সিলেটে টিলা ধস: ৬ ঘণ্টা পর তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

সিলেট নগরের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় টিলার মাটি ধসে মাটি চাপা পড়া তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাটিচাপা পড়ার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সোমবার বেলা ১২টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন আগা করিম উদ্দিন (৩১), তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার রুজি (২৫) ও তাদের শিশুসন্তান নাফজি তানিম ।
এর আগে ভারী বৃষ্টিতে সোমবার (১০ জুন) ভোর ৬টায় চামেলীবাগ এলাকার ২ নম্বর রোডের একটি টিলা ধসে ৮৯ নম্বর বাসার উপর পড়ে। এতে এই বাসায় ভাড়া থাকা ছয় সদস্য মাটির নিচে চাপা পড়েন। তিনজনকে তাৎক্ষণিক জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজনের সন্ধান মিলছিল না।
বেলা ১২টায় এই তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, 'সকাল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মাটি চাপ পড়াদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। এরপর বেলা ১২টার দিকে সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযানে নামে। সেনাবাহিনী অভিযান শুরুর কিছুক্ষণের পর নিখোঁজদের মরদেহ পাওয়া যায়।'

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধাপাকা ঘরের ওপরে পড়ে যায়। ঘরের নিচে ৩ জন লোক আটকা পড়েছেন। ঘরটি টিলার নিচেই ছিল।
চামেলিবাগের অবস্থান সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমিধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান আটকা পড়েন।'
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৃষ্টির কারণে উদ্ধার আভিযান কিছুটা ব্যাহত হয়। এছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছিল না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে। সঙ্গে পুলিশ, সিসিক কর্মী ও স্থানীয়রা সহযোগিতা করেন।