নকল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবনের বিধান রেখে মন্ত্রিসভায় ওষুধ আইন অনুমোদন

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ভেজাল ও নকল ওষুধ তৈরি করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে 'ঔষধ আইন ২০২২' এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
নতুন আইনে 'ঔষধ'-এর সঙ্গে 'কসমেটিকস' শব্দটিও যোগ করা হয়েছে। আইনটি এখন থেকে 'ঔষধ এবং কসমেটিকস আইন-২০২২' নামে হয়েছে। ফলে কসমেটিকসে ভেজালের ক্ষেত্রেও অনুরূপ সাজা কার্যকর হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মাহবুব হোসেন জানান, এ আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন আইনে কেবল ওষুধ না, প্রসাধনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলা হয়েছে এ আইনে।
তিনি জানান, মেডিকেল ডিভাইস ব্যবহার করার বিষয়েও নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। প্রসাধনী উৎপাদন, বিতরণও এই আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হবে। ওষুধ প্রসাধন অধিদপ্তর এ কাজ করবে।
সচিব আরো বলেন, নতুন এই আইনে কোনো ওষুধ ক্ষতিকারক হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই ওষুধ বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদন থেকে সব ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। এছাড়া নিবন্ধন ছাড়া কারখানা থেকে ওষুধ উৎপাদন করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে বলেও জানান তিনি।