Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
August 11, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, AUGUST 11, 2025
পেনশনের টাকায় পাখিদের খাওয়ান ৮৭ বছরের বৃদ্ধ

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
18 March, 2023, 08:45 pm
Last modified: 18 March, 2023, 09:23 pm

Related News

  • আকারে গলফ বলের সমান, দুর্গম দ্বীপে বসবাস বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ডানাহীন পাখির
  • যে বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না, কিচিরমিচিরে কান পাতা দায়
  • যেসব প্রাণী একে অন্যকে উপহার দেয়
  • সবচেয়ে প্রাচীন বুনোপাখি হিসেবে পরিচিতি তার, ৭৪ বছরে এসে ডিম দিল
  • ব্যালকনিতে ফুলের টবে ঘুঘুর বাসা, ডিম ফুটে বাচ্চা ওঠার অপেক্ষায়

পেনশনের টাকায় পাখিদের খাওয়ান ৮৭ বছরের বৃদ্ধ

“আমার উঠানে দুটো কচ্ছপ ছিল, আমি তাদেরকে খাওয়াতাম। আমার জানালার নিচে আসতো ওরা। এখন ওরা আর নেই। আমি জানি না ওরা কোথায়,” জানালেন ৮৭ বছর বয়সী ইভান কাপান। কচ্ছপগুলো চলে যাওয়ার পর এই পেনশনভোগী এখন এলাকার পাখি আর দুটো বিড়ালকে খাবার খাওয়াচ্ছেন। তিনি একটুকরো পাউরুটি ছিঁড়ে সেটিকে হাত দিয়ে গুড়ো করে বেজমেন্টে থাকা নিজের অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে ছুঁড়ে দিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই একগাদা পাখি হাজির হলো। তারা পাউরুটির গুঁড়ো খেয়ে উড়ে চলে গেল। পাখিগুলোকে খেতে দেখে হাসি ফুটে উঠলো ইভানের মুখে। 
টিবিএস ডেস্ক
18 March, 2023, 08:45 pm
Last modified: 18 March, 2023, 09:23 pm
ছবি: আল জাজিরা

"আমার উঠানে দুটো কচ্ছপ ছিল, আমি তাদেরকে খাওয়াতাম। আমার জানালার নিচে আসত ওরা। এখন ওরা আর নেই। জানি না ওরা কোথায়," বললেন ৮৭ বছর বয়সী ইভান কাপান। 

কচ্ছপগুলো চলে যাওয়ার পর এই পেনশনভোগী এখন এলাকার পাখি আর দুটো বিড়ালকে খাবার খাওয়াচ্ছেন। 

তিনি একটুকরো পাউরুটি ছিঁড়ে সেটি হাত দিয়ে গুঁড়ো করে বেজমেন্টে থাকা নিজের অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে ছুড়ে দিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই একঝাঁক পাখি হাজির হলো। পাউরুটির গুঁড়ো খেয়ে ওরা উড়ে চলে গেল। পাখিগুলোকে খেতে দেখে হাসি ফুটেল ইভানের মুখে। 

"একটু আমার জন্য, একটু ওদের জন্য," বললেন তিনি। 

১৯৬০ সাল। রাজধানী জাগরেবে ইভান এসেছিলেন ৫০ কিলোমিটার ছোট শহর তুঞ্জ থেকে। "জাগরেব শহরের বাজারে প্রহরী হিসেবে কাজ পেয়েছিলাম আমি। সেখানেই কাজ করেছি ৩৮ বছর। আমার স্ত্রীও ওখানে কাজ করতো।"

তার অ্যাপার্টমেন্টের আসবাবগুলো বেশ পুরনো, প্রায় সবগুলোই ১৯৭০ সালের আগে কেনা। অন্যান্য জিনিসগুলোও বেশ পুরনো। যার মধ্যে রয়েছে রান্নাঘরের স্টোভ, যদিও খুব বেশি গ্যাস পোড়ায় না সেটা। ইভানের কখনো গাড়ি ছিল না, অবশ্য তার প্রয়োজনও হয়নি। কারণ কর্মস্থলের কাছেই থাকতেন তিনি। আর তার স্ত্রী, যিনি ৩০ বছর আগে মারা গিয়েছেন, তিনিও ঘোরাফেরা পছন্দ করতেন না। কেবল প্রতি গ্রীষ্মে মালি লোসিঞ্জ দ্বীপে তার ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন।

ঝুঁকিতে থাকা পেনশনভোগী

ইভান যখন পেনশন পাওয়া শুরু করেন, তখন তা ছিল ৪৪৮ ইউরো। এখন সেটি বেড়ে হয়েছে ৫৩২ ইউরো। ২৫ বছরে পেনশন বেড়েছে মাত্র ৮৪ ইউরো। কিন্তু খরচ? সেটি বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে তাকে সেটা নিয়ে খুব চিন্তিত মনে হয় না। 

"এটা ভালো যে তারা পেনশন আরও কমিয়ে দেয়নি।"

ক্রোয়েশিয়ার ৩.৯ মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই (১.২ মিলিয়ন) পেনশনভোগী। এই বয়স্ক বাসিন্দাদের ৩২ শতাংশই রয়েছেন দারিদ্র্যঝুঁকিতে। তবে ইভানের মতো একাকী থাকা পেনশনভোগীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন, আর এই সিঙ্গেল পেনশনভোগীদের সংখ্যা মোট পেনশনভোগীর ৫৫ শতাংশ। 

ছবি: আল জাজিরা

করোনা মহামারী আর ইউক্রেন যুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতি মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে। দেখা গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। মুদ্রাস্ফীতির সাথে যোগ হয়েছে এই বছরে ক্রোয়েশিয়ার মুদ্রা পরিবর্তন। কুনা থেকে ইউরোতে পরিবর্তন করায় সেটির প্রভাবও পড়েছে অর্থনীতিতে। 

তারপর থেকে জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, রিটেইলাররা মুদ্রা পরিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। নতুন মুদ্রা প্রবর্তনের পর খাবার এবং পানীয়ের দাম বেড়েছে ১৯.২ শতাংশ, রেস্তোরাঁ এবং হোটেল সার্ভিসের খরচ বেড়েছে ১৭ শতাংশ, আবাসন, পানি, ইলেক্ট্রিসিটি, গ্যাস এবং অন্যান্য জ্বালানির খরচ বেড়েছে ১৬.৫ শতাংশ, পরিবহন খরচ বেড়েছে ১৩.৩ শতাংশ। 

ক্রোয়েশীয় সরকার পেনশনভোগীদের জন্য অন্যান্য বিলের খরচ ভর্তুকি দিলেও ৫০ শতাংশেরও বেশি পেনশনভোগী দারিদ্র্যসীমায় চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। 

যদিও ইভান গড় পেনশনের চেয়ে সামান্য বেশি পান, তারপরেও তাকে ভেবেচিন্তে খরচ করতে হচ্ছে। তিনি জানান, "আমি পান করি না, ধূমপানও করি না। আমি অপ্রয়োজনীয় কোনো খরচ করি না।"

দৈনিক রুটিন 

ইভান বরাবরই সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করেছেন। মেনেও চলেন কঠোর নিয়ম। সপ্তাহে দুইদিন তিনি একই দোকান থেকে বাজার করেন, মঙ্গলবার ও শুক্রবার। এক ব্যাংক হিসাব থেকে নিয়মিত ইউটিলিটি বিলগুলো পরিশোধ করেন। 

"আমার চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমি সবকিছুই সময়মতো পরিশোধ করি। আমার কাছে আক্রোর কোনো বকেয়া নেই। আমি সবসময় ডেবিট কার্ড দিয়ে টাকা পরিশোধ করি।"

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। ঘুমাতেও যান একই সময়ে। সকালে আর বিকালে হাঁটতেও বের হন নির্দিষ্ট সময়ানুযায়ী। সকালের খাবার হিসেবে আধলিটার দুধের সাথে একমুঠো ওটমিল আর রুটি খান। ডিনারেও খান প্রায় একই জিনিস: দইয়ের সঙ্গে একটুকরো বড় কর্নব্রেড। প্রতিদিন পানি আর দুই লিটার শ্যামোমিল চা, এ-ই তার পানীয়ের চাহিদা। কয়েক দশক ধরে এই রুটিনে সামান্য হেরফেরও হয়নি। 

ইভান মনে করেন এই সুশৃঙ্খল জীবনের কারণেই তিনি এখনো তার চেয়ে কমবয়সীদের তুলনায় সুস্থ আছেন। "দৈনিক রুটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এভাবেই শিখেছি। আর আমি এই নিয়ম ছাড়া অন্য কিছুতে অভ্যস্ত হতে পারতাম না।"

বয়স অনুযায়ী বেশ সুস্বাস্থ্যই ধরে রেখেছেন ইভান। তেমন ওষুধেরও প্রয়োজন হয় না তার। প্রতি মাসে মাত্র ২১ ডলার খরচ করেন তিনি ওষুধের পেছনে। সাথে প্রতিবছর একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। 

ইভানের মেজাজ সবসময়ই ফুরফুরে থাকে। আশাবাদী এই মানুষের বন্ধুর সংখ্যাও কম নয়। তাদের অনেকের সঙ্গেই মাঠে বুলস (ভারী ধাতব বল দিয়ে একধরনের খেলা) খেলেন তিনি। "কয়েক বছর আগেও আমরা ৩০ জনের মতো ছিলাম, একসঙ্গে বুলস খেলতাম। তারপর একে একে আমাদের সংখ্যা কমতে থাকল। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ল, কেউ মারা গেল। গত সপ্তাহে দুইজন মারা গেছে। এখন আমাদের মধ্যে মাত্র ১০ জন বেঁচে আছে।"

এখন অবশ্য ইভান খেলার মাঠে কম সময় কাটান। এখন তার সময় কাটানোর মূল অস্ত্র ট্রামে চড়ে রাজধানী ঘুরে বেড়ানো। পেনশন যদি ৫০০ ইউরোর কম হয়, তবে জাগরেবের পেনশনভোগীদের জন্য কোনো পরিবহন ফি নেই। তবে ইভানের সামান্য বেশি হয়ায় তাকে ১৩.২০ ইউরো দিয়ে পুরো মাস চলার জন্য একটি টিকিট কিনতে হয়। তিনি টিকিটকে পুরোদমে কাজে লাগান, প্রতিদিনই ট্রামে চড়েন। তিনি অন্য মানুষ কী করে আর কোথায় থাকে তা পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসেন। তাই, তিনি ট্রামে চড়ে শেষ স্টপ পর্যন্ত চলে যান, আবার ফিরতি ট্রামে চড়ে বাড়ি ফিরে আসেন। 

ছোট ছোট আনন্দ

ইভানের মতে তিনি কখনো দুটো অভ্যাস বাদ দেবেন না: লটারি খেলা আর এক পুরনো বন্ধুর সাথে কফি খেতে যাওয়া। 

"প্রতি সোমবার আমি আমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে কফি খেতে যাই, এবং গত নয় বছর ধরে তাই হয়ে আসছে। এখন ইউরো মুদ্রা হওয়ার পর এখন আর আমি হিসাবে যাই না। ওয়েটারকে বলি টাকা নিয়ে যেতে, যা বিল হয়েছে সেটি রেখে আমাকে ফেরত দিতে। ফেরত দেওয়ার পর সেটি না গুণেই পকেটে ঢুকিয়ে ফেলি," বলে জানান তিনি। 

তবে একটি ছোট জিনিস তিনি বাদ দিয়েছেন, আর তা হলো ডোনাট। কয়েকদিন আগেও তিনি কাছের এক ছোট দোকান থেকে ৪০ সেন্টে কিনতেন। এখন সেটার দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে, ১.১ ডলার। 

"এটা অনেক, অনেক দাম। এর চেয়ে রুটি কেনা ভালো।"

গত এক বছরে ইভানের মাসিক খরচ ৫২ ডলার বেড়ে গিয়েছে। এর বেশিরভাগই খরচ হয় ইলেক্ট্রিসিটি, খাবার আর পানি আর গ্যাসের মতো বিলে। যদি কোনো অপ্রত্যাশিত খরচ না হয়, তাহলে মাসশেষে বড়জোর ১০ থেকে ২০ ডলার থাকে তার হাতে, যা বলতে গেলে তেমন কিছুই না। 

এরকমই এক খরচ হলো তার নষ্ট হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের বদলে নতুন মোবাইল ফোন কেনা, যেটি কিনতে খরচ হয়েছে ৩৪ ডলার। গত বছরেও একইরকমভাবে পুরনো টিভি নষ্ট হয়ে গেলে নতুন টিভি কিনতে ১৫৮ ডলার খরচ হয়েছিল। 

ইভান এক সুশৃঙ্খল, কৃতজ্ঞ এবং আশাবাদী নিয়ম মেনে তার জীবন পরিচালনা করেন, আর সমস্যাগুলোকেও মোকাবেলা করেন এক শান্ত উপায়ে, কোনকিছু ছেড়ে দিতে হলে কখনোই সেটি নিয়ে বিমর্ষ হয়ে পরেন না। জীবনের প্রথম থেকেই তিনি সামান্য আয় নিয়েই জীবন কাটানো শিখে গিয়েছেন, যে কারণে এখন কম পেনশন নিয়েও তাকে খুব সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে এরপরেও তিনি লটারি কেনা, পাখিদের খাওয়ানো, কিংবা বন্ধুর সাথে কফি খেতে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো ধরে রাখতে পেরেছেন। 

এখানে বলা হয়: 'একজন মানুষ তার কাছে থকা কম্বল দিয়েই শীত মেটায়। আমিও আমার পেনশন দিয়ে সেভাবেই জীবন চালাই।' 

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভান কাপান এক প্রজেক্টের অংশ হিসেবে সাংবাদিক মিরোস্লাভ ফিলিপোভিচের সাথে তার খরচের হিসাব করেছেন। দেখে নেওয়া যাক তিনি কোন কোন খাতে খরচ করেন: 

রুটি
২০২২ সালে ইউরোপে রুটির দাম বাড়ায় শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে একটি ক্রোয়েশিয়া। তারপরেও তিনি পাখিদের জন্য রুটি কেনা বাদ দেননি। "প্রাণিদের ভালোবাসলে আমি আর কী করতে পারি?"

ডিসেম্বর ২০২১: ২ ডলার
জানুয়ারি ২০২৩: ৩.২০ ডলার

ইলেক্ট্রিসিটি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটির দাম বেড়েছে তা হলো ইলেক্ট্রিসিটি। সৌভাগ্যক্রমে এবারের শীতে ক্রোয়েশিয়ায় খুব বেশি শীত পড়েনি, যে কারণে ঘর গরম রাখতে খুব বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়নি। ২০২২ সালের জুনে বিদ্যুতের দাম বাড়ার পর ইভানের বিদ্যুৎ খরচ বেড়েছে তিনগুণ! 

ডিসেম্বর ২০২১: ১৫ ডলার
জানুয়ারি ২০২৩: ৪৬ ডলার

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার
মুদ্রাস্ফীতির কারণে ক্রোয়েশীয় সরকার তাদের নাগরিকদের সুবিধার জন্য সানফ্লাওয়ার অয়েল, দুধ আর শূকরের মাংসসহ বেশ কিছু খাবারের দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। 

সবচেয়ে দামি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার এখন রুটি, ডিম আর মাংস। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১০-ডিমের একটি প্যাকেটের দাম ১.৭০ ডলার থেকে ৩.৫০ ডলারে পৌঁছেছে। শূকরের মাংস ছাড়াও মুরগি কিংবা গরুর মাংসের দামও অনেক বেড়েছে। ইভান অবশ্য মাংস খুব একটা খান না। 

"আমি গরু কিংবা শূকরের মাংস খুব কম কিনি। এর বদলে আমি আলু বা গাজরের ঝোলের মধ্যে বেকন ছেড়ে দেই। দুই থেকে তিনদিন খাওয়া যায়, এরকম পরিমাণ রান্না করি আমি। আমি কী খাই সেটি খুব হিসাব করে চলি।"  

এক কিলোগ্রাম বেকনের দাম এক বছরে ১৪ ডলার থেকে ১৯ ডলার হয়েছে। 

ডিসেম্বর ২০২১: ৯২.৫০ ডলার
জানুয়ারি ২০২৩: ১১৩ ডলার

মুদ্রাস্ফীতি এবং খরচ নিয়ে ইভানের প্রতি প্রশ্নোত্তর

১। খরচ বাড়ায় আপনি কোন জিনিসটি কেনা বাদ দিয়েছেন? – এই মাসে নির্দিষ্ট কিছু বাদ দেইনি। আমি দীর্ঘদিন ধরে একই জিনিস কিনি। তবে ডোনাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেটি কেনা বাদ দিয়েছি বেশ কয়েক মাস হয়েছে। আমি এই দামি ডোনাটের চেয়ে আরেকটি পাউরুটি কেনাই পছন্দ করব। 

২। এই মাসে কোন কঠিন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তটি আপনাকে নিতে হয়েছে? – আমার এক আত্মীয় মারা গিয়েছেন, তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ৫২ ডলার দিয়ে একটি ফুল কিনেছি। টাকার জন্য কষ্ট হয়নি, বরং এর পেছনের কারণ কষ্টদায়ক ছিল। 

৩। এই মাসে কোন খরচটি সবচেয়ে যোগ্য ছিল? – আমি একটা নতুন মোবাইল কিনেছি। পুরনোটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, আর আমার নতুন একটা প্রয়োজন ছিল। সাশ্রয়ী মোবাইলই কিনেছি, তবে সবচেয়ে সস্তাটা নয়, যেটা আবার খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। 

৪। যখন অর্থনীতির অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়, সেই সময়ের জন্য আপনার উপদেশ কী? – যখন অর্থনৈতিক অবস্থা কঠিন হয়ে পড়ে এবং একজনের কাছে যথেষ্ট টাকা থাকে না, তখন সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সৎ থাকা এবং অন্যের ওপর ঈর্ষা না করা। ঘৃণা আর ঈর্ষা একজন ব্যক্তির জণ্য সবচেয়ে খারাপ জিনিস। আমার তাদের জন্য খারাপ লাগে, যাদের আমার চেয়েও বেশি থাকার পরও যথেষ্ট নেই বলে অখুশি। একজনের সবকিছুতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। 

৫। টাকা নিয়ে আপনার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা কী? – ইলেক্ট্রিসিটির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তায় আছি। আমি বেশি খাই না, এবং যথেষ্ট পরিমাণ খাবার নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি ঠিক ততটুকুই খাই, যতটুকু আমার প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যুতের খরচ আমি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না। বিদ্যুৎ খরচটাই আমার সবচেয়ে বড় খরচ, এবং এটা আরো বাড়তে পারে।

Related Topics

আন্তর্জাতিক / টপ নিউজ

পাখি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ২.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল, পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিই, এখন বিদেশি ব্যাংক বাংলাদেশের জন্য আগের অবস্থায় গেছে: গভর্নর
  • আল-আরাফাহ্ ব্যাংকে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ চাকরিচ্যুত ৫৪৭ কর্মকর্তার
  • ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ, সহকারী কর কমিশনার ফাতেমা সাময়িক বরখাস্ত
  • পটিয়ায় চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিক্ষোভে ২০ ব্যাংক শাখার কার্যক্রম বন্ধ, গ্রাহকদের ভোগান্তি 
  • চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবুকে
  • ভারত রাশিয়ার তেল কেনায় মুনাফা করে ফুলে-ফেঁপে উঠছেন যেসব ধনকুবের

Related News

  • আকারে গলফ বলের সমান, দুর্গম দ্বীপে বসবাস বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ডানাহীন পাখির
  • যে বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকে না, কিচিরমিচিরে কান পাতা দায়
  • যেসব প্রাণী একে অন্যকে উপহার দেয়
  • সবচেয়ে প্রাচীন বুনোপাখি হিসেবে পরিচিতি তার, ৭৪ বছরে এসে ডিম দিল
  • ব্যালকনিতে ফুলের টবে ঘুঘুর বাসা, ডিম ফুটে বাচ্চা ওঠার অপেক্ষায়

Most Read

1
অর্থনীতি

২.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল, পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিই, এখন বিদেশি ব্যাংক বাংলাদেশের জন্য আগের অবস্থায় গেছে: গভর্নর

2
বাংলাদেশ

আল-আরাফাহ্ ব্যাংকে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ চাকরিচ্যুত ৫৪৭ কর্মকর্তার

3
বাংলাদেশ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ, সহকারী কর কমিশনার ফাতেমা সাময়িক বরখাস্ত

4
বাংলাদেশ

পটিয়ায় চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিক্ষোভে ২০ ব্যাংক শাখার কার্যক্রম বন্ধ, গ্রাহকদের ভোগান্তি 

5
বাংলাদেশ

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবুকে

6
আন্তর্জাতিক

ভারত রাশিয়ার তেল কেনায় মুনাফা করে ফুলে-ফেঁপে উঠছেন যেসব ধনকুবের

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net