Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
June 23, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, JUNE 23, 2025
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের এক ভুতুড়ে শহরের গল্প

ফিচার

সৌতিক বিশ্বাস, বিবিসি
27 March, 2023, 01:40 pm
Last modified: 27 March, 2023, 01:41 pm

Related News

  • গঙ্গা চুক্তি পুনঃআলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে ভারত
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৪ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলো বিএসএফ
  • ভারত জানিয়ে দিল, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তিতে আর কখনোই ফিরবে না
  • আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
  • ভারতে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বাংলাদেশি তরুণের মরদেহ উদ্ধার

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের এক ভুতুড়ে শহরের গল্প

অসুস্থ প্রবীণ, বৃদ্ধাশ্রম, শ্রমিক সংকট, তরুণদের অভিবাসন, ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা—সব মিলিয়ে কুম্বানাদ এক ভুতুড়ে শহর। ‘এটাই যেকোনো জনমিতিগত পরিবর্তনের গল্প। শেষপর্যন্ত গোটা ভারতের গল্পই এরকম হবে।’
সৌতিক বিশ্বাস, বিবিসি
27 March, 2023, 01:40 pm
Last modified: 27 March, 2023, 01:41 pm
কয়েক দশক ধরে আন্নাম্মা জ্যাকব দোতলা বাড়িতে একাকী থাকছেন | ছবি: অরুণ চন্দ্র বোস

কেরালার এক নিরিবিলি শহরের স্কুলগুলো বহু বছর ধরে অস্বাভাবিক এক সমস্যায় ভুগছে: সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারেই কম। শিক্ষকদেরকে ছাত্রছাত্রী খুঁজে আনতে হয়। নিজ পকেট থেকে টাকাও খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনার জন্য।

কুম্বানাদে ১৫০ বছর বয়সি এক সরকারি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে—এখানে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়—শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৫০ জন। অথচ ১৯৮০-র দশকের শেষভাগ পর্যন্তও এ স্কুলে প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী ছিল। বর্তমান শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের। তারা থাকে শহরের প্রান্তে। সর্বোচ্চ শ্রেণি গ্রেড সেভেন-এ শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৭ জন। ২০১৬ সালে ওই ক্লাসে শিক্ষার্থী ছিল মাত্র একজন।

স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পাওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার্থীদের অটোরিকশায় করে বাড়ি থেকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতে ওই স্কুলের আটজন শিক্ষকের প্রত্যেকে মাসে ২ হাজার ৮০০ রুপি করে খরচ করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়েও শিক্ষার্থী খোঁজেন তারা। এমনকি ওই এলাকার কয়েকটি বেসরকারি স্কুলও ছাত্র খোঁজার জন্য বাড়ি বাড়ি পাঠাচ্ছে শিক্ষকদের। সবচেয়ে বড় স্কুলটির শিক্ষার্থীসংখ্যা মাত্র ৭০ জন।

এক বিকেলে ওই উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল অল্প কয়েকজন বাচ্চাকে পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা। স্কুলে সাধারণত বাচ্চাদের যেরকম হই-হুল্লোড় থাকে, সেখানে তার কিছুই নেই। গোটা স্কুল প্রাঙ্গণ খাঁ খাঁ করছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে কেবল।

স্কুলটির অধ্যক্ষ জয়াদেবী আর বিবিসিকে বলেন, 'আমরা কী করব বলুন? এই শহরে কোনো বাচ্চা ছেলেমেয়ে নেই। মানে খুব কম মানুষই থাকে এখানে।'

ঠিকই বলেছেন তিনি। কুম্বানাদ শহরটি কেরালার পাথানামথিট্টা জেলার কেন্দ্রে। এ শহরে জনসংখ্যা ক্রমেই কমছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বার্ধক্য। ঘটনাটি ঘটছে এমন এক দেশে, যে দেশের ৪৭ শতাংশ জনসংখ্যার বয়স ২৫ বছরের নিচে; এবং দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার জন্ম ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে।

কুম্বানাদের রাষ্ট্রচালিত একটি স্কুলের শিক্ষার্থী মাত্র ৫০ জন | ছবি: অরুণ চন্দ্র বোস

কুম্বানাদ ও এর আশপাশের আধডজন শ্যামল গ্রামগুলোতে প্রায় ২৫ হাজার লোকের বাস। স্থানীয় গ্রাম পরিষদের প্রধান আশা সিজে জানান, এখানকার ১১ হাজার ১১৮টি বাড়ির মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশই তালাবদ্ধ, কারণ এসব বাড়ির মালিকরা সসন্তান বিদেশে চলে গেছে অথবা বিদেশে বসবাস করছে। এখানে স্কুল আছে ২০টি, কিন্তু শিক্ষার্থী খুব কম।

রাষ্ট্রপরিচালিত একটি ক্লিনিক হাসপাতাল, ৩০টিরও বেশি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং তিনটি বৃদ্ধাশ্রম দাঁড়িয়ে আছে কুম্বানাদের বয়স্ক জনসংখ্যার নির্দেশক হয়ে। আধকিলোমিটারেরও কম দূরত্বের মধ্যে আটটি শাখাসহ দুই ডজনেরও বেশি ব্যাংক রয়েছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে বসবাসকারী ও কর্মরত শহরের বাসিন্দাদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স আহরণের জন্য এই ব্যাংকগুলো প্রতিযোগিতা করে। গত বছর প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে ভারত যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, তার প্রায় ১০ শতাংশ এসেছে কেরালায়।

মানুষে গিজগিজ করতে থাকা ভারতে কেরালা ও প্রতিবেশী তামিলনাড়ু একটু যেন বিচ্ছিন্ন। সর্বশেষ জনশুমারিতে দেখা গেছে, ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত জনসংখ্যার দশকভিত্তিক বৃদ্ধি এ দুটি রাজ্যে সবচেয়ে কম। কেরালায় প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৫ বছর, যেখানে জাতীয় গড় ৬৯। 

অন্তত ৩০ বছর ধরে এ রাজ্যে উর্বরতার হারও অনেক কমে গেছে। নারীপ্রতি প্রজনন হার ১.৭ থেকে ১.৯। এ হার এখন আর বাড়ানো সম্ভব নয়। ছোট পরিবারগুলো শিশুদের জন্য ভালো শিক্ষা নিশ্চিত করে। ফলে তরুণরা কর্মসংস্থানের সন্ধানে বাবা-মাকে বাড়িতে রেখে দেশের ভেতরে এবং বাইরে দ্রুত অভিবাসন করে।

মুম্বাইভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেস-এর কেএস জেমস বলেন, 'শিক্ষা শিশুদের মধ্যে আরও ভালো চাকরি ও জীবনের আকাঙ্ক্ষা জায়গা। ফলে তারা অভিবাসী হয়। 

'এরপর তাদের জন্মভূমিতে থাকে শুধু তাদের বৃদ্ধ বাবা-মা। তাদের অনেকেই একা থাকেন।'

আন্নাম্মা জ্যাকবের বয়স ৭৪। এই বয়সেও কুম্বানাদে টাইল করা দোতলা বাড়িতে বহু বছর ধরে একাকী থাকছেন তিনি।

তার স্বামী একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে মারা যান তিনি। আন্নাম্মার ৫০ বছর বয়সি ছেলে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আবুধাবিতে বসবাস করছেন। সেখানেই চাকরি করছেন তিনি। আন্নাম্মার এক মেয়ের বাড়ি কয়েক মাইল দূরেই, কিন্তু তার স্বামীও তিন দশক ধরে দুবাইয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

বিদেশে থাকার কারণে ১৫ শতাংশ বাড়িই তালাবদ্ধ | ছবি: অরুণ চন্দ্র বোস

আন্নাম্মার পাশের বাড়িগুলোর মালিকরাও দেশে থাকেন না। একজন বাড়িতে তালা মেরে বাবা-মাকে নিয়ে বাহরাইনে চলে গেছেন। সেখানে তিনি নার্স হিসেবে কাজ করেন। আরেক প্রতিবেশী চলে গেছেন দুবাইয়ে। তার বাড়ি এক বয়স্ক দম্পতিকে ভাড়া দিয়ে গেছেন।

গোটা এলাকায় জনশূন্যতার ছাপ সুস্পষ্ট। ট্যাপিওকা, কলা ও সেগুন গাছের লীলাভূমির মধ্যে সুপরিসর মনোরম বাড়িগুলো খালি পড়ে আছে। ড্রাইভওয়েতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে শুকনো পাতা। গাড়িগুলো ধুলোমাখা। সিসিটিভি ক্যামেরার জায়গা নিয়েছে পাহারাদার কুকুর।

ভারতের বিশৃঙ্খল ও গিজগিজে শহরগুলোর কোলাহলের বিপরীতে কুম্বানাদের কিছু এলাকা সত্যই নির্জন। মনে হয় সময়ের সাথে সাথে এলাকাগুলো হিমায়িত হয়ে গেছে যেন। কুম্বানাদ এমন এক শহর যেখানকার বাসিন্দারা চলে গেছে কিন্তু নগরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়নি। নির্জন ঘরগুলো নিয়মিত রং করা হয়, মানুষ থাকলে যেমনটি করা হয়। শুধু মানুষগুলোই কালেভদ্রে এখানে পা রাখে।

আন্নাম্মা জ্যাকব বলেন, 'খুব নিঃসঙ্গ জীবন। আমার স্বাস্থ্যও ভালো যাচ্ছে না।'

হৃদরোগ ও আর্থ্রাইটিস নিয়েও ছেলে ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বিদেশ গিয়েছেন আন্নাম্মা। সন্তানদের সঙ্গে জর্ডান, আবুধাবি, দুবাই ও ইসরায়েলে ছুটি কাটিয়েছেন।

তাকে জিজ্ঞেস করলাম একা একা থাকার জন্য ১২ কক্ষের আলিশান বাড়ি তৈরি করেছেন কেন। তিনি হেসে জবাব দিলেন, 'এখানে সবাই বড় বড় বাড়ি বানায়। এটা মর্যাদার ব্যাপার।'

৭৪ বছর বয়সেও ভঙ্গুর স্বাস্থ্য নিয়ে কৃষিকাজ করতে হচ্ছে চাকো মামেনকে | ছবি: অরুণ চন্দ্র বোস

আন্নাম্মার সময়ের বড় একটা অংশ কাটে বাড়ির পেছনের উঠোনে। সেখানে ট্যাপিওকা, কলা, আদা, ইয়াম ও কাঁঠাল ফলিয়েছেন তিনি। তার বাকি সময়টা কাটে ধ্যান করে ও পত্রপত্রিকা পড়ে। ডায়ানা নামে একটি কুকুর আছে তার।

'মাঝে মাঝে আমি ডায়ানার সাথে কথা বলি। ও আমার কথা বুঝতে পারে।'

৭৪ বছর বয়সে ভঙ্গুর স্বাস্থ্য নিয়ে জমিতে কাজ করতে কষ্ট হয়। আন্নাম্মা জানালেন, তিনি জমিতে কাজ করতে পারেন না। শ্রমিক সংকটের মানে হলো, তাদেরকে বেশি মজুরি দিতে হয়। একজন দিনমজুর জমিতে কাজ করতে ছয় ঘণ্টার জন্য ১ হাজার রুপি নেন। এমনকি আশা সিজের গ্রাম পরিষদও তাদের রেকর্ড ডিজিটাইজ করার জন্য মানুষ খুঁজে পায় না, পেলেও তাদের মজুরি দেওয়ার সাধ্য থাকে না।

কয়েক গলি পরেই থাকেন চাকো মামেন। তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এই স্বাস্থ্য নিয়েও নিজের ছোট্ট কলা বাগানে তাকে রোজ চার ঘণ্টা কাজ করতে হয়। ৬৪ বছর বয়সি চাকো দেশে ফেরার আগে তিন দশক ওমানে বিক্রয়কর্মীর চাকরি করেছেন। দেশে ফিরে একটি ছোট ব্যবসা দিলেও কর্মী না পাওয়ায় ছয় বছর পর তিনি ব্যবসা গুটিয়ে নেন। অনেক পরিশ্রমের পর চাকো কলা বাগান করতে পেরেছেন। এখন এখান থেকে তিনি দৈনিক প্রায় ১০ কেজি কলা বিক্রি করেন। 'একজন শ্রমিক রাখার সামর্থ্যও আমার নেই,' জানালেন চাকো।

বার্ধক্য বাড়ছে এমন সমাজে শ্রমশক্তি জোগাড় করা বরাবরই কঠিন। এমনকি অন্য রাজ্য থেকে শ্রমিকদের অভিবাসনও সবসময় কাজে আসে না। এর কারণ, অনেকেই বহিরাগতদের বিশ্বাস করেন না। আন্নাম্মা জ্যাকব বলেন, তিনি বাইরে থেকে আনা শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে পছন্দ করেন না।

'আমি একা থাকি। ওরা যদি আমাকে মেরে ফেলে?' প্রশ্ন রাখেন তিনি।

পুলিশ একাকী বসবাসকারী বাসিন্দাদের খোঁজখবর নেয় নিয়মিত | ছবি: অরুণ চন্দ্র বোস

বয়স্ক মানুষ ও বন্ধ ঘরের এই নিরিবিলি সুন্দর শহরে অপরাধের হার অবশ্য খুব কম।

পুলিশ জানায়, এখানে চুরির ঘটনা বিরল, কারণ লোকে বাড়িতে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র বেশি রাখে না। কুম্বানাদে শেষ কবে খুন হয়েছিল, তা তাদের মনে নেই।

স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের প্রধান পরিদর্শক সাজিশ কুমার ভি বলেন, 'জায়গাটা খুব শান্তিপূর্ণ। আমাদের কাছে শুধু প্রতারণার অভিযোগ আসে। আত্মীয় বা গৃহকর্মীরা বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছে, এমন প্রতারণা।'

এক বছর আগে একজন প্রবীণ বাসিন্দার এক আত্মীয় তার স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ১ কোটি রুপি আত্মসাৎ করেছিলেন। গত বছর শহরে দোকান খুলে আমানতের ওপর বিপুল রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চার প্রমোটারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। প্রতিষ্ঠানটি পঞ্জি স্কিমের মতো খেলাপি হতে শুরু করলে প্রায় ৫০০ স্থানীয় আমানতকারী পুলিশের কাছে যান।

'ওটাই ছিল এই এলাকার বড় অপরাধ,' সাজিশ কুমার বলেন। 'তা নাহলে আমরা মূলত বাসিন্দাদের নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়াঝাঁটিই সামলাই—এই যেমন চেঁচামেচি অথবা বাড়ির বাইরে ময়লা ফেলা, কারও বাড়ির গাছের ডাল প্রতিবেশীর জমির ওপরে চলে যাওয়া এই ধরনের ঝামেলার সমাধান আরকি।'

অপরাধ কম হওয়ায় পুলিশের বেশিরভাগ সময় কাটে প্রবীণদের খোঁজখবর নিয়ে। পুলিশ নিয়মিত ১৬০ জন একাকী ও অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যায়। তাদের কয়েকজনের বাড়িতে মোবাইল অ্যালার্মও লাগিয়ে দিয়েছে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রতিবেশীদের সতর্ক করতে পারেন। ২০২০ সালে একটি বাড়ির ডোরবেল বাজালেও কেউ জবাব দেয়নি। তখন পুলিশ ওই বাড়ির দরজা ভেঙে দখে একজন বয়স্ক নারী মেঝেতে পড়ে আছেন।

'আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে তিনি সেরে ওঠেন। বাসিন্দাদের বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যাওয়াও আমাদের অন্যতম কাজ। আমরা বয়স্কদের খোঁজ নিই, তাদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই,' জানালেন সাজিশ কুমার।

কুম্বানাদে একটি জেরিয়াট্রিক সেন্টার (বয়স্কদের স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কেন্দ্র) চালান যাজক ফাদার টমাস জন। তিনি বলেন, 'এখানকার একমাত্র সমস্যা হলো বৃদ্ধ বয়স।'

এ শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিঃসঙ্গ বার্ধক্য | ছবি: অরুণ চন্দ্র বোস

শহরটিতে খোলা জায়গা, প্রশস্ত দরজা ও হলওয়ে-সংবলিত বেশ কিছু বৃদ্ধাশ্রম আছে। পাঁচতলাবিশিষ্ট আলেকজান্ডার মার্থোমা মেমোরিয়াল জেরিয়াট্রিক সেন্টারে ১৫০ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রটি ৮৫ থেকে ১০১ বছর বয়সি ১০০ জনেরও বেশি স্থানীয় ব্যক্তির দেখাশোনা করে। তাদের প্রায় সবাই শয্যাশায়ী। পরিবার তাদের দেখাশোনার জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার রুপি দেয়। কখনও কখনও শিশুরা আসে, তারা থাকে ১৫ বছর বয়সি কেন্দ্রে।

ফাদার জন বলেন, 'বেশিরভাগ সন্তানই বিদেশে থাকেন। বৃদ্ধ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।'
কাছেই ৭৫ বছরের পুরনো ধর্মগিরি বৃদ্ধাশ্রম। সেখানে ৬০ বছরের বেশি বয়সি ৬০ জন স্থানীয় বাসিন্দা থাকেন। গত বছর ৩১ জন বাসিন্দা নতুন ভর্তি হয়েছেন এখানে। পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা ভবন রয়েছে। অপেক্ষমাণদের তালিকা ক্রমেই বাড়ছে। সেজন্য ৩০ কক্ষবিশিষ্ট একটি নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। সেখানে ৬০ জন প্রবীণ থাকতে পারবেন।

ধর্মগিরি বৃদ্ধাশ্রম চালান ফাদার কেএস ম্যাথিউ। তিনি বলেন, 'আমাদের এখানে যে নারীরা থাকেন, তাদের বেশিরভাগই প্রতারণার শিকার। এদের কয়েকজনকে তাদের পরিবার পরিত্যাগ করেছে।'

অসুস্থ প্রবীণ, বৃদ্ধাশ্রম, শ্রমিক সংকট, তরুণদের অভিবাসন, ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা—সব মিলিয়ে কুম্বানাদ এক ভুতুড়ে শহর।

কেএস জেমস বলেন, 'এটাই যেকোনো জনমিতিগত পরিবর্তনের গল্প। শেষপর্যন্ত গোটা ভারতের গল্পই এরকম হবে।'

Related Topics

টপ নিউজ

কেরালা / ভারত / জনসংখ্যা / ভুতুড়ে শহর / জনসংখ্যা হ্রাস

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ইরানের ৩ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, ফোরদো ‘ধ্বংস’
  • ইরানে মার্কিন হামলায় যেভাবে বি-২ বোমারু বিমান অংশ নিল
  • মার্কিন হামলায় ‘একরকম নিশ্চিত’ হয়ে গেল এক দশকের মধ্যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হবে: বিশ্লেষক
  • যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাংকার-বাস্টার’-এ 'ধ্বংস' ইরানের ফোরদো, কতটা ভয়ানক এই বোমা?
  • ফোরদো আগেই খালি করে ফেলা হয়েছে, আশপাশের বাসিন্দাদের কোনো ‘বিপদ নেই’: ইরান
  • সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম জানিয়েছেন খামেনি: নিউইয়র্ক টাইমস

Related News

  • গঙ্গা চুক্তি পুনঃআলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে ভারত
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৪ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলো বিএসএফ
  • ভারত জানিয়ে দিল, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তিতে আর কখনোই ফিরবে না
  • আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
  • ভারতে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বাংলাদেশি তরুণের মরদেহ উদ্ধার

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

ইরানের ৩ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, ফোরদো ‘ধ্বংস’

2
আন্তর্জাতিক

ইরানে মার্কিন হামলায় যেভাবে বি-২ বোমারু বিমান অংশ নিল

3
আন্তর্জাতিক

মার্কিন হামলায় ‘একরকম নিশ্চিত’ হয়ে গেল এক দশকের মধ্যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হবে: বিশ্লেষক

4
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাংকার-বাস্টার’-এ 'ধ্বংস' ইরানের ফোরদো, কতটা ভয়ানক এই বোমা?

5
আন্তর্জাতিক

ফোরদো আগেই খালি করে ফেলা হয়েছে, আশপাশের বাসিন্দাদের কোনো ‘বিপদ নেই’: ইরান

6
আন্তর্জাতিক

সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম জানিয়েছেন খামেনি: নিউইয়র্ক টাইমস

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net