সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বাড়ার শঙ্কা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে যা এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। একই সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৫২৫ জনের দেহে; শনাক্তের দিক থেকে যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে ভাইরাসরটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে প্রতিদিন শনাক্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ায় আগামী সপ্তাহগুলোতেও সেই অনুপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ মুশতাক হোসেন বলেন, আগামী এক সপ্তাহ কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার গ্রাফ এবং আগামী দুই সপ্তাহ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর গ্রাফ উর্ধ্বমূখী থাকবে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, "সামনে আরো এক সপ্তাহ কেস ও দুই সপ্তাহ মৃত্যু বাড়বে। চলমান লকডাউনের সুফল পেতে আরো দুই সপ্তাহের বেশি অপেক্ষা করতে হবে। ঈদের পর দেখা যাবে মৃত্যু কমছে।"
ঈদে পুরোপুরি সতর্ক থাকতে হবে মন্তব্য করে এই সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, "তৃতীয় ঢেউ এখনই বড়, ঈদের পর সেটি আরো বাড়তে পারে। তাই এবার সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই। আর কারো লক্ষণ দেখা দিলেই টেস্ট করতে হবে। পজিটিভ হলে আইসোলেশনে যেতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে ও টিকা নেয়ার সুযোগ আসলেই টিকা নিতে হবে।"
সংক্রমণের ধারাবাহিক উর্ধ্বমূখীগতিতে দেশের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের যোগান বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রখ্যাত এই ভাইরোলজিস্ট মঙ্গলবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রতিদিন বাড়ছে। এখনই অক্সিজেনের যোগান বাড়াতে হবে, তা না হলে কয়েকদিন পর পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে এবং আইসিইউ বেড স্থাপন ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। গরিব মানুষের বা গ্রামে করোনা হয়না সেসব চিন্তা বাদ দিয়ে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাতে হবে।"