দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েও পারলেন না ক্যাসিনো কিং

ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের অধিপতি হিসেবে পরিচিত সম্রাট কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন, র্যাবের একটি গোয়েন্দা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পালানোর জন্যই তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।
গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব এলাকায় অবস্থান নিয়ে সম্রাটকে তার সহযোগী আরমানসহ গ্রেফতার করে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রমতে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট দেশ ছেড়ে পালাতে চাচ্ছিলেন।
১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর দুদিন পর একবার সম্রাটের পলায়ন-প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেদিন সকালে ‘চিকিৎসার’ উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন সম্রাট, তবে পুলিশি বাধায় তা আর পারেননি। সেসময় তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তবে তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর তার দেশত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। দেশের সকল বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বন্দরগুলোকেও বিষয়টি জানিয়ে রাখে তারা।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, সম্রাটের দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ তার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
বিমানবন্দরের আরেক নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনিও একই তথ্য দেন।
২২ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সম্রাট অজ্ঞাতবাসে চলে যান।ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, ২২ সেপ্টেম্বর রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে দু’জন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে একটি কালো গাড়িতে চড়ে সম্রাট কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে তখন জানা গিয়েছিল যে, গ্রেপ্তার বিলম্বিত করতে ওই রাতেই প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে আশ্রয় নেন সম্রাট।
তবে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সারওয়ার বিন কাশেম জানিয়েছিলেন যে, তারা সম্রাটের ওপর নজর রাখছেন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেছিলেন, “সম্রাটের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে তার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছি আমরা। সে সঙ্গে তার গতিবিধির উপরও নজর রাখা হচ্ছে।”