কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে

কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সকল আদালতে উল্লেখযোগ্য হারে মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে সর্বমোট ১১ হাজার ৩৮২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়।
গতবছর বিচারিক আদালতে ৫ হাজার ৭৮৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়, যা মোট মামলার ১৪৯.৭৩ শতাংশ এবং ৮ হাজার ৪৬৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
বিচারিক আদালতে বর্তমানে ৩৫২২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ২০১৯ সালে মামলা নিষ্পত্তির হার ২০১৮ সালের মামলা নিষ্পত্তির হারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং ২০১৭ সালের মামলা নিষ্পত্তির হারের তুলনায় আড়াই গুণেরও বেশি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের সর্বমোট ১১ হাজার ৩৮২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। যার মধ্যে সিআর/পিটিশন মামলা ৩ হাজার ৩৭৯টি, জিআর মামলা ৬ হাজার ৭২৪টি, নন জিআর মামলা ২ হাজার ৫৩টি, মিস কেস ৪৬৫টি, ক্রিমিনাল আপিল ৩৩টি ও এসএল ২৩৮টি।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮ হাজার ২৯৬টি। যার মধ্যে সিআর মামলা ২ হাজার ৭০৫টি, জিআর মামলা ৫ হাজার ৭৭টি, নন জিআর মামলা ৩১৫টি, মিস কেস ৭টি, ক্রিমিনাল আপিল ১৭টি এবং এসএল ৬৫টি।
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত এই আদালতে সর্বমোট ৫ হাজার ৬৪৮টি মামলা দায়ের হয়। যার মধ্যে সিআর/পিটিশন মামলা ২ হাজার ৮৮টি, জি.আর মামলা ২ হাজার ৬৮৪টি, নন জিআর মামলা ১৪১টি, মিস কেস ৪৬৬টি, ক্রিমিনাল আপীল ৪৯টি ও এস এল ২২০টি।
জেলার আইনজীবী ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট রেহেনা খানম জানান, কুড়িগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির মামলা নিষ্পত্তির হার এবং সাক্ষ্যগ্রহণের হার দেশের ম্যাজিস্ট্রেসির জন্য একটি মডেল।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, বর্তমান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মাহমুদুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে তার অধীনস্ত আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ও সাক্ষ্য গ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে কুড়িগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে ৯ জন বিচারক কর্মরত রয়েছেন। কুড়িগ্রাম জেলায় আমলী আদালত ১১টি ও বিচারিক আদালত ৯টি। বর্তমানে বিচারিককাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মামলা দ্রুত বিচারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।