তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ডাচদের বড় লক্ষ্য দিল নিউজিল্যান্ড

দারুণ শুরুর পর একই ধারায় ব্যাট চালিয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ২০০ ছাড়ানোর পর কিউইদের তখন বড় সংগ্রহে চোখ, এমন সময়ে নেদারল্যান্ডসের প্রতিরোধ। ১৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের রানচাকার গতিতে লাগাম টানে ডাচরা। তাতে বিশাল সংগ্রহ গড়া হয়নি নিউজল্যিান্ডের। যদিও তিন হাফ সেঞ্চুরিতে যে সংগ্রহ গড়েছে বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্স আপরা, সেটা নেদারল্যান্ডসের জন্য বড় লক্ষ্যই।
সোমবার হারদরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩২২ রান তুলেছে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা নিউজিল্যান্ড। হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসনের অবর্তমানে নেতৃত্ব পাওয়া টম ল্যাথাম। এ ছাড়া শুরুতে ডেভন কনওয়ে মাঝারি ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ বড় করেন মিচেল স্যান্টনার।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা নিউজিল্যান্ড কনওয়ে-ইয়াংয়ের উদ্বোধনী জুটি থেকে ৬৭ রান পায়। ৪০ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ রান করা কনওয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। উইকেট হারানোর চাপ অবশ্য বুঝতে হয়নি কিউইদের। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন ইয়াং ও রবীন্দ্র। দলীয় ১৪৪ রানে বিদায় নেন ইয়াং, এর আগে ৮০ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৭০ রান করেন নিউজিল্যান্ডের এই ডানহাতি এই ওপেনার।
এরপর ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন রবীন্দ্র। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর নিজের উইকেট বিলিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলা রবীন্দ্র ৫১ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৫১ রান করেন। পরের জুটিটি মিচেল ও ল্যাথামের, তারা যোগ করেন ৫৩ রান।
মিচেল কাছেও গিয়ে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি, ৪৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি। ৪৯তম ওভারে আউট হওয়া ল্যাথাম ৪৬ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৩ রান করেন। শেষ দিকে ঝড়ে তোলেন স্যান্টনার। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার ১৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৩৬ রান করেন। ৪ বলে একটি ছক্কায় ১০ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাট হেনরি। ডাচদের আরিয়ান দত্ত, পল ফন মেকেরেন ও ফন ডার মারউই ২টি করে উইকেট নেন, একটি উইকেট পান বাস ডে লেডে।