তৃতীয়বারের মতো পেছাল মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলার রায়

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায়ের তারিখ তৃতীয়দফা পিছিয়েছে।
এ মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আজ এ রায় ঘোষণার কথা থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক আগামী ২৪ জানুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলার বিচার চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে, ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট আয়ের সঙ্গে 'অসঙ্গিতপূর্ণ' সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা এই মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন, এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
তবে আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে একটি রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে অপরিশোধিত বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর হামলা এবং তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কয়েকদিন পর দুদকের মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।