বরিশালে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ চলছে, শুরু হচ্ছে যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচিও

বরিশালে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ডাকা তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকেও জাগ্রত করতে দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারুণ্যের সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন সংগঠন।
আজ শনিবার (২৪ জুন) বিকেল চারটার দিকে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এ তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের মঞ্চে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মানে দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়েছে।
সমাবেশ বিকেল তিনটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তা শুরু হয় ৩.৫৮ মিনিটে ।
বিএনপি সূত্র জানায়, তারুণ্য সমাবেশের উদ্দেশ্য হলো: যারা তরুণ-যুবক- ভোটার হয়েছেন কিন্ত গত দুইটি জাতীয় নির্বাচন- স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট দিতে পারে নাই, তাদের রাস্তায় নামানো। দেশের তরুণ সমাজকে তাদের ভোটাধিকার আদায়ের ব্যাপারে সচেতন করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা। আন্দোলনের আরও ঢেউ তোলা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
সঞ্চালনায় আছেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মিল্টন, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
পূর্ব নির্ধারিত এই সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই বেলস পার্কে জড়ো হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে আসছেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এরআগে সকাল দশটায় বেলস পার্কে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের মধ্যবর্তী স্থানে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। প্রস্তুত করা হয়েছে মাইক। ব্যানার পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে মাঠের চারপাশ। নেতাকর্মীরা মাঠের চারপাশে অবস্থান করছেন।
একইদিনে বেলস পার্ক থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নগর ভবন ও শহীদ মিনারের সামনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে যুবলীগ। পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে নগরজুড়ে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজকেরা অভিযোগ করে বলেন, বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলার বেশকিছু উপজেলা থেকে রিজার্ভ করা গাড়ি সমাবেশে আসতে দেওয়া হয়নি। এমন কি ভোলা থেকে লঞ্চ ছাড়েনি মালিকপক্ষ। আওয়ামী লীগের নেতাদের হুমকির মুখে রিজার্ভ এর টাকা ফিরে দিয়েছেন গাড়ির মালিকরা।