Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
July 28, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, JULY 28, 2025
‘টাইটানিকের ক্যাপ্টেনের মতো আমার বাবাও সমুদ্রে তলিয়ে যাবেন’: প্রশান্ত মহাসাগরের বিলুপ্তপ্রায় দ্বীপে জীবন

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
16 October, 2021, 05:20 pm
Last modified: 16 October, 2021, 08:53 pm

Related News

  • প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে থাকার ৯৫ দিন পর উদ্ধার পেরুর জেলে, বেঁচে ছিলেন কচ্ছপ খেয়ে
  • ‘৫২-হার্টজ তিমি’ কেন পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ প্রাণী
  • বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল মিলল প্রশান্ত মহাসাগরে, বয়স হতে পারে ৩০০ বছরের বেশি
  • চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি’ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা: আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা
  • বিলুপ্ত হওয়া ধূসর তিমির নানটুকেটে দেখা মিলল ২০০ বছর পর

‘টাইটানিকের ক্যাপ্টেনের মতো আমার বাবাও সমুদ্রে তলিয়ে যাবেন’: প্রশান্ত মহাসাগরের বিলুপ্তপ্রায় দ্বীপে জীবন

স্কুল ভবনের সামনে ঘাসযুক্ত একটি মাঠ দেখিয়ে সাপোসাসের টরোশিয়ান দ্বীপের প্যারামাউন্ট প্রধান জন ওয়েসলি জানান, তীব্র জোয়ারের সময় পুরো মাঠ পানির নিচে চলে যায়। 
টিবিএস ডেস্ক
16 October, 2021, 05:20 pm
Last modified: 16 October, 2021, 08:53 pm
ছবি: কালোলাইন ফাইনু/ দ্য গার্ডিয়ান

ডুবে যাচ্ছে পাপুয়া নিউ গিনির পূর্বে এবং বোগেনভিলের দক্ষিণে অবস্থিত সাপোসা দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপ তোরুয়ার। সলোমন সাগর ক্রমশ গ্রাস করে ফেলছে ছোট এই দ্বীপকে। 

দ্বীপের বাসিন্দা ক্রিস্টোফার সেসে বলেন, "আমার বাবার অবস্থা হবে টাইটানিকের ক্যাপ্টেনের মতো, তোরুয়ার দ্বীপটি ডুবে গেলে তিনিও ডুবে যাবেন।" 

তার বাবা ফ্রান্সিস টনি এই দ্বীপেই সমাহিত। তিনি যেখানে সমাহিত, সেই কবরস্থান থেকে পাঁচ মিটারেরও কম দূরত্বে থাকা একটি উপকূল ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে। কিন্তু, তার দেহাবশেষ নতুন কবরস্থানে সরানোর পরিকল্পনা নেই পরিবারের। 

এক দশক আগেই তোরুয়ার দ্বীপের কাছাকাছি কার্টারেট দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বজুড়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেসময় অনেকেই সেখানকার বাসিন্দাদেরকে প্রথম জলবায়ু শরণার্থী হিসেবে আখ্যায়িত করে। কিন্তু, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে পাপুয়া নিউ গিনির আশেপাশে বেশ কয়েকটি দ্বীপ অঞ্চল অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে বা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

স্কুল ভবনের সামনে ঘাসযুক্ত একটি মাঠ দেখিয়ে সাপোসাসের টরোশিয়ান দ্বীপের প্যারামাউন্ট প্রধান জন ওয়েসলি জানান, তীব্র জোয়ারের সময় পুরো মাঠ পানির নিচে চলে যায়। 

ওয়েসলি পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। দ্বীপটি রক্ষার জন্য এর চারপাশে ছোট ছোট প্রকল্প তৈরিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। মৃত প্রবাল এবং খোল দিয়ে ভরা পুরাতন ১০ কেজি চালের ব্যাগ দিয়ে বাঁধ তৈরি করার কাজ করছেন তিনি। এমনকি, ভূমি সুরক্ষা পরিমাপ ঠিক রাখতে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সমর্থন পাওয়ার জন্য প্রস্তাবনাও রাখছেন তিনি। 

ওয়েসলি বলেন, "সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের সন্তান, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। যদি আমরা এখন মূল ভূখণ্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই, তাহলে হয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ অনেক ভালো হবে।"

টরোশিয়ান দ্বীপে জন্মগ্রহণ করা এবং বেড়ে ওঠা স্থানীয় স্কুলের শিক্ষিকা অরণি কাইতভ বলেন, "আমি প্রায়ই আমার ক্লাসের বাচ্চাদেরকে বলি, সমুদ্র আমাদের মাটি কেড়ে নিচ্ছে এবং আমাদের জমি ক্রমশ ছোট হচ্ছে। এছাড়া, জনসংখ্যা বাড়তে থাকার কারণে ভবিষ্যতে আমরা মূল ভূখণ্ডে চলে যাব।"

ছবি: কালোলাইন ফাইনু/ দ্য গার্ডিয়ান

'এখানে আমরা কিছু রোপণ করতে পারি না'

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রের পানির স্তর বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সমুদ্রের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থাৎ, গত ৩০ বছরে এই অংশে পানির উচ্চতা ০.৩ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। 

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্রভাব হলো উপকূলীয় ক্ষয় এবং নিচু ভূমির বন্যা। কিন্তু, এসকল দ্বীপের সম্প্রদায়গুলো অনেক আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। ভূগর্ভস্থ পানিতে সমুদ্রের লবণাক্ত জল মিশে থাকায় সেটি গৃহস্থালীর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। ফলে, এখানকার বাসিন্দারা পানির জন্য বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল থাকে। একই কারণে, ফসলও উৎপাদন করতে পারে না তারা। 

তোরুয়ারের আরেক বাসিন্দা ববি সোমা বলেন, এই দ্বীপে মানুষের স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকার মতো কোনো আশা নেই। এমনকি দ্বীপবাসীদেরকে খাদ্যের জন্য মূল ভূখণ্ডে জন্মানো খাদ্যের উপর নির্ভর করতে হয়। 

২০১৪ সালে মূল ভূখণ্ডে বসবাস শুরু করেন তিনি। তবে তিনি বলেন, "মূল ভূখণ্ডে যাওয়া আমাদের পক্ষে কঠিন। তোরুয়ারেই আমাদের মায়েরা থাকতেন এবং সেখানেই জন্মগ্রহণ করেছি আমরা।"

নিজের সম্প্রদায়ের লোকদেরকে সোমা দেখাতে চেয়েছেন, নিজের জন্মস্থান ত্যাগের মানসিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও নতুনভাবে জীবনকে গড়ে তোলা সম্ভব।

এছাড়া, মূল ভূখণ্ডে নিজের খাদ্য উৎপাদনের সুবিধাও পাচ্ছেন সোমা। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর উচিত, বুগেনভিলের মতো ছোট দ্বীপগুলোকে সমর্থনের জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি বলেন, "বড় দেশগুলো শিল্প ও প্রকল্প তৈরির মাধ্যমে নিজেদের দেশের উন্নয়ন করে চলেছে। কিন্তু, এটি আমাদের জীবনকে কঠিন করে তুলছে।" 

ছবি: কালোলাইন ফাইনু/ দ্য গার্ডিয়ান

'দ্বীপটি সমুদ্রে তলিয়ে যাবে'

বিগত ১২ বছর ধরে, তার সম্প্রদায়ের সদস্যদেরকে মূল ভূখণ্ডে স্থানান্তরিত হতে সহায়তা করে আসছেন উরসুলা রাকোভা। কার্টারেট দ্বীপপুঞ্জ থেকে বুগেনভিলের প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই মূল ভূখণ্ড। 

রাকোভার অনুমান অনুযায়ী, দ্বীপের সর্বোচ্চ অংশটিও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১.২ মিটার উঁচু। "এটি খুবই কম। আপনি যদি পাঁচ থেকে ছয়টি দ্বীপ একত্রে রাখেন, তাহলে আপনি হেঁটে এক ঘন্টার কম সময়ে সবগুলো দ্বীপ ঘুরে দেখতে পারবেন," বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, "সম্ভবত দ্বীপগুলো এখানে থাকবে, এবং সম্ভবত এখানে গাছপালাও থাকবে। কিন্তু আমাদের জীবনকে টিকিয়ে রাখা এবং খাদ্য উৎপাদনের কোনো অবস্থা আর নেই।" 

এখানকার বাসিন্দাদেরকে সাহায্যের জন্য 'টুলেলে পিসা' নামক একটি স্থানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছেন রাকোভা। এনজিওটির নামের অনুবাদ দাঁড়ায় 'নিজের হাল নিজেই ধরা।'এর মাধ্যমেই কার্টারেট দ্বীপপুঞ্জ থেকে বাসিন্দাদেরকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে সাহায্য করছেন তিনি। 

এখন পর্যন্ত, দশটি পরিবার সফলভাবে তিনপুট গ্রামে স্থানান্তরিত হয়েছে। এছাড়া, ক্যাথলিক মিশন কর্তৃক তাদেরকে দেওয়া নতুন জমিতে বাড়ি তৈরি করতেও সাহায্য করেছে তার এনজিও।  

"পরিবারগুলোকে একটি ঘর, পানির ট্যাঙ্ক এবং এক হেক্টর জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা কোকো, নারকেল এবং অন্যান্য ফসলও জন্মাতে পারে। এছাড়া, মিষ্টি আলু, কাসাভা, ট্যাপিওকা, কলা, সবুজ শাক সহ আরও অনেক সবজি চাষ করতে পারি আমরা," জানান রাকোভা।  

দ্বীপে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হলেও তিনপুট গ্রামে বসবাসকারীদের জীবনযাত্রার মান ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সেখানে তারা উর্বর জমিতে ফসল ফলানোর পাশাপাশি কোকো উৎপাদনের মাধ্যমে আয়ও করতে পারবে। তিনপুটে স্থানান্তরের জন্য প্রথম সাইন আপ করেন মরিস কারমেন এবং তার পরিবার। 

কারমেন জানান, "আমার ৩০০ টি কোকো গাছ এবং নারকেল সহ একটি জমি আছে। আমি এই গাছ থেকে প্রায় দুই ব্যাগ কোকো সংগ্রহ করে বিক্রি করি। এর থেকে যে সামান্য অর্থ আমি পাই তা দিয়ে আমার বাচ্চাদের স্কুলের ফি এবং চিকিৎসা খরচ বহন করি আমি।"

"আমি যা দেখছি তা থেকে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে দ্বীপটি থাকবে না। সমুদ্র এই দ্বীপটিকে ধ্বংস করে দেবে। প্রচুর মানুষ এখনও দ্বীপে বসবাস করছে। কোথায় থাকবে তারা?" প্রশ্ন রাখেন কারমেন। 

  • সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান 

 
 

Related Topics

টপ নিউজ

প্রশান্ত মহাসাগর / প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ড্রোন দিয়ে ছাড়া হচ্ছে হাজার হাজার মশা, কিন্তু কেন?
  • ব্যাংক খাতের ৮০% অর্থ নিয়ে গেছে, আইএমএফ বলেছে পুনর্গঠনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা
  • পোস্ট অফিসের নগদ চালানোর সক্ষমতা নেই, বেসরকারি বিনিয়োগকারী খুঁজছি: গভর্নর
  • গোপালগঞ্জে সহিংসতা: 'গুলিবর্ষণ ও গণগ্রেপ্তারে' ১১ নাগরিকের উদ্বেগ
  • চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের আদালত চত্বরে কিল-ঘুষি-লাথি
  • যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা ঝুঁকছে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়ার দিকে

Related News

  • প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে থাকার ৯৫ দিন পর উদ্ধার পেরুর জেলে, বেঁচে ছিলেন কচ্ছপ খেয়ে
  • ‘৫২-হার্টজ তিমি’ কেন পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ প্রাণী
  • বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল মিলল প্রশান্ত মহাসাগরে, বয়স হতে পারে ৩০০ বছরের বেশি
  • চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি’ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা: আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা
  • বিলুপ্ত হওয়া ধূসর তিমির নানটুকেটে দেখা মিলল ২০০ বছর পর

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ড্রোন দিয়ে ছাড়া হচ্ছে হাজার হাজার মশা, কিন্তু কেন?

2
অর্থনীতি

ব্যাংক খাতের ৮০% অর্থ নিয়ে গেছে, আইএমএফ বলেছে পুনর্গঠনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা

3
অর্থনীতি

পোস্ট অফিসের নগদ চালানোর সক্ষমতা নেই, বেসরকারি বিনিয়োগকারী খুঁজছি: গভর্নর

4
বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে সহিংসতা: 'গুলিবর্ষণ ও গণগ্রেপ্তারে' ১১ নাগরিকের উদ্বেগ

5
বাংলাদেশ

চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের আদালত চত্বরে কিল-ঘুষি-লাথি

6
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা ঝুঁকছে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়ার দিকে

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net