ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তন আসছে: আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই আইনে কোন অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগেই কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না-এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ বিবিসি বাংলাকে এসব জানান।
উল্লেখ্য, লেখক মুশতাক আহমেদের জেলখানায় মৃত্যুর ঘটনায় ডিজিটাল আইন নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে আইন বাতিলের দাবি উঠেছে।
"তদন্তের আগে মামলা নেওয়া বা কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে," বলেন আইনমন্ত্রী,
"আমরা বলেছি যে, সরাসরি মামলা নেওয়া হবে না। কোন অভিযোগ এলে পুলিশ প্রথমে তদন্ত করে দেখবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তারপরে মামলা নেয়া হবে," যোগ করেন তিনি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি প্রণয়ন করার পর থেকে কোনো অভিযোগ এলেই পুলিশ মামলা নিয়ে কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে- এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আগে যাতে আটক না করে এবং তদন্তের জন্য যেন অপেক্ষা করে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি,"
জামিন না হওয়া হওয়ার প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, "সাজা কতোটুক হলে জামিন হবে এবং কতোটুক হলে জামিন হবে না-ঠিক সেই নীতি অনুসরণ করে আমরা নীতি বিধান করেছি। সারা পৃথিবীতেই এটি করা হয়, এমনকি এই উপমহাদেশেও। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি,"
আইনের অব্যাহত অপপ্রয়োগ অভিযোগের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেছেন, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
"সব আইনই প্রণয়নের সময় একটি ট্রায়াল এন্ড এরর বা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কথা হচ্ছে, এখানে যদি কিছু অ্যাবিউজ এবং মিসইউজ হয়, সেটা কি করে বন্ধ করা হবে- সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি,"
মন্ত্রী আনিসুল হক বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সাথেও আলোচনা করার কথা উল্লেখ করে বলেন,
"জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অফিসের সাথে আমি আলাপ চালাচ্ছি। সারা বিশ্বের সাথে আমরা এটার তুলনা করছি। অপব্যবহার যেগুলো ধরা পড়ছে বা অ্যাবিউজ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর জন্য একটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স সিস্টেম কীভাবে ডেভেলপ করা যায়, এই আইনের মধ্যেই কীভাবে সেটি থাকতে পারে-সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।"
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদ মৃত্যুর আগে ছয়বার জামিন আবেদন করেও জামিন পাননি বলে জানা গেছে।