'যেন ভূমিকম্পের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দালান'

গত দুই বছর ধরে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় থাকা 'আনিকা স্যানিটারি' দোকানে কাজ করে আসছেন পয়ত্রিশ বছর বয়সী জামাল শিকদার।
কমপক্ষে ১৫ জনেরও প্রাণ কেড়ে নেওয়া গুলিস্তানের ভবনটিতে বিস্ফোরণের মুহূর্তে তিনি দোকানের পাশেই অবস্থান করছিলেন।
কদমতলির এক মেসে থাকা জামাল দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তার সহকর্মীদের সাথে কথা বলছিলেন।

"কয়েক মিনিটের মধ্যেই এক বিশাল শব্দে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। মনে হচ্ছিলো পুরো ভবন আমাদের ওপর ভেঙে পড়বে," বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে যাওয়া আহত জামাল মুহূর্তটির কথা স্মরণ করেন।
"যেভাবে আমরা পড়ে গিয়েছিলাম, মনে হচ্ছিল সেখানে কোনো বিশাল ভূমিকম্প হচ্ছে, কোনো বিস্ফোরণ নয়," ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দিতে দিতে বলেন তিনি।
দমকলকর্মীরা অজ্ঞান অবস্থায় জামালকে উদ্ধার করেন এবং তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জ্ঞান ফিরে পাবার পর জামাল তার স্ত্রীকে তার পাশে আবিষ্কার করেন, যিনি বিস্ফোরণের সংবাদ শোনার সাথে সাথে মাদারিপুর থেকে ঢাকায় রওয়ানা হয়েছিলেন।
জামাল কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "আমি সৌভাগ্যবান যে আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছি। কিন্তু আমার দোকানমালিককে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।"