সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিনের পাসপোর্ট করা নিয়ে তদন্ত করছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের পদত্যাগী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন ঘরে বসেই পাসপোর্ট তৈরির যে প্রক্রিয়া করেছেন, সে বিষয়ে সরকার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পাসপোর্ট সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টা উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার দেশ রূপান্তরে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত এক সংবাদে বলা হয়-গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকলীন সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় শিরীন শারমিন চৌধুরীর লাল পাসপোর্টও বাতিল হয়েছে।
রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন (৩৮) নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি তিনি। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকা সাবেক এই স্পিকার গত ৩ অক্টোবর তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনসহ ঢাকার আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেন।
গত ১০ অক্টোবর তাদের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি দেওয়ার তারিখ ছিল, যা তারা ঘরে বসেই দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এসব কাজ করার কথা।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, "আমরা এই পুরো ঘটনাটি ইনভেস্টিগেট করছি।"