আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, নিয়ম মানতে কড়া নির্দেশ ইসির

গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচন ও গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।
বৃহস্পতিবার দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সাথে সাক্ষাৎ করে এই অভিযোগ জানান।
এরপরই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আচরণবিধি কঠোরভাবে পালনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি।
আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচন ও ১৭ অক্টোবর দেশের ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে।
সিইসির সাথে সাক্ষাৎ শেষে চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, "গাইবান্ধা জেলা পরিষদের নির্বাচনে সংসদের হুইপ আচরণবিধি লংঘন করে তাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করছেন। আমাদের কাছে তার প্রমাণ আছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে, অপমান-অপদস্ত করেছে, সঙ্গে যারা ছিল তাদেরকেও আহত করেছে। জনপ্রতিনিধিরা সরকারের দেয়া গাড়ি নিয়ে সেখানে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আচরণবিধি অনুযায়ী তারা সেটা করতে পারে না।"
"আমাদের প্রার্থীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে জোর করে ভোট নিয়ে নেবেন এবং যারা জাতীয় পার্টির এজেন্ট হবে তাদেরকে এলাকায় থাকতে দিবে না। এ সমস্ত বিষয়গুলি লিখিতভাবে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দিয়েছি।"
"এছাড়াও হুইপ সেখানে ৭ দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছে। একটা নির্বাচন চলাকালীন সময় এরকম কর্মসূচি, এটা পরোক্ষভাবে ভোট চাওয়ার জন্যই করা হয়েছে", চুন্নুর দাবি।
এরপর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, "দলটির (আওয়ামী লীগ) পরিচালকদের কাছে বার্তা দেয়া হয়ে গেছে যে তাদের দলের কোনো সদস্য যাতে আচরণবিধি না ভাঙ্গে।"
"আমরা কড়া নির্দেশ দিয়েছি যদি কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করে তাদেরকে অতিসত্ত্বর এলাকা ত্যাগ করতে বলতে হবে। এলাকায় থাকতে পারবেন না।"
ভোটার এবং প্রার্থীদের ইসির ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, "শনিবার আমরা প্রত্যেক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আহ্বান করেছি ইসিতে আসার জন্য। আমরা তাদের সাথে সরাসরি কথা বলবো। সেখানে কঠোরভাবে মেসেজ দেওয়া হবে যাতে কোনো রকমভাবে, কোনোক্রমেই আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা না ঘটে। যাই হোক না কেন, অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, ভোটার, প্রার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তি, তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।"
"যদি দেখা যায় যে কোনো কর্মকর্তা কোনো নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করছেন বা অবহেলা করছেন তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করবো।"
জাতীয় পার্টি সংসদের হুইপের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে অভিযোগ দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এটা ওনারা দিয়ে গিয়েছেন। আমরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।"