Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
May 17, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, MAY 17, 2025
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রান্নাকে জনপ্রিয় করে তোলা মা-মেয়ের গল্প

ফিচার

নুসমিলা লোহানী
30 May, 2024, 12:45 pm
Last modified: 12 June, 2024, 11:58 am

Related News

  • যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধকে সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে, ভয়ের কিছু নেই: দেবপ্রিয়
  • ‘১৮০ সন্তানের বাবা’ দাবি করা শুক্রাণু দাতার পিতৃত্বের অধিকার খারিজ
  • এড়িয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, হতাশ হলেও নীরব ইসরায়েল
  • পরিত্যক্ত মার্কিন গবেষণায় ভর করে পারমাণবিক শক্তিতে বড় অগ্রগতি চীনা বিজ্ঞানীদের
  • তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা নিয়ে যা জানা গেল

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রান্নাকে জনপ্রিয় করে তোলা মা-মেয়ের গল্প

যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ জেমস বিয়ার্ড ২০২৪ পুরস্কার কর্তৃপক্ষ তাদের মিড-আটলান্টিক ক্যাটাগরির সেরা শেফদের তালিকায় সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে গুলশানের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
নুসমিলা লোহানী
30 May, 2024, 12:45 pm
Last modified: 12 June, 2024, 11:58 am

গত ২৪ জানুয়ারি সকালে নূর-ই গুলশান রহমানের ঘুম ভাঙে তার মেয়ের ফোনের শব্দে।

গুলশান বলেন, 'ফোনে আমার মেয়ে কাঁদছিল। আমি ভেবে নিই নিশ্চয়ই খারাপ কিছু হয়েছে, তাই সে কাঁদছে। আমি একেবারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।'

কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন তার ছোট মেয়ে নূর-ই ফারহানা রহমান সেদিন আনন্দে কাঁদছিলেন।

মেয়ে তাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ জেমস বিয়ার্ড ২০২৪ পুরস্কার কর্তৃপক্ষ তাদের মিড-আটলান্টিক ক্যাটাগরির সেরা শেফদের তালিকায় সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে গুলশানের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।

গুলশান রহমান ও তার ছোট মেয়ে নূর-ই ফারহানা রহমান নিউ জার্সিতে 'কড়াই কিচেন' নামে একটি রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠা করেছেন। গুলশান রেস্তোরাঁটির একমাত্র শেফ।

ফারহানা বলেন, 'যা দেখছিলাম প্রথমে তা বিশ্বাস করতে পারিনি। প্রথম ম্যাসেজ পাওয়ার পর আমি ভেবেছিলাম নিশ্চয়ই ভুলে এসেছে। পরে বুঝতে পারি, কোনো ভুল হয়নি।'

এরপর একে একে তিনি প্রচুর অভিনন্দন বার্তা পেতে শুরু করেন।

কড়াই কিচেন রেস্তোরাঁটির সহ-মালিক ফারহানা সঙ্গে সঙ্গে জেমস বিয়ার্ড ওয়েবসাইটে তার মায়ের নাম আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন।

ফারহানা বলেন, 'ওয়েবসাইটেও মায়ের নাম ছিল!'

রেস্তোঁরাটি উষ্ণ, ঘরোয়া পরিবেশে বাড়িতে রান্না করা খাবার পরিবেশন করে। ছবি: আমান্ডা সুয়ারেজ

ফারহানা বলেন, সেদিন ছিল বুধবার, এরপর ফাইনাল বিজয়ীর নাম ঘোষণার দিন পর্যন্ত দিনগুলো দৌড়ের ওপর কেটেছে। তবে আমরা খুব উপভোগ করেছি।'

এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে কড়াই কিচেন ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করেছে।

ফারহানা জানান, এত অল্প সময়ের মধ্যেই দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং এইচবিও'র 'টেক আউট উইথ লিসা লিং' এর মতো বিখ্যাত গণমাধ্যমগুলোতে তাদের রেস্তোরাঁ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এরই মধ্যে রেস্তোরাঁটি নিউ জার্সিতে 'খাঁটি' বাংলাদেশি খাবারের ব্র্যান্ড হিসেবে সুখ্যাতি লাভ করেছে। এই একটি বিষয়কেই তাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি বলা যেতে পারে।

জেমস বিয়ার্ড অ্যাওয়ার্ডের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়া তাদের খ্যাতি আরও বাড়িয়েছে।

১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত (১৯৯১ সালে প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয়) জেমস বিয়ার্ড অ্যাওয়ার্ডস রন্ধন ও খাদ্য শিল্পে সুদক্ষ ও নৈপূণ্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া আমেরিকার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মানগুলোর একটি। অনেকে এটিকে রন্ধন জগতের অস্কার বলে থাকেন।

খাঁটি ব্র্যান্ড, একটি শক্তিমান জুটি এবং যে কোনোভাবে এই 'কঠিন' প্রতিযোগিতায় নিজেদের জায়গা করে নেওয়ার দৃঢ় সংকল্প- এই তিনটি বিষয় নিয়েই তারা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রি-স্টেট এলাকায় (তিনটি রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি এলাকা) বাংলাদেশি খাবারের ব্যবসা করার সাহস করেছিল।

ফারহানা বলেন, 'পুরস্কার ঘোষণার দিন আমরা একেবারে ক্লান্ত হয়ে পরেছিলাম। আমার মনে আছে আম্মা সেদিনও ডিনারে সিরিয়াল খেয়েছিল। আমার মনে হয় সব রাধুঁনিই এমন করেন। নিজের কথা সবার শেষে ভাবেন। আগে সবাইকে খাওয়ান, তারপর যা বেঁচে যায় সেটুকুই নিজে খান।'

'আমরা দুটি জিনিসের উপর জোর দিয়েছি: পণ্য ও মানুষ'

মজার বিষয় হলো রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার আগে মা-মেয়ে কারোরই রান্না সংক্রান্ত কোনো পেশাদার দক্ষতা ছিল না।

ফারহানা বলেন, 'রান্না বিষয়ে আমাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা নেই।'

মায়ের সঙ্গে নেটফ্লিক্সে শেফ'স টেবিল দেখার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, 'আম্মা সবসময় একটি রেস্তোরাঁ খুলতে চাইতেন। আমরা বলতাম একদিন নিশ্চয় তোমার স্বপ্ন পূরণ হবে! অবশেষে ৬১ বছর বয়সে (২০১৮ সালে) তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারায় আমি গর্বিত।'

গুলশান ১৯৮৬ সালে ঢাকা থেকে নিউ জার্সিতে পাড়ি জমানো।

এ ব্যাপারে ফারহানা বলেন, 'আমার বাবা-মায়ের গল্প একটি অভিবাসীর গল্প।'

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর তার বাবা জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন কাজ করেছেন। পরে এই দম্পতি সেখানে স্থায়ী হওয়ার পর তারা একটি ছোট ব্যবসা শুরু করেন। এটি ছিল একটি ছোট্ট গিফট শপ।

ফারহানার বাবা ২০২১ সালে হৃদ্‌রোগে মারা যান।

তিনি বলেন, 'সেই ১৯৮০-এর দশক থেকেই আমার মায়ের উদ্যোক্তা মানসিকতা ছিল।'

নূর-ই গুলশান ও তার মেয়ে নূর-ই ফারহানা নিউ জার্সির কড়াই কিচেনের মালিক। ছবি: জেনি হুয়াং

১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে ঘর সাজানো এবং ফ্যাশনের জন্য বিভিন্ন হস্তশিল্প তৈরি করে নিজের ব্যবসা শুরু করেন গুলশান। মূলত, এই দম্পতি নিউ জার্সিতে কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন ছোট ব্যবসা করেছেন।

ফারহানা ছাড়াও গুলশানের আরও দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের একজন ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং অন্যজন নিউ ইয়র্ক সিটিতে বসবাস করেন। ফারহানা নিউ জার্সিতে, অর্থাৎ গুলশানের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকেন।

ফারহানা বলেন, 'আমার ভাইবোনরাও খুব ভালো রাঁধুনি। ফারহানা মায়ের দিকে তাকিয়ে বলেন, আমার মনে হয় বাবাও ভালো রান্না করতেন, তাই না আম্মা?'

তিনি হাসতে হাসতে বলেন, 'আমি কিন্তু মোটেই ভালো রান্না করতে পারি না।'

তিনি বলেন, খাদ্য শিল্পে একটি সফল ব্যবসা চালানো মোটেই সহজ কোনো কাজ না।

ফারহানা স্মৃতিচারণ করেন, 'শুরুতেই আমরা স্পেশাল প্রোমো নিয়ে ওপেন করেছিলাম। সাপ্তাহিক সেই ছুটির দিনটা দারুণ জমজমাট ছিল। তারপরেই ধাঁধায় পড়ে গেলাম। মনে হলো, এ আমরা কী করলাম?'

ফারহানা নিজেকে ঝুঁকি-বিমুখ মানুষ মনে করেন।

তিনি বলেন, 'আমি সেসময় বলেছিলাম আসো আমরা কাজটা করব কি না তা নিয়ে আরও একটু ভাবি।'

মেয়ে ফারহানা জানান, তবে আম্মা ঝুঁকি নিয়েছিল।

গুলশান বলেন, 'যদিও প্রথম মাসটা খুব কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারপরও আমি কাজটা উপভোগ করছিলাম। আমি গান শুনতে শুনতে রান্না করতাম।'

ছবি: সংগৃহীত

ফারহানার ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। প্রথম কয়েক সপ্তাহ সে তার মাকে কিছুটা সাহায্য করেছেন। এরপর তার মা রেস্তোরাঁর জন্য একজন জেনারেল ম্যানেজার রাখেন।

তবে তারপর থেকে ক্রমে তার মন থেকে অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যায়। মানুষের মুখে মুখে কড়াই কিচেনের খাবারের কথা ছড়িয়ে পড়ে। এর ঘরোয়া স্টাইলে রান্না করা বাংলাদেশি খাবার ধীরে ধীরে নিউ জার্সির মানুষের মন জয় করে।

ফারহানা বলেন, 'আমাদের এমন কিছু অতিথি আছেন, যারা জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টের বদলে নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে প্লেনে ওঠেন, শুধু যাতে তারা কড়াই কিচেনের খাবার নিতে পারেন। আবার এমন অতিথিও আছেন, যারা ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গাড়ি চালিয়ে আমাদের রেস্তোরাঁয় আসেন।

তিনি বলেন, এরা কিন্তু অতিথি, কাস্টমার না। আমরা আমাদের অতিথিদের 'কখনোই রেস্তোরাঁ নিয়ে কোনো রিভিউ দিতে বলিনা। তাই আপনারা অনলাইনে যে রিভিউ দেখেন, সেগুলো সত্যিকারের প্রতিক্রিয়া।'

ফারহানা স্মরণ করেন, মহামারির আগে কড়াই কিচেন একটি ফুল-টাইম ডাইন-ইন রেস্তোরাঁ ছিল। তাদের টেকআউট (রান্না করা খাবার বিক্রি করা, কাস্টমাররা এসব খাবার কিনে নিয়ে যান) এবং কেটারিং পরিষেবা ছিল।

মহামারির কারণে সারা আমেরিকার মতো কড়াই কিচেনও তাদের ব্যবসার ধরন পরিবর্তন করেছে। তবে, সরকার সামাজিক বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরে ফারহানা ও তার মা প্রথম প্রথম এটিকে শুধু টেকআউট রেস্তোরাঁ হিসেবে চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কড়াই কিচেন ফের ডাইন-ইন পরিষেবা চালুর ঘোষণা দেয়।

ফারহানা বলেন, আমরা খুব খুশি। আমরা আগের সেটআপ থেকে শুধু সামান্য কয়েকটি পরিবর্তন এনেছি। এখন শুধু সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এই পরিষেবা দেবো এবং আমরা এটিকে 'আম্মার দাওয়াত' হিসেবে নাম দিয়েছি।'

গুলশান বলেন, 'অনেকেই (প্রতিবেশী) আমাকে আম্মা বলেই ডাকে।'

এই নামটি রেস্তোরাঁর ব্র্যান্ডের সঙ্গে দারুণ মানিয়েছে: ঘরোয়া স্টাইলে রান্না করা খাবার, ঘরোয়া পরিবেশ, সহ-মালিক ও শেফ অতিথিদের সঙ্গে বন্ধুর মতো সহজভাবে কথা বলা, বাংলা গান বাজানো এবং বাংলা পপ সংস্কৃতির পোস্টার ও ছবি দিয়ে রেস্তোরাঁটি সাজানো।

জার্নাল স্কয়ারের কাছাকাছি সামিট এভিনিউয়ে অবস্থিত কড়াই কিচেনে গেলে সবাই 'খাঁটি' বাংলাদেশি রেস্তোরাঁর আমেজ পাবে।

ছবি: আমান্ডা সুয়ারেজের সৌজন্যে

পরিচয় ও স্বীকৃতি

ফারহানা বলেন, এটা সত্যি যে ১৯৭০ বা ১৯৮০-এর দশকে ট্রি-স্টেট এলাকায় 'ইন্ডিয়ান' রেস্তোরাঁগুলো চালু না হলে, আজকের কড়াই কিচেন জনপ্রিয় হতো না।

তিনি জানান, নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির বেশ কিছু ভারতীয় রেস্তোরাঁর মালিক ছিল বাংলাদেশিরা। সেই সময়ে আমেরিকা বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব একটা জানত না। তাই এসব রেস্তোরাঁর মালিকেরা তাদের খাবার বাজারজাত করার জন্য কিছু কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন।

এই 'ইন্ডিয়ান' রেস্তোরাঁগুলো মূলত বেশি তেল-মশলা দিয়ে রান্না করা তরকারি, নান, চিকেন টিক্কা প্রভৃতি খাবার বিক্রি করে।

ফারহানা হাসতে হাসতে বলেন, 'এক সময় আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ নোচিকেনটিক্কা লেখা শুরু করেছিলাম।'

অন্যদিকে, কড়াই কিচেনের খাবার আলাদা। চিংড়ি দোপিঁয়াজা, রোস্ট, নারকেল দিয়ে গরুর মাংস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভর্তা, শুঁটকিসহ আরও অনেক কিছু আছে এখানকার মেনুতে। এখানকার খাবারগুলো এমন যে একবার খাওয়ার পর অতিথিদের বার বার খেতে আসতে ইচ্ছা হবে।

গুলশান বলেন, 'আশ্চর্যের কিছু নেই যে এখনও কিছু মানুষ আমাদের রেস্তোরাঁয় এসে বাংলাদেশ কোথায়, আমাদের দেশে কতজন মানুষ বাস করেন ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করেন। তবে আমি বলব এ ধরনের মানুষের সংখ্যা কমে গেছে।'

গুলশান এবং ফারহানা জানান, তারা উবার ইটসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অ্যাপে বাংলাদেশি শিরোনামে একটি ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। কোম্পানিটি তাদের সহযোগিতা করতে রাজী হন এবং ক্যাটাগরি যুক্ত করে।

ফারহানা বলেন, 'ইয়েল্পের ক্ষেত্রেও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার পরবর্তী লক্ষ্য রেসি [একটি রিজারভেশন অ্যাপ]- তে বাংলাদেশি ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করা।'

তবে এখনও খাবার নিয়ে লেখালেখি করা বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেট মাঝে মাঝে কড়াই কিচেনকে ভারতীয় খাবার দোকান বলে হ্যাশট্যাগ বা এসইও দেয়।

ফারহানা বলেন, 'আমি ফের এসব আউটলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এগুলো সংশোধন করাই।'

৩ এপ্রিল জেমস বিয়ার্ড পুরস্কার ২০২৪-এর চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়, তবে সে তালিকা থেকে বাদ পড়েছে গুলশানের নাম।  আগামী জুন মাসে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার কথা রয়েছে।

গুলশান বলেন, 'জেমস বিয়ার্ড পুরস্কার ২০২৪-এর সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে আমাকে মনোনীত করায় এর কর্তৃপক্ষ এবং আমাকে যারা সমর্থন করেছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।'

তিনি বিশ্বাস করেন প্রত্যেকের মধ্যেই একজন ভালো রাঁধুনি আছে। তবে তার এ প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ আছে, সবার হয়ত তা নেই। তবে চাইলে অন্যরাও এটি করতে পারে।

এই রাঁধুনি জানান, ১৯৭০ এর দশকের শুরুতে তার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে কখনো তিনি রান্না করেননি।

তিনি বলেন, 'আমার মা আমাকে রান্নাঘরে ঢুকতে দিত না [গুলশানকে চিরাচরিত নারীদের ভূমিকা থেকে বের করে আনার চেষ্টা হিসেবে]। কিন্তু আমার বাবা মোখলেসুর রহমান ভান্ডারী সবসময় বলতেন, সব কাজ শিখে রাখো, কখন কোন কাজটা (দক্ষতা) কাজে লাগবে বলা যায়না।'

গুলশান স্মৃতিচারণ করেন, 'বিয়ের পর আমার শ্বশুরকে আমি পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া ডিমের তরকারি খেতে দিয়েছিলাম। সেই তরকারি খেতে একেবারে অখাদ্য হয়েছিল (কিন্তু তিনি আমার মন রাখতে তা খেয়েছিলেন) । তাই আমি সবসময় বলি, চাইলেই যে কেউ ভালো রাঁধুনি হতে পারে।'

 


ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি

Related Topics

টপ নিউজ

যুক্তরাষ্ট্র / জেমস বিয়ার্ড ২০২৪ পুরস্কার / সেমিফাইনাল

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনযাত্রা, কিন্তু শেষ করতে পারেনি কেউই 
  • ট্রাম্প বললেন কেউ পালায়নি, অথচ আলকাট্রাজ থেকে পালানো তিন বন্দির রহস্য এখনও অজানা!
  • ভারতে পারমাণবিক উপাদান ‘চুরির ঘটনায়’ আইএইএ-র তদন্ত চায় পাকিস্তান
  • উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ে গেল বিমানের চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ
  • রেমিট্যান্স ফি-বিনিময় হারের অস্থিরতায় যেভাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা ১.৩ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন
  • রুশ হামলা ঠেকাতে গিয়ে আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারাল ইউক্রেন

Related News

  • যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধকে সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে, ভয়ের কিছু নেই: দেবপ্রিয়
  • ‘১৮০ সন্তানের বাবা’ দাবি করা শুক্রাণু দাতার পিতৃত্বের অধিকার খারিজ
  • এড়িয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, হতাশ হলেও নীরব ইসরায়েল
  • পরিত্যক্ত মার্কিন গবেষণায় ভর করে পারমাণবিক শক্তিতে বড় অগ্রগতি চীনা বিজ্ঞানীদের
  • তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা নিয়ে যা জানা গেল

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনযাত্রা, কিন্তু শেষ করতে পারেনি কেউই 

2
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প বললেন কেউ পালায়নি, অথচ আলকাট্রাজ থেকে পালানো তিন বন্দির রহস্য এখনও অজানা!

3
আন্তর্জাতিক

ভারতে পারমাণবিক উপাদান ‘চুরির ঘটনায়’ আইএইএ-র তদন্ত চায় পাকিস্তান

4
বাংলাদেশ

উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ে গেল বিমানের চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ

5
অর্থনীতি

রেমিট্যান্স ফি-বিনিময় হারের অস্থিরতায় যেভাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা ১.৩ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন

6
আন্তর্জাতিক

রুশ হামলা ঠেকাতে গিয়ে আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারাল ইউক্রেন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net