ডাইনোসরের নগরী ‘ড্রামহেলার’

ক্ষুদ্রতম পোলেন কণা থেকে শুরু করে বৃহদাকার ডাইনোসর পর্যন্ত পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের নানা নিদর্শন সংরক্ষিত আছে কানাডার রয়্যাল টাইরেল জাদুঘরে। ছুটির দিনে পরিবারসহ ভ্রমণের জন্য জাদুঘরটি বহুল সমাদৃত।
জাদুঘরটি কানাডার আলবার্টার ড্রামহেলার শহরে অবস্থিত। জাদুঘরের কারণে শহরটিই 'ডাইনোসরের ভ্যালি' নামে পরিচিতি পেয়েছে।
ডাইনোসর ও জীবাশ্ম নিয়ে আগ্রহীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু কানাডার ব্যাডল্যান্ডে অবস্থিত এই জাদুঘরটি। ডাইনোসরের হাড়-কঙ্কালের বৃহৎ এই সংগ্রহশালা দেখতে প্রতিবছর জাদুঘরটিতে ভীড় জমান হাজার হাজার দর্শনার্থী। নিদর্শনগুলোর বেশিরভাগই জীবাশ্ম সন্ধানের জন্য প্রসিদ্ধ আলবার্টার ব্যাডল্যান্ডে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
আলবার্টায় খুঁজে পাওয়া জীবাশ্মের প্রাথমিক সংগ্রহশালা এই জাদুঘর। জীবাশ্মের বিশাল ও বিচিত্র এই সংগ্রহ নিয়ে কাজ করেন বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকরা।

২০১৬ সালে জাদুঘরটি পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি ও বিকাশের ৩.৯ বিলিয়ন বছরের ইতিহাসের প্রদর্শনী উন্মোচন করে। দর্শনার্থীদের সময়ের পরিক্রমার অতুলনীয় অভিজ্ঞতা দেয়ার উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী।
সময় গণনার ক্যালেন্ডার যেমন বছর, মাস ও দিনে বিভক্ত, ভূতাত্ত্বিক সময় যুগ, কালে বিভক্ত। ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের প্রিক্যামব্রিয়ান, পালেওজিক, মেসোজয়িক (ডাইনোসরের অস্তিত্ব ছিল জুরাসিক যুগে) ও সেনোজয়িক যুগের সময়ে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা পাবেন দর্শনার্থীরা। গ্রীষ্মের সময়ে দর্শনার্থীদের জন্য শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। পৃথিবীর অতীত ও বর্তমান সময়ের সম্পর্কের নানা বিষয় ব্যাখ্যা করা হয় এই শিক্ষা কার্যক্রমে।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভ্রমণের জন্য, বিশেষত শিশুদের জন্য বিনোদনের পাশাপাশি জ্ঞানার্জনের উপযুক্ত স্থান এই জাদুঘর।