হাইকোর্টের আদেশ বহাল, বেতন-ভাতার তথ্য দিতেই হবে ওয়াসার এমডিকে

গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদির বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ঢাকা ওয়াসার এমডির করা আপিলের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিচারপতি বোরহান উদ্দিন এ আদেশ দেন। ফলে তাকসিমকে এখন তার বেতন ও বোনাসের বিবরণ আদালতে জমা দিতেই হবে।
গত ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট ওয়াসার বিতর্কিত এমডি ১৩ বছরে কত টাকা বেতন-বোনাস নিয়েছেন এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেছেন তার বিবরণ জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে এই হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় ঢাকা ওয়াসা বোর্ডকে।
একইসঙ্গে তাকসিম এ খানকে এমডি পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং তাকে অপসারণে বিবাদীদের 'নিস্ক্রিয়তা' কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ সে আদেশ দেন।
তাকসিম এ খানকে অপসারণের আগ পর্যন্ত কেন জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারণ করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয় স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের।
ওয়াসা আইন অনুযায়ী, ব্যবস্থাপনা পরিচালকই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
২০০৯ সালে প্রথম তাকসিম এই পদে নিয়োগ পান। বিতর্ক ও সমালোচনা সত্ত্বেও তার মেয়াদ এ পর্যন্ত ছয়বার বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি মাসিক ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেতন-ভাতা পান।