থবছরের ১৪৬ কোটি টাকার পরিচালন লোকসান ২০২৩–২৪ অর্থবছরে কিছুটা কমে ১৩২ কোটি টাকায় নেমেছে, তবুও সামগ্রিক চিত্রে স্পষ্ট যে, বিটিসিএলের ব্যবসায়িক মডেল টেকসই নয়। ২০২২–২৩ অর্থবছরে এফডিআর থেকে অ-পরিচালন আয় ছিল ১৬৮ কোটি টাকা এবং ২০২১–২২ অর্থবছরে ছিল ১৭০ কোটি টাকা, যা এখনো প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মুনাফার উৎস।

'বিব্রতকর বাস্তবতা'

শিল্প বিশেষজ্ঞ ও অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, বিটিসিএলের মূল কার্যক্রমের পরিবর্তে আর্থিক উপকরণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা প্রতিষ্ঠানটির অকার্যকারিতা প্রকাশ করছে। প্রতিষ্ঠানটি এখনও বেসরকারি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না, কারণ উন্নততর পরিষেবা ও প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের কারণে তারা বাজার দখল করেছে।

টেলিকম নীতি বিশ্লেষক মুস্তফা মাহমুদ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'রেভিনিউ বৃদ্ধির জন্য বিটিসিএলকে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা সম্প্রসারণ, অবকাঠামোর নগদীকরণ, উদ্যোক্তাদের লক্ষ্যবস্তু করা এবং আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) ও ক্লাউড সলিউশনের মতো ডিজিটাল পরিষেবা চালু করতে হবে।'

তিনি কৌশলগতভাবে খরচ অপ্টিমাইজেশনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো ভাগাভাগি, কর্মীদের একীভূত করা, কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়করণ এবং কর-সংক্রান্ত সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঋণ পুনর্গঠন।

মাহমুদ হোসেন বেশ কয়েকটি কৌশলগত পদক্ষেপের সুপারিশ করেছেন। যেমন নিয়ন্ত্রক সুবিধা অর্জন, ৫জি সেবা চালুর গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।

তিনি উল্লেখ করেন, বিটিসিএলের কিছু অমূল্য সম্পদ রয়েছে, যা অন্য কোনও বড় মোবাইল অপারেটরের নেই। 'যদি এ সম্পদগুলো সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়, তবে বিটিসিএল লাভজনক হতে পারে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিটিসিএল লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বাড়ি ও ব্যবসায় উচ্চ-গতির ব্রডব্যান্ড সেবা সরবরাহ করার ব্যবস্থা জিপিওএন চালু করেছে। এর মাধ্যমে শক্তিশালী রেভিনিউ উৎপাদনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেসরকারি কোম্পানিগুলো সফলতা পেলেও বিটিসিএল এখনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

এছাড়া তিনি পরামর্শ দেন, বিটিসিএলের বিস্তৃত অবকাঠামো—যার মধ্যে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত টাওয়ারগুলো রয়েছে—বেসরকারি কোম্পানি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করে বড় মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে। এটি অব্যবহৃত সম্পদগুলোর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করবে এবং সংস্থার প্রবৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে।

কর্মকর্তাদের মতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিটিসিএল ল্যান্ডলাইন ফোন এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস কল পরিষেবাগুলোর একচেটিয়া ব্যবসা পরিচালনা করে ধারাবাহিক মুনাফা করছিল। তবে, গত দুই দশকে স্মার্টফোন ও মোবাইল ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তার কারণে বিটিসিএলের ব্যবসায়িক অবস্থান হ্রাস পেয়েছে।

এ সময়ে, দেশের অনেক বেসরকারি টেলিকম ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। তবে, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও নীতি সহায়তার উপস্থিতি সত্ত্বেও বিটিসিএল এখনও ক্ষতির সম্মুখীন।

খারাপ সেবার মান, নিষ্ক্রিয় সংযোগের জন্য বিলিং সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণের অভাব বিটিসিএলের পতনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

বিটিসিএলের ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ

প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বিটিসিএল এখন টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা সম্প্রসারণ, ক্যাপাসিটি লিজিং এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল থেকে বাল্ক ইন্টারনেট কিনে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিক্রির মতো বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বিটিসিএলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আলী আক্কাস টিবিএসকে বলেন, 'আমরা পণ্যের বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি, যা ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারে বলে আশা করছি। এটি কোম্পানির আয় বাড়াতে সাহায্য করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'পরিচালন ব্যবস্থাপনায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো কোম্পানির আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি সুদহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এফডিআর থেকে আয় বেড়েছে, সব মিলিয়ে কোম্পানীর ভালো মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে।'

ইন্টারনেট বাজারের ৪ হাজার গুণ বৃদ্ধি

সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ইন্টারনেট বাজার গত আড়াই দশকে ৪,০০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ ৬৪ কেবিপিএস গতিতে কাজ করা ৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজার বর্তমানে ২৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে এবং এর সক্ষমতা ২,৪০০ জিবিপিএস।

বিশ্বব্যাপী বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান মর্ডর ইন্টেলিজেন্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেলিকম বাজারের আকার ২০২৫ সালে ৫.০৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৬.২৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

রবি আজিয়াটা, গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংকসহ বড় কোম্পানিগুলো বর্তমানে দেশের টেলিকম খাতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। মোবাইল ব্যবহার বাড়ানো, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ৪জি নেটওয়ার্ক কভারেজ সম্প্রসারণের কারণে এ খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮.৮৮ কোটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩.২৮ কোটি।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ১ জুলাই বিটিটিবি একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়ে বিটিসিএল নামে পরিচিত হয়।

বর্তমানে বিটিসিএল টেলিগ্রাফ, স্থানীয় টেলিফোন নেটওয়ার্ক, দেশের অভ্যন্তরে ডায়ালিং (এনডব্লিউডি), আন্তর্জাতিক টেলিফোন কল, আন্তর্জাতিক সার্কিট লিজিং, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট ও ডেটা সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে।

ল্যান্ডলাইন সংযোগে সর্বকালের নিম্নগতি

মুনাফার সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও বিটিসিএলের মূল ব্যবসা—ল্যান্ডলাইন টেলিফোন সংযোগ—ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।

বিটিসিএলের তথ্য অনুযায়ী, টেলিফোন সংযোগের সংখ্যা ২০১০–১১ অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে। এক সময় সংযোগের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি থাকলেও, বর্তমানে তা মাত্র তিন লাখে নেমে এসেছে।

বিটিসিএল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জুন ২০২৪ পর্যন্ত টেলিফোন সংযোগের সংখ্যা রেকর্ড সর্বনিম্ন ৩.২৯ লাখে পৌঁছেছে, যেখানে আগের অর্থবছরে তা ছিল ৪.৫২ লাখ। এক বছরে সংযোগে কমেছে ১.২৩ লাখ।

কর্মকর্তাদের মতে, মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা এবং অ্যাপ-ভিত্তিক যোগাযোগের জনপ্রিয়তা টেলিফোন সংযোগের হ্রাসের প্রধান কারণ।

এছাড়া, টেলিফোন সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ অনেক গ্রাহককে সংযোগ নেওয়ার প্রতি নিরুৎসাহিত করেছে।

বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন টিবিএসকে বলেন, 'বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে কোম্পানির আয় বেড়েছে। ম্যানেজমেন্ট থেকেও আয় বাড়ানোর বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।' তবে তিনি টেলিফোন সংযোগ কমার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

৫৮ হাজার কোটি টাকার সম্পদ

বিটিসিএলের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। তবে ১২ হাজার ১৯৫ কোটি টাকার অবমূল্যায়নের পর এর প্রকৃত সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৯৫০ কোটি টাকায়।

এ সম্পদের মধ্যে জমির মূল্য সবচেয়ে বেশি, যা আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা।

জমির লিখিত মূল্য ২৮ হাজার ০৫৮ কোটি টাকা হলেও পুনর্মূল্যায়নের ফলে এর মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত ২৮ হাজার ১৫০ কোটি টাকায়, যার ফলে জমির মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

কোম্পানির ভবনগুলোর মূল্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা, এবং এক্সচেঞ্জ ইকুইপমেন্ট, ট্রান্সমিশন এবং বাইরের প্লান্ট সম্পর্কিত সম্পদের মূল্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।

প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ

বিটিসিএল কর্মকর্তাদের মতে, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপক প্রসারের কারণে কোম্পানির জন্য প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ বাড়ছে।

একের পর এক প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে টিকে থাকার জন্য বিটিসিএল প্রযুক্তিভিত্তিক সেবায় মনোযোগী হয়েছে এবং তাদের কার্যক্রমে বৈচিত্র্য এনেছে। ল্যান্ডলাইন সংযোগকে লাভজনক করতে এটি গিগাবিট প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক (জিপিওএন) পরিষেবা চালু করেছে, যা অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবা প্রদান করে। এর ফলে, গ্রাহকেরা ভিডিও, ভয়েস এবং ডেটা পরিষেবা—তিনটি একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ভাইবারের মতো বিদেশি ওটিটি কলিং অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে বিটিসিএল তাদের নিজস্ব ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি) কলিং অ্যাপ 'আলাপ' চালু করেছে।

বিটিসিএল এটির পণ্য বৈচিত্র্যকরণের অংশ হিসেবে ডেটা ও ইন্টারনেট সেবার দিকে জোর দিয়েছে। ২০১৭–১৮ অর্থবছরে এ খাত থেকে কোম্পানির রেভিনিউ ছিল মাত্র ৯৯.২৩ কোটি টাকা। ছয় বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫ কোটি টাকায়।

Related Topics

টপ নিউজ

বিটিসিএল / বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড / স্থায়ী আমানত / এফডিআর / মুনাফা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ প্রণোদনা, পাবেন জুলাই থেকে
  • সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা অর্থ উপদেষ্টার
  • এখন থেকে বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনা যাবে না
  • নোবেল পুরস্কারসহ ৯ ধরনের পুরস্কারের আয়ে দিতে হবে না কর
  • যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি প্রস্তাবে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি!
  • যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

Related News

  • তিন মাসে ১৩২ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বিকাশ
  • জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা ৪৬% বেড়ে ৪০০ কোটি টাকা
  • জুলাই-মার্চে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের আয় বেড়েছে ১০ শতাংশ
  • বিকাশের রাজস্ব ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল, মুনাফা রেকর্ড ৩১৫ কোটি টাকার
  • প্রথম প্রান্তিকে লোকসানের ধাক্কা কাটিয়ে অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে মুনাফায় ফিরল রানার অটোমোবাইলস

Most Read

1
অর্থনীতি

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ প্রণোদনা, পাবেন জুলাই থেকে

2
অর্থনীতি

সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা অর্থ উপদেষ্টার

3
অর্থনীতি

এখন থেকে বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনা যাবে না

4
বাংলাদেশ

নোবেল পুরস্কারসহ ৯ ধরনের পুরস্কারের আয়ে দিতে হবে না কর

5
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি প্রস্তাবে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি!

6
অর্থনীতি

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net