Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
June 22, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JUNE 22, 2025
স্কুল খোলার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্য দেশগুলো কী করছে?

ফিচার

টিবিএস রিপোর্ট
12 July, 2020, 10:10 pm
Last modified: 12 July, 2020, 10:33 pm

Related News

  • সংক্রমণ বাড়লেও সব রোগীর করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই: স্বাস্থ্যের ডিজি
  • দেশে আরও ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে
  • দেশে আরও ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত
  • নামকাওয়াস্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে এবং হবে?
  • নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী

স্কুল খোলার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্য দেশগুলো কী করছে?

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা আমলে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে বাইরের দুনিয়ায় অনেক দেশই স্কুল খুলছে। কোন পরিস্থিতিতে তারা এটা করছে? আমাদের মনে প্রশ্ন জাগছে তাহলে, আমাদের স্কুলগুলোও কি খুলে দেওয়া উচিত! কিন্ত যেসব দেশ স্কুল খুলছে, তাদের এ উদ্যোগও প্রশ্নের উদ্রেক করছে। কিছু দেশ ঝুঁকি স্বত্বেও উল্টোপথে চলার ঝুঁকি নিয়েছে। 
টিবিএস রিপোর্ট
12 July, 2020, 10:10 pm
Last modified: 12 July, 2020, 10:33 pm
শ্রেণিকক্ষে জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন গ্রীসের আয়োনিয়া প্রদেশের এক স্বাস্থ্যকর্মী। ছবি: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

পূর্ব ধারণার চাইতেও দীর্ঘ সময়জুড়ে স্থায়ী হতে পারে করোনাভাইরাসের চলমান মহামারি। উন্নত দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, উন্নয়নশীল দেশে যেমন; দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও লাগামহীন গতিতে বাড়ছে। 

এ অবস্থার মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিলে বিপুল সংখ্যক  শিক্ষার্থীর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

বাংলাদেশে বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিনই প্রায় অর্ধ-শতাধিক মৃত্যুর কথা জানাচ্ছে সরকারি সূত্র। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৫২ জনে। ইতোপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন। মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময়সীমা আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিতও দেন তিনি। 

মার্চ থেকে শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরের স্কুল-কলেজগুলোয় এখন পাঠদান চলছে অনলাইনে। কিন্তু, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেক শিক্ষার্থী ডিজিটাল ডিভাইসের অভাবে অনলাইন পাঠদানে অংশ নিতে পারছে না। 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সকল শিক্ষার্থীর কাছে অনলাইন পাঠসুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন। বিষয় সীমিত করে, মাধ্যমিক এবং উচ্চ- মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের চিন্তা-ভাবনার কথাও তিনি ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা আমলে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ঘোষণা দেয়নি।

তবে বাইরের দুনিয়ায় অনেক দেশই স্কুল খুলছে। কোন পরিস্থিতিতে তারা এটা করছে? আমাদের মনে প্রশ্ন জাগছে তাহলে, আমাদের স্কুলগুলোও কি খুলে দেওয়া উচিত! কিন্ত যেসব দেশ স্কুল খুলছে, তাদের এ উদ্যোগও প্রশ্নের উদ্রেক করছে। কিছু দেশ  ঝুঁকি স্বত্বেও উল্টোপথে চলার ঝুঁকি নিয়েছে। 

সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ নিয়েও উল্টোপথে ধাবিত যুক্তরাষ্ট্র
 
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু শিক্ষাঞ্চলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র খুলে দেওয়ার কথা বিবেচনা শুরু করেছে। যার পেছনে রয়েছে অভিভাবক, শিশু মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিদ এবং খোদ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে ভয়ঙ্কর মাত্রায় কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে সেই অবস্থায় ভাইরাস আবদ্ধ শ্রেণিকক্ষে কেমন প্রভাব ফেলবে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত গবেষণা এখনও অনুপস্থিত। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস এখন বাতাসে ভর করে বিস্তার লাভ করছে। ভাইরাসের 'বায়ুবাহী' বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে; ঘরের ভেতরে বেশি মানুষের ভিড়ে এবং যেখানে মুক্তভাবে বায়ুপ্রবাহের সুযোগ কম এমন আবদ্ধ স্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শ্রেণিকক্ষে এমন পরিবেশ থাকায় সংক্রমণ ঝুঁকিও অনেক বেশি। 

শিক্ষাকন্দ্র খোলার সরকারি চাপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ইয়র্কশিপ স্কুলের নার্স রবিন কোগানের ভাষ্য; 'কথাটা নিয়ে লুকোচুরি করার কিছু নেই। আমাদের সন্তান এবং কর্মীদের জীবন নিয়ে কর্তৃপক্ষ যেন বিপদজনক এক জুয়া খেলছে।'

শিশু শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে হাত জীবাণুমুক্ত করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ফ্রান্সের দুই স্বাস্থ্যকর্মী। ছবি: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

সংক্রমণ ঝুঁকি যেসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে

বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাবলিতে এটা স্পষ্ট যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শিশুরা বয়স্কদের তুলনায় কিছুটা কম অসুস্থ হয়। তবে এখনও অনেক কিছুই অজানা। যেমন; শিশুরা কতটা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে বা তারা ভাইরাসের বিস্তারে কী ভূমিকা পালন করে, তা এখনও জানা যায়নি। 

কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে, কিশোরদের তুলনায় শিশুদের মাধ্যমে বয়স্কদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে এ ধরনের পর্যবেক্ষনের বিষয়টি পুরোপুরি প্রমাণিত নয়। 

সংক্রমণ মোকাবিলায় সফল ইউরোপের নানা দেশে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে অনেকটাই ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয়। তবে যে দেশটি এমন সতর্কতা বিধি মেনে পাঠদান শুরু করবে, ওই দেশের মহামারি পরিস্থিতি কেমন- তার ওপরই আলোচিত পদক্ষেপের সফলতা নির্ভর করে। অর্থাৎ, ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার চলছে এমন অঞ্চলে এসব পদক্ষেপ খুব একটা সুরক্ষা দেবে না, বরং উল্টো শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন করবে। 

জুলাইয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরেছে থাইল্যান্ডের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

ইউরোপ থেকে শিক্ষণীয়

যেসব দেশ ইতোমধ্যেই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিদ্যালয় চালু করেছে তারা এক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি, অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষার্থীকে একত্রে ক্লাস নেওয়ার ফলে এসব দেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়েনি। 

ইউরোপের দুই দেশ নরওয়ে এবং ডেনমার্ক এর আদর্শ উদাহরণ। দুটি দেশেই গত এপ্রিল থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে শুধু মাত্র ছোট্ট শিশুদের জন্য বিদ্যালয় চালু করা হয়েছিল। উচ্চ বিদ্যালয়গুলো খোলা হয় আরও অনেক পরে। বিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গেই জীবাণুমুক্ত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। ক্লাসের আকার সীমিত রাখা হয়। পর্যায়ক্রমে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পারস্পরিক সংস্পর্শ এড়াতে নিশ্চিত করা হয় বেঞ্চগুলোর মাঝে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব। 

তবে সতর্কতাগুলো যে বিদ্যালয় কেন্দ্রিক সংক্রমণ কমিয়েছে, তা প্রমাণ করতে এখনও বিস্তর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের অবকাশ রয়েছে। সংক্রমণের হার কমে আসার ঘটনাগুলো নিয়ে করা কিছু গবেষণাপত্র এখনও শীর্ষ বিজ্ঞানীদের পর্যালোচনাধীন রয়েছে। এসব গবেষণায় শিশু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে, সংক্রমণের ঝুঁকি খুব একটা বেশি থাকে না- এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়। 

আয়ারল্যান্ডের গবেষকদের দাবি

আয়ারল্যান্ডের গবেষকরা ছয়জন আক্রান্তকে নিয়ে সম্প্রতি এক গবেষণা করেছেন- যা এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন ছিল প্রাথমিকের শিক্ষার্থী, দুইজন উচ্চ বিদ্যালয়ের এবং তিনজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি। 

মার্চে বিদ্যালয় বন্ধের আগে এসব আক্রান্তরা বিদ্যালয়ে একে-অন্যের সংস্পর্শে এসেছিল। ওই ছয় রোগীর সংস্পর্শে আসা এক হাজার ১৫৫ জনের করোনাভাইরাস টেস্ট করেন গবেষকরা। বিদ্যালয়ের সঙ্গীতের ক্লাসগুলোকেও এর আওতায় আনা হয়। কারণ এসব ক্লাসে সমবেত সঙ্গীতে অংশ নেওয়া বা একই বাঁশি বহুজনের ব্যবহার করার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকি ছিল। 

গবেষণায় দেখা যায় আক্রান্তরা নতুন করে বিদ্যালয়ের অন্য কারও দেহে সংক্রমণ ছড়ায়নি। তবে যে দুইজন বালক আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের একজনের সংস্পর্শে বিদ্যালয়ের বাইরের এক ব্যক্তি আক্রান্ত হন। 

ইসরায়েলে ঘটেছে ব্যতিক্রম

আয়ারল্যান্ডের গবেষণাটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে যেসব দেশে সামাজিক সংক্রমণের হার বেশি এবং যারা আগেভাগেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ শিথিল করেছে- এমন দেশগুলোর বিদ্যালয়কেন্দ্রিক ভাইরাসের বিস্তার পরিস্থিতি।

গত মে'তে বিদ্যালয় চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে দুইশ' জন শিক্ষার্থী এবং বিদ্যালয়ের কর্মী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে মে' মাসেই সীমিত সংখ্যায় ক্লাস নেওয়ার পদ্ধতিটিও উপেক্ষা করা হয়। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।

লকডাউন শেষে গত ১১ মে থেকে বিদ্যালয়ে যোগ দেয় সুইজারল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা। ছবি: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

দেশভেদে শিশুদের সংক্রমণ হারও কম নয়

দেশ ও অঞ্চলভেদে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী শিশুদের বড়দের তুলনায় বেশি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। 

উত্তর ফ্রান্সের ক্রিপে-এন-ভ্যালে এলাকায় দুজন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গত ফেব্রুয়ারিতে স্কুল বন্ধের আগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর ইনস্টিটিউট পাস্তরের বিজ্ঞানীরা বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের শরীরে করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করেন। গবেষণায় ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, ৪৩ শতাংশ শিক্ষক এবং ৫৯ শতাংশ বিদ্যালয়ের কর্মীদের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি ধরা পড়ে। অর্থাৎ, এসব ব্যক্তি করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। 

গবেষণার তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত করেন ডক্টর আরনাউড ফঁতে। এই সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ আলোচিত গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। মহামারি মোকাবিলায় গঠিত ফরাসি সরকারের কমিটিতেও তিনি রয়েছেন।

ফঁতে বলেন, পরীক্ষার পর শরীরে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা আবিষ্কারের পর আমরা নিশ্চিত হই যে ভাইরাসটি বিদ্যালয়ে ব্যাপক আকারেই ছড়িয়েছিল। 

গবেষক দলটি পরবর্তীতে একই এলাকার আরও ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের পরীক্ষা করে। কম বয়সী শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে কিনা তা জানতেই এ গবেষণা করা হয়। কারণ ঠিক ওই সময়েই সেখানকার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।

গবেষণায় দেখা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ শতাংশ  শিক্ষার্থীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য কর্মচারীদের ৪ শতাংশের দেহে পাওয়া যায় অ্যান্টিবডির উপস্থিতি। করোনার প্রবল উপসর্গ নিয়ে ক্লাসে যোগদান করা তিন শিশু শিক্ষার্থীর সন্ধানও পান গবেষকরা। 

ডক্টর ফঁতে অবশ্য জানান, উপসর্গযুক্ত তিন শিশুর মাধ্যমে তাদের সহপাঠী, শিক্ষক বা বিদ্যালয়ের অন্য কর্মচারীরা কেউই আক্রান্ত হয়নি। তবে উপসর্গে ভোগা দুইজনের বড় ভাই/বোন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সেখান থেকেই তারা আক্রান্ত হয়ে অনুজদের দেহে সংক্রমণ ছড়ায়। অন্যদিকে তৃতীয় আক্রান্ত শিশুর এক বোন উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিল।

এই গবেষণা দেশভেদে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি যেমন প্রমাণ করে, ঠিক তেমনি সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুসারে বহিঃউৎস থেকে বিদ্যালয়ে সংক্রমণ আসার ঝুঁকির প্রতিও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।
 
আসলে করনীয় কী

একটি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের গবেষকরা প্রায় একমত; তা হচ্ছে; সংক্রমণ হার বেশি থাকা অবস্থায় কোনো দেশের জন্যই বিদ্যালয় চালু করা ঝুঁকিমুক্ত নয়। 

মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সফলতার পর যখন নতুন সংক্রমণ হার স্থিরভাবে পড়তির দিকে অবস্থান করবে, কেবলমাত্র তখনই বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। 

সেক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি হতে পারে; বয়স অনুসারে কোনো দেশে কোন শ্রেণির শিক্ষার্থী কি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন সেই সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত। এর ভিত্তিতে ইউরোপের অনুসরণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে এবং সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনেই সীমিত আকারে ক্লাস শুরুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি বিদ্যালয় কেন্দ্রিক সংক্রমণ শনাক্তে নিয়মিত করোনা পরীক্ষা চালাতে হবে। 

দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতিতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মতো জনবহুল কোনো দেশই বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর কথা ভাবছে না, ভাবা উচিতও নয়। বাংলাদেশে স্কুল চালু করার মতো পরিস্থিতি কবে হবে, তা নির্ভর করবে পুরো করোনা মারির দুর্বল হয়ে আসার ওপর। ট্রাম্পের মতো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পাগলামী এখানে কারো হবে না নিশ্চিত করেই বলা যায়।

Related Topics

টপ নিউজ

বিশ্ব মহামারি / করোনাভাইরাস / শিক্ষা ব্যবস্থা / পাঠদান কর্মসূচী

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • নতুন ‘সাইকস-পিকো বন্দোবস্তের’ বিরুদ্ধে এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি
  • ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
  • ইরানের মোসাদ-আতঙ্ক বাড়ছে, সন্দেহ এখন ‘মাস্ক, টুপি ও সানগ্লাসে’
  • সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম জানিয়েছেন খামেনি: নিউইয়র্ক টাইমস
  • ভারত জানিয়ে দিল, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তিতে আর কখনোই ফিরবে না
  • ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে ‘চিরকাল’ ক্ষমতায় থাকতে চান নেতানিয়াহু: বিল ক্লিনটন

Related News

  • সংক্রমণ বাড়লেও সব রোগীর করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই: স্বাস্থ্যের ডিজি
  • দেশে আরও ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে
  • দেশে আরও ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত
  • নামকাওয়াস্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে এবং হবে?
  • নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী

Most Read

1
বাংলাদেশ

নতুন ‘সাইকস-পিকো বন্দোবস্তের’ বিরুদ্ধে এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

2
বাংলাদেশ

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

3
আন্তর্জাতিক

ইরানের মোসাদ-আতঙ্ক বাড়ছে, সন্দেহ এখন ‘মাস্ক, টুপি ও সানগ্লাসে’

4
আন্তর্জাতিক

সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনজনের নাম জানিয়েছেন খামেনি: নিউইয়র্ক টাইমস

5
আন্তর্জাতিক

ভারত জানিয়ে দিল, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তিতে আর কখনোই ফিরবে না

6
আন্তর্জাতিক

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করে ‘চিরকাল’ ক্ষমতায় থাকতে চান নেতানিয়াহু: বিল ক্লিনটন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net