চট্টগ্রাম বিএনপি: বিজয় দিবস উদযাপনের পৃথক অনুষ্ঠানে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৭

চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ডে বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
হাটহাজারী আলোচনা সভায় হামলা
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার কনক কমিউনিটি সেন্টারে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বিএনপির এক পক্ষের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সভাটি আয়োজন করেছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার অনুসারীরা। এ সময় হঠাৎ সভাস্থলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলালের অনুসারী হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল উত্তর জেলার সাবেক সদস্য মু. আকরাম উদ্দীন পাভেল জানান, হামলাকারীরা কমিউনিটি সেন্টারের কাচ ভেঙে ফেলে এবং লাঠি-রড নিয়ে নেতাকর্মীদের পেটাতে শুরু করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা এ ঘটনাকে 'চরম ধৃষ্টতা' আখ্যায়িত করে বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও তাদের নীরব ভূমিকা জনমনে ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে, আশা করি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকে হাটহাজারী বিএনপি দলটির প্রয়াত নেতা সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা, ও ব্যারিস্টার মীর হেলাল — এ দুটি ধারায় বিভক্ত।
সীতাকুণ্ডে ককটেল বিস্ফোরণ
একইদিন দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকায় বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন ও রোকন মেম্বারের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফৌজদারহাট স্কুল মাঠে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির পর সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল ছোড়ে এবং লাঠি-রড নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সোহেল রানা জানান, 'তদন্ত চলছে এবং আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।'
সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, 'দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।