ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব ধরনের সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার একটি রিটের শুনানির সময় বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
ফরহাদ হোসেন নামে একজন গ্রাহক ৫ মাস আগে ইভ্যালিতে ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু গত ৫ মাসেও তাকে অর্ডার বুঝিয়ে না দেওয়া এবং টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে এ আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই এ আদেশ দেন আদালত।
আবেদনকারীর পক্ষে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আদালত এ বিষয়ে শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ৩০ সেপ্টেম্বর।

এর আগে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাওছার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থপাচার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
ইভালির নিজস্ব হিসাবে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২১ কোটি টাকা, আর গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে তাদের দেনা ১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ইভ্যালি তাদের সাইটে বিভিন্ন পণ্যে বিশাল মূল্যছাড়ের লোভ দেখিয়ে এবং ৭-৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্যের মূল্য হিসেবে অগ্রিম অর্থ সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু বহু ক্রেতাই এখনও তাদের অর্ডার করা জিনিস পাননি।
ইভালির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় গ্রাহকদের দেওয়া রিফান্ড চেকগুলোও বাউন্স হয়ে যায়।
এদিকে, অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকার একটি আদালত তাদের প্রাথমিকভাবে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার রাসেলকে নতুন করে একদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয় এবং শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।