অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহী সিঙ্গাপুর

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর থেকে আগত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের শীর্ষ সংগঠন সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশন (এসবিএফ) এবং এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়াদি যাচাই এবং আলোচনার জন্য সিঙ্গাপুরের একটি সমন্বিত প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সোমবার বেজা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেজা জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলটি পর্যটন খাত, একক বিনিয়োগ এবং গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট ভিত্তিতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ঢাকায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো এ প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিঙ্গাপুর সফরের কথা উল্লেখ করে ডেরেক লো বলেন, "বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী।"
বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুরের চমৎকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ডেরেক লো বলেন, এ দুই দেশের অর্থনৈতিক বন্ধনকে আরো দৃঢ় করতে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, "বিনিয়োগ উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করছে বেজা। সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের সকল সেবা দেওয়ার জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে।"
তিনি বলেন, প্রতি বছর অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার সমমানের পণ্য উৎপাদন/ রপ্তানি আয় প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "দেশে এখন বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পাঞ্চল তৈরীর কাজ পূর্ণ গতিতে এগিয়ে চলছে।"
২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নে কাজ করছে বেজা।
বৈঠকে এসবিএফের নির্বাহী পরিচালক সু ওয়েই-চিয়াহ, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুরের আঞ্চলিক পরিচালক মিস সাবরিনা, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অফ সিঙ্গাপুরের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।