Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
October 01, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, OCTOBER 01, 2025
ভারতবর্ষের রহস্যময় চাপাতি আন্দোলন: ব্রিটিশদের মহাশঙ্কায় ফেলে দেয়!

ফিচার

সাদিয়া আফরিন শায়লা
22 December, 2021, 03:20 pm
Last modified: 22 December, 2021, 04:41 pm

Related News

  • ভারত যেভাবে নিজেদের এক অস্বাভাবিক টাইম জোনে আটকে আছে
  • ‘চামার’ থেকে ক্রিকেট নায়ক! 
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেভাবে তাদের প্রথম মানচিত্র তৈরি করে ভারতবর্ষে ভূমি জরিপ করে
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিত্রকলার বাজারও যেভাবে লাভজনক করে তুলেছিল
  • নিজেদের মুদ্রা চালু করতে প্রচুর কাঠখড় পোড়ায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, আওরঙ্গজেবও পারেননি ঠেকাতে

ভারতবর্ষের রহস্যময় চাপাতি আন্দোলন: ব্রিটিশদের মহাশঙ্কায় ফেলে দেয়!

আশ্চর্যের বিষয় ছিল, চাপাতিগুলো প্রত্যেক ভারতীয় বাড়িতে তৈরি করা সাধারণ চাপাতি; বিশেষ কিছুই ছিল না এতে। তবে কেনোই বা চলছিল এই বিতরণকাজ? উত্তর জানা ছিল না কারো।
সাদিয়া আফরিন শায়লা
22 December, 2021, 03:20 pm
Last modified: 22 December, 2021, 04:41 pm
'দ্য ক্যাম্পেইন ইন ইন্ডিয়া ১৮৫৭-৫৮': উইলিয়াম সিম্পসন, ই ওয়াকার/ ছবিসূত্র: ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়াম 

সময়টি ১৮৫৭ সাল। ব্রিটিশ-অধিকৃত ভারতে সেসময় চলছিলো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ। সেসময়ের আলোচিত সিপাহী বিপ্লবের পাশাপাশি আরও একটি রহস্যময় আন্দোলন শুরু হয়, যা ছিল ব্রিটিশদের উদ্বেগের কারণ। অস্বাভাবিক সেই ঘটনাকে 'চাপাতি আন্দোলন' হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

উত্তর ভারতের গ্রাম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযারে, প্রতিদিন হাজারো চাপাতি (ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত পাতলা বিশেষ ধরনের রুটি) এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে পাঠানো হতো। মানুষের হাতে হাতে পাঠানো এই চাপাতি কোথা থেকে আসতো বা কী অর্থ বহন করতো- তা আদতে কেউই জানতো না।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তৎকালীন সার্জন ডা. গিলবার্ট হ্যাডো ব্রিটেনে তার বোনের কাছে লেখা একটি চিঠিতে এ ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি লিখেন, "বর্তমানে সমগ্র ভারত জুড়ে একটি রহস্যময় ঘটনা ঘটছে। কেউ এর অর্থ জানে বলে মনে হয় না। কোথা থেকে, কার দ্বারা বা কী উদ্দেশ্যে এটি পরিচালিত হচ্ছে তা আমার জানা নেই। এমনকি ঘটনাটি কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বা গোপন কোনো সমাজের সাথে সম্পর্কিত কিনা তাও জানা যায়নি।"

সে ঘটনাকে 'চাপাতি আন্দোলন' হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

সেসময় একটি গ্রাম থেকে ৪টি (বা অন্য কোনো সংখ্যার) চাপাতি গ্রামের চৌকিদার বা প্রহরীর হাতে করে কাছাকাছি গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হতো। চাপাতির সাথে তারা একটি নির্দেশনাও দিয়ে আসতো যেখানে আরও ৪টি চাপাতি তৈরি করে পাশের গ্রামে দিয়ে আসার কথা বলা থাকতো। চৌকিদাররা মাইলের পর মাইল ভ্রমণ করে ও দুর্গম জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হেঁটে এসব চাপাতি বিতরণ করতেন। তবে, এর উৎপত্তি নিয়ে খুব কম লোকই জিজ্ঞাসা করতো।

চাপাতি।  ছবিসূত্র: গৌরব মাসান্দ/ড্রিমটাইম ডট কম

১৮৫৭ সালের গোড়ার দিকে আগ্রার নিকটবর্তী মথুরা শহরের ম্যাজিস্ট্রেট মার্ক থর্নহিলের মাধ্যমে চাপাতি আন্দোলন প্রথমবারের মতো ব্রিটিশদের নজরে আসে। ঐসময় তার অফিসে বাসি চাপাতির একটি বান্ডেল এসে পৌঁছায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর, থর্নহিলকে জানানো হয়, একজন বিভ্রান্ত চৌকিদারের কাছ থেকে চাপাতিগুলো একজন ভারতীয় পুলিশ অফিসার নিয়ে এসেছেন। আরও জানা যায়, ঐ চৌকিদারও তার মতো আরেক বিভ্রান্ত চাপাতি বিতরণকারীর কাছ থেকে বান্ডেলটি পেয়েছিলেন।

তবে, থর্নহিল এই চাপাতির উৎস অনুসন্ধানের চেষ্টা করে বিফল হন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল, চাপাতিগুলো প্রত্যেক ভারতীয় বাড়িতে তৈরি করা সাধারণ চাপাতি; বিশেষ কিছুই ছিল না এতে। তবে কেনোই বা চলছিল এই বিতরণকাজ? উত্তর জানা ছিল না কারো।

উপমহাদেশের দক্ষিণে নর্মদা নদী থেকে শুরু করে উত্তরে কয়েকশো মাইল পেরিয়ে নেপালের সীমান্ত পর্যন্ত চলছিল চাপাতি বিতরণ। উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চল, কিংবা কলকাতার কাছে বা উত্তরাঞ্চল, অথবা ইন্দোর- যেকোনো স্থান থেকেই এর উৎপত্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এরমধ্যে কিছু অঞ্চল থেকে চাপাতি রাতারাতি ২০০ মাইল দূরেও বিতরণ করা হচ্ছিল।

চাপাতির এই রহস্যজনক বিতরণ ব্রিটিশ অফিসারদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভারতীয়রা যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক চিঠি আদান-প্রচান করতো তাহলে তাদেরকে থামানো যেত। কিন্তু খাবার বিতরণের জন্য কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার উপায়ও ছিল না। এমনকি, এসব খাবার বিতরণ করতেন মূলত পুলিশ চৌকিদারেরাই।

অনেক ব্রিটিশ অফিসারই এই রহস্যময় আন্দোলনকে আসন্ন বিপর্যয়ের একটি অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। ইতিহাসবিদ কিম ওয়াগনার বলেন, "ভারতীয়দের মধ্যে চলমান যেসব ঘটনা তারা বুঝতে পারতো না, সেসব নিয়ে গভীর সন্দেহ করতো ব্রিটিশরা।" এক বান্ডিল চাপাতি থানায় পৌঁছালেই তা অফিসারদেরকে আতঙ্কে ফেলে দিত।

এমনকি সেসময় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ব্রিটিশরা নিজেই এই ঘটনার পেছনে ছিল। ময়দার সাথে গরু ও শুকরের হাড়ের গুড়ো মিশিয়ে ভারতীয়দেরকে যথাক্রমে হিন্দু ও মুসলিম সমাজ থেকে তারা আলাদা করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। একবার যদি কেউ এই নিষিদ্ধ খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে তাকে তার ধর্ম থেকে বঞ্চিত করা হবে বলে মনে করতো মানুষ। ভারতীয়দেরকে খ্রিস্টান ধর্মে রুপান্তরের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়েছিল এটি।

এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজ/ ছবিসূত্র: ইন্ডিয়ান আর্মি মিউজিয়াম

ধর্মান্তরিত করার প্রচেষ্টা নিয়ে যে সে বছর কেবল একটি গুজব ছড়িয়েছে তা কিন্তু নয়। একই বছর ব্রিটিশরা 'এনফিল্ড রাইফেল' নামক নতুন একটি অস্ত্রের আমদানি শুরু করে উপমহাদেশে। এই রাইফেলের জন্য নিয়ে আসা কার্তুজগুলো ছিল কাগজের তৈরি। গানপাউডার ও বুলেট ভরা থাকতো এতে। রাইফেল চালানোর সময় সৈনিকদের হাত খালি না থাকায় কার্তুজগুলো দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ব্যবহার করতে হতো। এই কার্তুজ তৈরিতে শূকর ও গরুর চর্বি ব্যবহার করা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে সেসময়। যদিও ব্রিটিশরা নিশ্চিত করে জানিয়েছিল, উপমহাদেশে আমদানিকৃত কার্তুজে এই চর্বি ব্যবহার করা হয়নি, সিপাহীরা তা মানতে নারাজ ছিল।

এই বিদ্বেষের জের ধরেই শুরু হয় ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহ। ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত এই বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই ২৫০ বছর ধরে শাসন করা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পতনের ধারা শুরু হয়।

১৮৫৭ সালে কাউনপুর অবরোধের সময় পালিয়ে আসা ব্রিটিশ অফিসার ও তাদের পরিবারের নৌকাগুলোতে আক্রমণ চালায় ভারতীয় সিপাহীরা

তবে, সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী ধারণা করা হয়, কলেরা আক্রান্ত মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার একটি প্রয়াস হতে পারে চাপাতি আন্দোলন। কিন্তু কোনোভাবে হয়তো বিতরণের ধারা ব্যহত হয়ে চাপাতিগুলো উপমহাদেশেই উদ্দেশ্যহীনভাবে বিতরণ হতে থাকে।

এই ঘটনা নিয়ে গবেষণাকারী কিম ওয়াগনার বলেন, "বিতরণের প্রথম দিকেই চাপাতিগুলো অনর্থক হয়ে দাঁড়ালেও, উপমহাদেশে এটি একটি বিশেষ প্রভাব ফেলে। সেগুলো আদতে 'আসন্ন ঝড়ের সংকেত' ছিল না৷ বরং, ১৮৫৭ সালে চাপাতির মাধ্যমে ছড়ানো গুজব থেকে ভারতীয়দের মধ্যে বিদ্যমান অবিশ্বাস ও আতঙ্কের বিষয়টিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।"

Related Topics

টপ নিউজ

সিপাহী বিদ্রোহ / চাপাতি আন্দোলন / ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি / উপমহাদেশ / ভারতের ইতিহাস

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • আগামী বছরের শুরু থেকেই নতুন পে স্কেলে বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
    আগামী বছরের শুরু থেকেই নতুন পে স্কেলে বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। স্কেচ: টিবিএস
    কুলাঙ্গার ১০-১২ জনের মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ সীমিত রাখার পরামর্শ ফরাসউদ্দীনের
  • ছবি: রয়টার্স
    ‘ব্রেইন ড্রেইন’ এর কবলে যুক্তরাষ্ট্র; ট্রাম্পের নীতির জেরে আজ চাকরি ছাড়ছেন প্রায় ১ লাখ সরকারি কর্মী
  • নির্দেশনা (বায়ে) ও কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
    ‘আ.লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে না থাকে’ নির্দেশনা নিয়ে বিতর্ক, পুলিশ কমিশনার বললেন ‘শব্দগত ভুল’
  • লেখক স্টিফেন কিং।  ছবি: ওয়্যার ইমেজ
    'আমার ৮৭ বই নিষিদ্ধ!' যুক্তরাষ্ট্রের 'সবচেয়ে বেশি' নিষিদ্ধ বইয়ের লেখক হিসেবে যা বলছেন স্টিফেন কিং

Related News

  • ভারত যেভাবে নিজেদের এক অস্বাভাবিক টাইম জোনে আটকে আছে
  • ‘চামার’ থেকে ক্রিকেট নায়ক! 
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেভাবে তাদের প্রথম মানচিত্র তৈরি করে ভারতবর্ষে ভূমি জরিপ করে
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিত্রকলার বাজারও যেভাবে লাভজনক করে তুলেছিল
  • নিজেদের মুদ্রা চালু করতে প্রচুর কাঠখড় পোড়ায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, আওরঙ্গজেবও পারেননি ঠেকাতে

Most Read

1
আগামী বছরের শুরু থেকেই নতুন পে স্কেলে বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
অর্থনীতি

আগামী বছরের শুরু থেকেই নতুন পে স্কেলে বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা

2
মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। স্কেচ: টিবিএস
বাংলাদেশ

কুলাঙ্গার ১০-১২ জনের মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ সীমিত রাখার পরামর্শ ফরাসউদ্দীনের

3
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

‘ব্রেইন ড্রেইন’ এর কবলে যুক্তরাষ্ট্র; ট্রাম্পের নীতির জেরে আজ চাকরি ছাড়ছেন প্রায় ১ লাখ সরকারি কর্মী

4
নির্দেশনা (বায়ে) ও কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

‘আ.লীগের লোকজন যেন প্রকাশ্যে না থাকে’ নির্দেশনা নিয়ে বিতর্ক, পুলিশ কমিশনার বললেন ‘শব্দগত ভুল’

5
লেখক স্টিফেন কিং।  ছবি: ওয়্যার ইমেজ
আন্তর্জাতিক

'আমার ৮৭ বই নিষিদ্ধ!' যুক্তরাষ্ট্রের 'সবচেয়ে বেশি' নিষিদ্ধ বইয়ের লেখক হিসেবে যা বলছেন স্টিফেন কিং

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net