আগামীকাল ঢাকায় জনসমাগমের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করবে আ. লীগ, বিএনপি
জাতীয় নির্বাচনের আগে এক দফা দাবি আদায় – বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার – লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের 'সর্বাত্মক প্রস্তুতি' নিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির এক দফা আন্দোলনের মূল কেন্দ্র হবে ঢাকা। বড় সমাবেশ করে সরকার পতনের অভিন্ন একদফা আন্দোলন গড়ে তুলতেই নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'অতীত আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, ঢাকায় জোরালো আন্দোলন ছাড়া সরকার পতন সম্ভব নয়।'
আগামীকালের কর্মসূচি বিএনপি নিজস্বভাবে পালন করলেও, এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন- নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এদিন যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
একই সময়, মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে – তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘোর-বিরোধী – আওয়ামী লীগ 'শান্তি সমাবেশ' নামে পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণাকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।
দুই দলের পক্ষ থেকেই তাদের সমাবেশ হবে শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা, যার মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে জনসমর্থন তারা তুলে ধরতে চাইছে।
তাই নিজ নিজ সমাবেশে লোক-সমাগম যত বেশি হবে, নিজ অবস্থানের বিষয়ে ততোই বেশি আস্থালাভ করবে তারা। এভাবে সমাবেশে নেতাকর্মী ও জনগণের অংশগ্রহণকেই জনসমর্থনের মাপকাঠি হিসেবে তারা বিবেচনা করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন-পূর্ব পর্যবেক্ষক দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া যখন ঢাকা সফর করছেন, তারমধ্যে এই পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সমাবেশের আগেই নিজ নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশও সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খন্দকার মাহিদ উদ্দিন বলেন, 'আমরা জনগণ, নগরবাসী ও সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। পরিবহন ও চলাচল নিশ্চিত নির্বিঘ্ন রাখতেও কাজ করব আমরা।'
