Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
June 11, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, JUNE 11, 2025
শিক্ষার্থীদের কথা আমরা ভুলেই গেছি!

বাংলাদেশ

টিটু দত্ত গুপ্ত
10 June, 2021, 03:20 pm
Last modified: 10 June, 2021, 05:47 pm

Related News

  • নামকাওয়াস্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে এবং হবে?
  • ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক চলছে
  • নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
  • নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
  • রাত-বিরাতে ফোনকল, হয়রানি: অভিভাবকদের কাছে যেন ‘জিম্মি’ দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষকেরা

শিক্ষার্থীদের কথা আমরা ভুলেই গেছি!

২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রায় ডজনখানেক বার স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ ১৩ জুন পর্যন্ত বন্ধ বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে, দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে শ্রেণিকক্ষের বাইরে অবস্থান করছে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী।
টিটু দত্ত গুপ্ত
10 June, 2021, 03:20 pm
Last modified: 10 June, 2021, 05:47 pm
ছবি: ইউএনবি

আমাদের শিশুদের পাঠদানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে কি কোনো পরিকল্পনা আছে?

দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মেয়ে ত্রপা বাংলায় নিজের নাম লিখতে ভুলে গেছে দেখে ধাক্কা খান অনিমা বৈষ্ণব। মেয়েটি নিজের স্কুল কিংবা বাবা-মায়ের নামও লিখতে পারছে না। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দেয়া ছোট একটি পরীক্ষার ইংরেজি কিংবা গণিতের সমাধান করতে গিয়েও পুরোপুরি হিমশিম খেয়ে চলেছে দ্বিতীয় শ্রেণির এই শিশু।

"তোমার মাথা পুরোটাই গেছে," চরম হতাশায় বলে উঠেন ত্রপার মা। 

ফেনী জেলার গ্রামের একটি মাধ্যমিক স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক খুরশেদ আলম। বহু চেষ্টা করেও তিনি নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলেকে পড়ার টেবিলে বসাতে পারেন না। বিকেল পর্যন্ত ছেলেটি বিরতিহীনভাবে খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। "কেন আমাকে পড়তে হবে? স্কুল তো বন্ধ," বাবা-মার অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলে এই কিশোর। 

পল্লী অঞ্চলে শিশুরা সারাদিন স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার সুযোগ পায়। সেখানে চলাফেরা নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ পালনে জোর নেই। "তারা পড়াশোনা ব্যতীত বাকি সব কিছু নিয়ে ব্যস্ত আছে, শ্রেণিকক্ষ ছাড়া সব জায়গায় যাচ্ছে," মর্মাহত হয়েই বলেন খুরশেদ আলম।

২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রায় ডজনখানেক বার স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ ১৩ জুন পর্যন্ত বন্ধ বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে, দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে শ্রেণিকক্ষের বাইরে অবস্থান করছে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী।

দীর্ঘসময় ধরে পাঠদান থেকে দূরে থাকায় এই শিশুরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তা পূরণ করা সহজ হবে না। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশান রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত এক যৌথ গবেষণা অনুযায়ী, দেশের স্কুলগামী প্রায় ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

মে মাসে প্রকাশিত গবেষণার তথ্যানুসারে, প্রাথমিক পর্যায়ের ১৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ স্কুলগামী শিশু শিখতে না পারার ঝুঁকিতে আছে।

শহুরে অঞ্চলে মাধ্যমিক স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিখতে না পারার এই ক্ষতি আরও বেশি। এই ঝুঁকি মেয়েদের মধ্যে ২৬ শতাংশ ও ছেলেদের মধ্যে ৩০ শতাংশ। কোভিড-১৯ চালিত অর্থনৈতিক ধাক্কার কারণেই সম্ভবত মাধ্যমিক পর্যায়ের অতিদরিদ্র পরিবার থেকে আসা ছেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। 

বিশ্বে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ সরিয়ে ফেলা হলেও প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মেয়েশিশু সম্ভবত আর স্কুলে ফিরবে না। গত বছর এক সতর্কবার্তায় এই তথ্য জানায় ইউনেস্কো। স্কুল পুনরায় চালু হলে এই শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে সচেতনতামূলক প্রচারণার ওপর জোর প্রদান করে সংস্থাটি। 

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রাক-বাজেট ওয়েবিনারে একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেন গবেষকরা।

এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুশ্রম, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী, শিখতে না পারার ক্ষতি, অপুষ্টি, বাল্যবিবাহ ও অল্প বয়সে গর্ভধারণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।

বক্তারা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করা এবং পাঠদানের ক্ষয়ক্ষতি পূরণে শিক্ষাখাতে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর দাবিও জানান তারা। 

তবে, প্রস্তাবিত বাজেটে তাদের এই আশঙ্কা এবং পরামর্শ স্পষ্টভাবেই উপেক্ষা করা হয়েছে।

এমনকি, বাজেটে পাঠাদানের ক্ষয়ক্ষতি বা পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, "সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা চলতি বছরের ৩১ মার্চ হতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে 'কোভিড-১৯' এর দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় তা স্থগিত করতে হয়েছে।" কিন্তু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ পুনরায় চালু হবে সে বিষয়ে একটিমাত্র শব্দও ব্যবহার করা হয়নি। 

বক্তৃতায় পূর্ববর্তী বছরগুলোতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ এবং বিনামূল্যে বই প্রদান, স্কুলে খাদ্য বিতরণ, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং শিক্ষকদের বেতনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে সফলতা অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়।

বিশেষত, গ্রামীণ অঞ্চল বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রাথমিক শিক্ষায় উন্নয়ন বরাদ্দের পরিমাণ চলতি বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।

অর্থমন্ত্রী টেলিভশনে প্রদর্শিত "ঘরে বসে শিখি" কার্যক্রমের মতো বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে বলেন, "এতে প্রায় এক কোটি ৪০ লক্ষ প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত রাখা হয়েছে।"

কিন্তু, গ্রামাঞ্চলে শিক্ষা ব্যবস্থা কীরকম চলছে তা ত্রপার মতো শিক্ষার্থী এবং তার হতাশ মায়ের দিকে তাকালেই বলে দেওয়া সম্ভব।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আয়োজিত ২৯ লাখ অনলাইন ক্লাস এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঁচ লাখ অনলাইন ক্লাসে প্রায় দুই কোটি ২৬ লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে বলে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়।

তবে, শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের (ক্যাম্পে) জানুয়ারিতে পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয়। এদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছেই অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার মতো প্রয়োজনীয় ডিভাইস নেই।

এছাড়া, ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৭৬ শতাংশ অভিভাবক স্কুল পুনরায় চালু করার পক্ষে মত দেন।

ফেব্রুয়ারিতে স্কুলগুলো পুনরায় চালু করার আহ্বানও জানায় ক্যাম্পে।

কর্তৃপক্ষ জানুয়ারি মাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চ নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার উদ্দেশ্যে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে আর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল চালু করতে স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং বিধিমালা জারি করে। সেখানে, প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা করাসহ পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণিতে প্রতিদিন একটি করে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু, সব উদ্যোগই স্থগিত রাখা হয়েছে।

গত কয়েকদিনে সংক্রমণ হার ১১ শতাংশের ওপর পৌঁছে। ঢাকার বাইরে প্রতিদিন নতুন করে বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ হার বৃদ্ধির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ কেবলমাত্র শহর কেন্দ্রিক এধরনের প্রচলিত ধারণাকেও কোনঠাসা করে দিয়েছে কোভিড। আর তাই, শ্রেণিকক্ষ হঠাৎ করেই খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা এখন আরও বেশি অনিশ্চিত।

৭ জুন পর্যন্ত, ঢাকার বাইরে ৪৫টি জেলায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ফলে, কঠোর লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

নিশ্চিতভাবেই ধরে নেওয়া যায় যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার সময়সীমা আরেক দফায় বৃদ্ধি পেতে চলেছে।

তবে, পরিস্থিতির উন্নতি হলে শ্রেণিকক্ষ খুলে দেওয়ার বিষয়ে আগে থেকেই সুগঠিত দিক নির্দেশনা তৈরি রাখা জরুরি।

জরুরিভাবে বিশেষ দুটি উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো ড. কাজী ইকবাল। এরমধ্যে একটি হবে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য এবং অপরটি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে।

"খুব সম্ভবত, দ্বিতীয় শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী লিখতে, সাধারণ গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে, এমনকি গুনতে ভুলে গেছে। তাদের যদি তৃতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিকারমূলক কোর্সের প্রয়োজন হবে," বলেন তিনি।

উঁচু স্তরে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের ক্ষতি আরও বেশি। এর অধিকাংশই কখনো পুরোপুরি প্রতিকার করা সম্ভব হবে না বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

বিশেষত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পাঠদান ব্যবস্থার মাধ্যমে কিছুটা হলেও তাদের পূর্ব পাঠের সাথে যুক্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন এই গবেষক।

এছাড়া, প্রতিকারমূলক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে মূল্যায়ন পরীক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

বাজেটে কোভিডের কারণে পাঠদান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কিছুর উল্লেখ না থাকার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন ড. ইকবাল। কিন্তু, যে কোনো সময় পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।

"বাজেটে খুঁটিনাটি সবকিছু বিশদভাবে ব্যখ্যা করা প্রয়োজন। নিজেদের জন্য কর্মপরিকল্পনা নির্মাণ করা শিক্ষা বিষয়ক দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব," বলেন তিনি।

এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি। এর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীরা অধিক ঝুঁকিতে আছে। ফলে তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে তিনি মনে করেন।

বিনামূল্যে আবাসন ও খাদ্য সুবিধা দেওয়ায় মাদ্রাসাগুলো গরীব পরিবারের শিক্ষার্থীদের টানতে সক্ষম হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের পুনরায় ভাবা উচিত বলে মনে করেন এই জ্যেষ্ঠ গবেষক।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম প্রায়ক্ষেত্রেই অকার্যকর হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে "কে-১২" স্কুলগুলো গ্রীষ্মের মৌসুমে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

পাঠদানের ঘাটতি পূরণে বাড়তি সময় ধরে ক্লাস নেওয়ার জন্য স্কুলগুলো শিক্ষকদের বোনাস প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে খাবার এবং পরিবহন সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোভিড লকডাউনের শিক্ষার ক্ষতিপূরণের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার ১.৪ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে। মাথাপিছু হিসাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৫০ পাউন্ডের বেশি কিছু অর্থ পাবে।

কিন্তু, বরাদ্দকৃত অর্থ যথেষ্ট নয় বলে ইস্তফা প্রদান করেছেন দেশটির শিক্ষা পুনরুদ্ধার বিষয়ক কমিশনার কেভান কলিনস। তিনি প্রতি শিক্ষার্থীর পেছনে ১০০ ঘন্টা অতিরিক্ত পাঠদানের জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে স্কুলের সময় বাড়ানোর পাশাপাশি ১০ গুণ বেশি বরাদ্দ দাবি করেন।

বিরোধী লেবার দলের সদস্যরা কনজারভেটিভ সংসদ সদস্যদের স্কুলের বরাদ্দকৃত অর্থ বৃদ্ধির দাবি সমর্থন করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে, চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার ঋষি সুনক কেন শিক্ষা সচিব গ্যাভিন উইলিয়ামসনের বাড়তি অর্থের দাবি নাকচ করেছেন সেই প্রশ্নও তুলেন তারা।

"মহামারি চলাকালে কনজারভেটিভরা শিশুদের প্রাধান্য দিয়েছে সবথেকে শেষে এবং এখন তারা পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াতেও তাদের উপেক্ষা করছে," বলেন যুক্তরাজ্যের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের ছায়া শিক্ষা সচিব কেট গ্রিন।

এদিকে, বাংলাদেশের সংসদে বর্তমানে বাজেট অধিবেশন চলছে।

আমাদের অর্থমন্ত্রী কি শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য এরকম চাপের সম্মুখীন হবেন? দুই শিক্ষা মন্ত্রী কি সংসদে বলবেন যে তারা কী চেয়েছিলেন ও কী পেলেন এবং কীভাবে শ্রেণিকক্ষ পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছেন?
 

Related Topics

টপ নিউজ

শিক্ষা ব্যবস্থা / বাজেট অধিবেশন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘অশ্লীলতা ও পরিবেশ নষ্টের’ অভিযোগ: সিলেটে পর্যটকদের বের করে দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র 'বন্ধ ঘোষণা' এলাকাবাসীর
  • মেইতেই নেতাকে গ্রেপ্তারের পর উত্তাল মণিপুর, ইন্টারনেট বন্ধ-কারফিউ জারি
  • করোনা সংক্রমণ বাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ
  • মোদির পক্ষে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে কাজের অভিযোগে মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি
  • বর্তমান পরিস্থিতিতে 'টার্নিং পয়েন্ট' হতে পারে লন্ডনে তারেক-ইউনূস বৈঠক: মির্জা ফখরুল
  • কলকাতায় নিহত সাবেক এমপি আনারের বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধান মিলেছে কুষ্টিয়ায়

Related News

  • নামকাওয়াস্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে এবং হবে?
  • ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক চলছে
  • নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
  • নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
  • রাত-বিরাতে ফোনকল, হয়রানি: অভিভাবকদের কাছে যেন ‘জিম্মি’ দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষকেরা

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘অশ্লীলতা ও পরিবেশ নষ্টের’ অভিযোগ: সিলেটে পর্যটকদের বের করে দিয়ে পর্যটনকেন্দ্র 'বন্ধ ঘোষণা' এলাকাবাসীর

2
আন্তর্জাতিক

মেইতেই নেতাকে গ্রেপ্তারের পর উত্তাল মণিপুর, ইন্টারনেট বন্ধ-কারফিউ জারি

3
বাংলাদেশ

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

4
আন্তর্জাতিক

মোদির পক্ষে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে কাজের অভিযোগে মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি

5
বাংলাদেশ

বর্তমান পরিস্থিতিতে 'টার্নিং পয়েন্ট' হতে পারে লন্ডনে তারেক-ইউনূস বৈঠক: মির্জা ফখরুল

6
বাংলাদেশ

কলকাতায় নিহত সাবেক এমপি আনারের বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধান মিলেছে কুষ্টিয়ায়

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net