রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৩ শতাধিক ঘর-দোকান ভস্মীভূত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন শতাধিক ঘর ও দোকানপাট ভস্মীভূত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের 'ই' ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয় ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন লার্নিং সেন্টার ও এনজিও সংস্থার খালি অফিসগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ইমদাদুল হক জানান, সকাল ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে জেলার চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও দুইটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তদন্ত শেষে জানানো যাবে বলে উল্লেখ করে তিনি।
কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি ই-ওয়ান ব্লকের আলী হোসেন বলেন, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে রোহিঙ্গাদের ৩১২টি ঝুঁপটি ঘর ও দোকান। ঘর পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে বলে তিনি জানান
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে ঘটনাস্থলে আমরা আহত কাউকে দেখতে পাইনি।
তিনি বলেন, প্রতিটি রোহিঙ্গাদের বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। তারমধ্যে অধিকাংশ রোহিঙ্গারা সিলিন্ডারের ব্যবহার বিধি জানেন না। এ ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানও রয়েছে। সেখান থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমাদের অফিসারদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। লকডাউনে বন্ধ থাকা লার্নিং সেন্টার ও বিভিন্ন এনজিওর খালি ঘর গুলোতে ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর, ডাব্লিউএফপিএসহ আইএনজিও এবং এনজিওগুলোকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরগুলো তুলে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন আরআরআরসি মাহবুব তালুকদার।