সংসদে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দাবি উপস্থাপন আওয়ামী লীগের এমপির

'আর কোনো দাবি নাই, ত্রাণ চাই না, বাঁধ চাই' লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিলেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা।
বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এই সদস্য। তিনি পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
সংসদ অধিবেশনে উপকূলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এস এম শাহজাদা।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের পর তিনি ত্রাণ নিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে জনগণের রোষানলে পড়তে হয়েছে।
উপকূলের অনেক সংসদ সদস্যকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এলাকাবাসী ত্রাণ চান না, তাঁরা স্থায়ী বেড়িবাঁধ চান বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি গলায় ঝোলানো প্ল্যাকার্ডটিও দেখান।
যোগাযোগ করা হলে সাংসদ শাহজাদা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমার নির্বাচনী এলাকার তিনপাশে তিনটা নদী। এগুলো হল- বুড়াগৌরাঙ্গ নদী, আগুন মুখো নদী এবং তেতুলিয়া নদী। নদীভাঙ্গন থেকে আমার নির্বাচনী এই এলাকাকে রক্ষা করতে বাঁধ নির্মাণের জন্য আমি বারবার ডিও লেটার পাঠিয়েছি।"
"সরকার আমার এলাকায় প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করেছে। কিন্তু বেড়িবাঁধ স্থায়ীভাবে স্থাপন করা না হলে সমস্ত উন্নয়ন নদীর পানির সঙ্গে ভেসে যাবে।"
তিনি বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হয়ে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করা আমার প্রধান কর্তব্য।
"আমার আর কোনও উপায় না থাকায় বেড়িবাঁধের দাবিতে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে সংসদে দাঁড়াতে হয়েছে। আমার এই এলাকা রক্ষার জন্য নদীর তীরে ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের দরকার।"
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগে গত ২৫ মে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়াসহ ১১টি গ্রাম এবং চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে যায়।
সে সময় পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী জানান, কলাপাড়ার লালুয়া, নিজামপুর, চম্পাপুর, রাঙ্গাবালীর চর মোন্তাজ, চর আন্ডা, চালিতাবুনিয়ার চরলতা, গলাচিপার আউলিয়াপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি গ্রামে ঢুকে পড়ে।
বাঁধগুলোকে কোনোভাবে রক্ষা করতে এলাকার মানুষের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার তথ্যও সেসময় গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।