Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
June 21, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, JUNE 21, 2025
গেম অব ইলেভেন: তরুণ প্রযুক্তিবিদের তৈরি দেশের প্রথম স্পোর্টস ফ্যান্টাসি গেম

ফিচার

নূর মাজিদ
06 September, 2020, 09:15 pm
Last modified: 06 September, 2020, 10:48 pm

Related News

  • তরুণদের জন্য ১০০ কোটির তহবিল, ‘তারুণ্যের উৎসব’ উদ্‌যাপনে আরও ১০০ কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব
  • বেকার, ঋণে জর্জর বাংলাদেশি তরুণ টুইটার ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে তুললেন নিজের কোম্পানি
  • 'কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরিতেও কাজ করতে হবে'
  • ভূমিধসে বন্ধুকে হারিয়েছেন, এখন বন উজাড়ের বিরুদ্ধে নারকেল দিয়ে লড়ছেন তিনি
  • লিলিটেইলর: নারীদের পোশাক খাতে ভিন্নধারার সংযোজন    

গেম অব ইলেভেন: তরুণ প্রযুক্তিবিদের তৈরি দেশের প্রথম স্পোর্টস ফ্যান্টাসি গেম

এদেশে সম্ভাব্য এক কোটি ভোক্তার এক বিশাল বাজার আছে স্পোর্টস ফ্যান্টাসির। এর বাজারমূল্য আনুমানিক সাড়ে ৪২ কোটি ডলার।  বিশাল বাজারটির খুব সামান্যই ধরতে পেরেছি আমরা। বর্তমানে GO-11 এর নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ৫৮ হাজার, বলছিলেন গেম অব ইলেভেন কো-ফাউন্ডার আশিফ মুজতবা। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি স্টার্টআপ কনসালটেন্সি- ফুটসঅ্যাপ লিমিটেডের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন।
নূর মাজিদ
06 September, 2020, 09:15 pm
Last modified: 06 September, 2020, 10:48 pm
ছবি: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

তথ্যপ্রযুক্তি বদলে দিয়েছে পৃথিবীর হালচিত্র। বিনোদন আর গেমিং দুনিয়াতে এ পরিবর্তন ছিল বৈপ্লবিক। পৃথিবীর তাবড় গেমিং কোম্পানির সম্মিলিত আয় এখন হলিউডের চাইতেও বহুগুণে বেশি। প্রতিদিনই এ অঙ্গনে যোগ দিচ্ছে নতুন নতুন মেধা আর উদ্যোগের সমাহার। হাজার ধরনের গেম আছে এখন মোবাইল, পিসি বা প্লে-স্টেশন ব্যবহারকারীদের জন্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফ্যান্টাসি বা কাল্পনিক গেমিং খাতে বিপুল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। 

এমনটাই জানালেন দেশের প্রথম স্পোর্টস বা ক্রীড়াভিত্তিক ফ্যান্টাসি গেম 'গেম অব ইলেভেন' এর কো-ফাউন্ডার ও প্রধান আইডিয়াবাজ আশিফ মুজতবা। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি স্টার্টআপ কনসালটেন্সি- ফুটসঅ্যাপ লিমিটেডের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন। দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ডকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে আশিফ তুলে ধরেন নিজেদের তৈরি গেমের সম্ভাবনা, সাফল্য এবং উদ্যোগটির যাত্রা শুরুর কথা। 

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড: এই ফ্যান্টাসি গেমিং বাজারের বৈশ্বিক পরিধি কতটুকু আর ব্যবহারকারীর সংখ্যাই বা কেমন?

আশিফ মুজতবা: দেখুন ফ্যান্টাসি গেম তো পুরো বিশ্বজুড়েই খেলা হয়। তবে স্পোর্টস ফ্যান্টাসি সম্পূর্ণ অবাস্তব কোনো কল্পনার বিষয় নয়। এখানে বাস্তব দুনিয়ার খেলোয়ার আর দলের সার্বিক পারফরম্যান্স গণনা করে আমাদের মেশিন অ্যালগরিদম। সেই অনুসারে চূড়ান্ত ফলাফল লাভ করেন একজন ইউজার। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় কল্পক্রীড়া গেমগুলো ক্রিকেট ও ফুটবল ফ্যান্টাসি লীগ কেন্দ্রিক। 

যেমন ধরুন; ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের আদলে আছে ফ্যান্টাসি প্রিমিয়ার লীগ। আবার পাশের দেশ ভারতে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ বা আইপিএল অনুসরণে তৈরি করা হয়েছে ড্রিম ১১- নামের একটি গেম। এদুটিই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। মোবাইল বা অন্য ডিভাইসে গেমগুলো খেলার সুযোগ পান ইউজাররা। 

২০২০-২৪ সাল নাগাদ এই কল্পক্রীড়া গেমের বাজার ৯৩৪ কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অংক কিশোর এবং তরুণ জনসংখ্যার মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদাকেই নির্দেশ করছে, বলে মনে করি। 

ভারতের ড্রিম-১১ এখন শত কোটি ডলারের স্টার্টআপ এবং প্রতিনিয়ত এর পরিধি বাড়ছে। এ বিস্তারের অন্যতম কারণ; আসলে প্রত্যেক ক্রিড়ামোদীই একটা সময়ে কল্পক্রীড়া গেমের সম্ভাব্য ভোক্তা হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করেন। 

বাংলাদেশে আমাদের তৈরি গেমটি ছাড়াও আরও দুটি স্পোর্টস ফ্যান্টাসি গেমিং প্ল্যাটফর্ম হলো;ক্রিকউইজ এবং সুপার ১১। 

প্রশ্ন: তাহলে তো পরিসরটি বেশ বড় বলেই মনে হচ্ছে? আপনার ডেভেলপার টিম সম্পর্কে বলুন। কিভাবে দেশের প্রথম স্পোর্টস ফ্যান্টাসি গেম তৈরির চিন্তা মাথায় এলো?

মুজতবা:  আমাদের গেমটি সংক্ষেপ ও বাণিজ্যিক নাম - GO11। এর মূল টিমের সবাই আহসানউল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ২৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময় আমি  'জাতীয় মোবাইল অ্যাপ' প্রতিযোগিতার জন্য একটি টিম বানাই এবং অংশগ্রহন করি। প্রতিযোগিতার জন্য আমরা সম্পূর্ন নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে একটি গেম ডেভেলপ করি- যেটার নাম ছিল লুডো। 

প্রতিযোগিতায় আমরা রানার্স আপ হই। যেটা বিশেষ করে আমার জন্য ছিল অনেক বড় একটা অনুপ্রেরণা। এরপর আমার ক্যারিয়ার শুরু হয় মোবাইল এপ্লিকেশন নিয়েই। কিন্তু সবসময় চাইতাম আমাদের নিজেদের টিম হবে এবং আমরা গেম এবং অনলাইন স্পোর্টস নিয়ে কাজ করব। যেই স্বপ্নের অনেকটা বাস্তব রূপ হচ্ছে - GO11 প্ল্যাটফর্ম। সবাই একই বিশ্ববিদ্যালয় এবং একই ব্যাচের হওয়াতে আমাদের জন্য সবকিছু নিয়ে সমন্বয় করা সহজ ছিল। আমি নিজে অন্য সফটঅয়্যার ফার্মে মোবাইল টিম লিড হিসেবে কাজ করলেও, সবসময় নিজেদের স্টার্ট আপের স্বপ্ন নিয়ে একদিনের জন্যেও ভাবা বাদ দেইনি। এখনো আমাকে প্রফেশনালি কিছু জায়গায় কনসালটেন্সি করতে হয়- এর পেছনেও মূল কারণ থাকে - GO11 প্ল্যাটফর্ম। 

২০১৮ তে যখন আমি ফ্যান্টাসি গেম স্টার্ট আপের প্ল্যান করি তখন সবাই যার যার কার্যক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও - GO11 নিয়ে কাজ করতে কেউ কোন দ্বিধাবোধ করেনি। সকলেই পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেই নিজ নিজ উদ্দীপনা ও সময় অনুসারে গেমটির উন্নয়ন ও পোগ্রামিং এর কাজ চালিয়ে যেতে থাকি।

একদম প্রাথমিক আইডিয়া দেবার পর আমি আর শাজাদ এটা নিয়ে মূল আলোচনা করি এবং কেন ফ্যান্টাসি স্পোর্টস নিয়ে কাজ করব সেটার যুক্তিও সঠিকভাবে বের করা চেষ্টা করি। কারণ এরমধ্যেই আমাদের পাইপলাইনে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং মেশিন লার্নিং রিলেটেড আইডিয়াও ছিল। যখন অন্য সবার সাথে আইডিয়া এবং প্ল্যান শেয়ার করা হয় তখনই আসলে সত্যিকারের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় প্ল্যাটফর্মটি ডেভেলপ করার জন্যে। 

আরেক সহযোগী তানভীর আহমেদ নিজে আরেকটি স্টার্ট আপের CTOবা প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হয়েও GO- 11 এর গ্রোথ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি প্রত্যেকটি টিম মেম্বারের এমন ত্যাগ আর পরিশ্রমেই আজকে সফলভাবে ১ বছরের বেশি সময় পর GO11 বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফ্যান্টাসি স্পোর্ট প্ল্যাটফর্ম। 

প্রশ্ন: গেমটি কিভাবে খেলা হয় আর এর বিশেষত্ব কী কী?

মুজতবা: শুরুতেই বলেছি GO-11 দক্ষতা নির্ভর গেম। আমরা নিয়মিত ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচের ফলাফল গ্রাহকদের তৈরি টিমের ভিত্তিতে প্রকাশ করি। প্রতিটি ম্যাচ দুই ধরনের হয়ে থাকে; প্রিমিয়াম এবং ফ্রি। বাস্তব জীবনের আসন্ন একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আগে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গঠন করতে পারেন। যেমন; বাংলাদেশ বা ইংল্যান্ড টিমের আসন্ন একটি ক্রিকেট ম্যাচের আগে গ্রাহকেরা নিজের ইচ্ছেমত দুটি টিম গঠন  করতে পারবেন। তবে সাতজনের বেশি পছন্দের খেলোয়াড়কে নিজ দলে রাখার সুযোগ নেই। নিজস্ব জ্ঞান ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অনলাইন গ্রাহকেরা টিম গঠন করে থাকেন। তারপর দুই টিমের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।    

ম্যাচ চলাকালে ব্যবহারকারীরা রিয়েল টাইম অনুসারে আপডেট পেয়ে থাকেন। আমাদের প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদম খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকে। সেই অনুসারেই ফলাফল প্রদর্শিত হয়।  

ফ্রি কনটেস্ট বিজয়ীরা ইন-গেম কারেন্সি জেতার সুযোগ পান। এটি আবার প্রিমিয়াম কনটেস্টে অংশ নিতে তারা ব্যবহার করতে পারেন। আবার প্রিমিয়াম কনটেস্ট বিজয়ীরা আমাদের পক্ষ থেকে নানা প্রকার পুরস্কার পেয়ে থাকেন। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশে এই ধারার গেমিং সম্ভাবনাময় কেন বলে মনে করেন? 

মুজতবা: মনে না করারই কারণ কম। নিজ অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি, এদেশের ক্রিড়া উন্মাদনার ছোঁয়াটা নিজের কৈশোরেই ভালো অনুভব করেছি। ক্রিকেটের সমর্থনের বেলাতেই তা অনুভব করতে পারেন সকলে। প্রত্যেক ভক্তই এদেশের ক্রিকেট নিয়ে ভীষণ আবেগি। কিন্তু, অনেক সময় আবেগ অন্ধ সমর্থনে রূপ নেয়। আমরা এই ধারাটা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের সাহায্যে পরিবর্তন করতে চেয়েছি। আমাদের প্রচেষ্টা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমর্থক বুনিয়াদ তৈরি করা। প্রিয় খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত পারফরম্যান্স সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার।

এসব চিন্তা একত্র করেই একটু সুষ্ঠু ও নান্দনিক অনলাইন ক্রীড়া নেটওয়ার্ক বা কম্যুনিটি তৈরির চেষ্টা করেছি আমরা। নিজেদের সামর্থ্য আর ঘাটতির ব্যাপারেও আমরা সচেতন। তাই এগিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয়ে ভুগিনা, বরং বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহী।   

আমাদের নিজস্ব পর্যালোচনা বলছে, এদেশে সম্ভাব্য এক কোটি ভোক্তার এক বিশাল বাজার আছে স্পোর্টস ফ্যান্টাসির। এর বাজারমূল্য আনুমানিক সাড়ে ৪২ কোটি ডলার। 

বিশাল বাজারটির খুব সামান্যই ধরতে পেরেছি আমরা। বর্তমানে GO-11 এর নিবন্ধিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ৫৮ হাজার। তবে এ সীমিত পরিসরের মধ্যেই আমরা ১৩শ' ম্যাচের ফলাফল প্রকাশ করেছি। প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করেছি সাড়ে ৮ হাজার। 

সত্যি বলতে কী, এগুলো অনেক বড় পাওয়া। এত তাড়াতাড়ি এ পরিমাণ সাফল্য ছিল আমাদের প্রত্যাশার অতীত। তাই  সম্ভাবনা সম্পর্কে জেনেই আমরা এখান থেকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।  

প্রশ্ন: গেম অব ইলেভেনে কতজন ডেভেলপার বর্তমানে কাজ করছেন? গেমটি তৈরির সময় কী রকম প্রতিবন্ধকতার মুখে পরেছেন? 

মুজতবা: আসলে নামের ভেতরেই বিষয়টি পরিষ্কার বলা আছে। ম্যানেজমেন্ট এবং ডেভেলপার মিলিয়ে আমাদের মূল সদস্য সংখ্যা ১১ জন। এরমধ্যে আমি; আশিফ মুজতবা, অনিক সাহা এবং সাজাদ উল আলম ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য। 

GO-11 ম্যানেজমেন্ট টিম।

প্রোডাক্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিমের সদস্যরা হচ্ছে; অরুনাভ সিকদার, আসিফ কবির, ফয়জুল হক রকি, বেলাল হোসেন, ইফফাত জেরিন, মুস্তাকিম সানি, নাজমুল হোসাইন এবং তানভীর আহমেদ। 

GO-11 প্রোডাক্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিমের সদস্যরা।

২০১৮ সালে ফ্যান্টাসি লীগ চালুর ব্যাপারে আইডিয়া খোঁজা শুরু করেছিলাম আমরা। সেপ্টেম্বর নাগাদই তৈরি হয়ে যায় মূল অ্যাপলিকেশনের আর্কিটেকচুয়াল কন্সট্রাকশন। দলের সবাই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ায় এনিয়ে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু, প্রযুক্তিকে ব্যবসায় রূপান্তরের উদ্যোগে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তাছাড়া, ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জও ছিল। 

প্রিমিয়াম গ্রাহকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখতেও টিমের কলেবর বাড়াতে হয়। ২০১৯ সালে আমরা প্রথম নিজেদের বিজনেস টিম, সাপোর্ট টিম এবং ইউএক্স টিম গঠন করি। ফলে সদস্য সংখ্যা উন্নীত হয় ১৮ জনে। দলের সকলেই তরুণ এবং দারুণ উদ্যমী। এজন্যেই আগামী দিন নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রত্যাশা অনেক। 
 

প্রশ্ন: বিশ্বজুড়ে মহামারির মাঝে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি ইতিবাচক বিকাশ লক্ষ্য করা গেছে। এব্যাপারে GO-11 টিমের অভিজ্ঞতা কী? ভবিষ্যতের পরিকল্পনাই বা কেমন?

মুজতবা: আসলে বড় প্রযুক্তি উদ্যোগগুলোকে ঘিরে এখাতের বিশ্লেষণ করাটা সঠিক নয়। আবার পিসি গেমিং শিল্পের সঙ্গেও কল্পক্রীড়া ধারার বড় পার্থক্য আছে। মহামারির তাণ্ডবে এখাতের ছোটবড় সব উদ্যোগ নেতিবাচক অবস্থার সম্মুখীন হয়, কারণ এটির ব্যবহারকারির সংখ্যা বাড়ে বাস্তব জীবনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঘিরে। গত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বিশ্বে সব ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বলতে গেলে এক প্রকার বন্ধই ছিল। কিন্তু, দুঃসময় থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা নেওয়ার আছে। নিজেদের দুর্বলতা উপলদ্ধি যেমন করা যায়, তেমনি থাকে ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ। 

তাই এসময়ে আমরা রিমোট ওয়ার্কের মাধ্যমে নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে থাকি। আবার নতুন ও চমকপ্রদ কিছু করার চেষ্টাও করি। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এসময়ে আমরা প্রথম ভার্চুয়াল ফ্যান্টাসির এক ক্রীড়াজগত তৈরি করি, মহামারি পূর্ব ম্যাচের তথ্য দিয়ে। সম্পূর্ণ এআই পরিচালিত স্বচালিত এ ব্যবস্থা আমাদের ব্যবহারকারীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে। বাস্তবিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকলেও তাই এসময় আমাদের গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। 

মহামারি যে কঠিন অবস্থা তৈরি করেছে তার চাপটা সকলেই কমবেশি অনুভব করছি। তাই আগামীদিনে এমনভাবে GO-11 ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে যা আমাদের সকল পরিস্থিতিতে সক্রিয় থাকার সুযোগ দেবে। ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা এবং তাদের ভার্চুয়াল বিচরণের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা সঠিক পথে পা বাড়াতে চাই। 

মুস্তাকিম সানি আমাদের দলে থাকায় এ সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। সে বর্তমানে জার্মান সফটঅয়্যার জায়ান্ট সিমেন্স-এ স্ট্যাটিসটিক্যাল মেশিন লার্নিং বিভাগে একজন অ্যাপ্লিকেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছে। সেই বর্তমানে আমাদের গবেষণা ও উন্নয়ন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ওর নেতৃত্বেই সম্প্রতি আমরা মেশিং লার্নিং প্রজেক্ট শুরু করেছি। এর ফলে বিদ্যমান তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও ব্যবহার বান্ধব একটি অভিজ্ঞতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

Related Topics

টপ নিউজ

ফ্যান্টাসি স্পোর্টস / গেম অব ইলেভেন / তরুণ উদ্যোক্তা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আঙুল কেন পানিতে কুঁচকে যায়, তা আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কী বার্তা দেয়?
  • চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনাল পরিচালনায় সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানোর আবেদন 
  • ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
  • ইরানের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতে সক্ষম বি-২ বোমারু বিমান মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের: প্রতিবেদন
  • জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত
  • ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

Related News

  • তরুণদের জন্য ১০০ কোটির তহবিল, ‘তারুণ্যের উৎসব’ উদ্‌যাপনে আরও ১০০ কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব
  • বেকার, ঋণে জর্জর বাংলাদেশি তরুণ টুইটার ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে তুললেন নিজের কোম্পানি
  • 'কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরিতেও কাজ করতে হবে'
  • ভূমিধসে বন্ধুকে হারিয়েছেন, এখন বন উজাড়ের বিরুদ্ধে নারকেল দিয়ে লড়ছেন তিনি
  • লিলিটেইলর: নারীদের পোশাক খাতে ভিন্নধারার সংযোজন    

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

আঙুল কেন পানিতে কুঁচকে যায়, তা আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কী বার্তা দেয়?

2
বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনাল পরিচালনায় সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানোর আবেদন 

3
আন্তর্জাতিক

৫.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

4
আন্তর্জাতিক

ইরানের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতে সক্ষম বি-২ বোমারু বিমান মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের: প্রতিবেদন

5
বাংলাদেশ

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত

6
বাংলাদেশ

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net